১. প্রাইভেট ইনস্যুরেন্সে গেলে ছাত্রাবস্থায় খরচ অনেক কম পড়ে। পাবলিকে বেশি। তবে খরচ কমাতে গেলে কিছু ছাড় দিতে হয় এটা মাথায় রাখাটা জরুরী। সস্তা প্রাইভেট ইনস্যুরেন্সে অনেক কভারেজ পাওয়া যাবে না।
২. পাবলিক ইনস্যুরেন্সে প্রতি তিন মাসে ডাক্তারের কাছে গেলে ১০ইউরো দিতে হয়। এটা প্রতি কোয়ার্টারে এককালীন। ঔষুধ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সর্বোচ্চ ১০ ইউরো।প্রাইভেট ইনস্যুরেন্সে এই ১০ইউরো দিতে হয় না। পরিবর্তে ডাক্তার একটা বিল পাঠাবে বাসায়। সেই বিল প্রথমে পে করে বিলটা ইনস্যুরেন্স কোম্পানীর কাছে পাঠাতে হবে। সেটা পরে ইনস্যুরেন্স কোম্পানী রিপে করে দেবে। ঔষুধ কতোটা কভার করবে এটা নির্ভর করে ইনস্যুরেন্স কোম্পানীর সাথে কন্ট্রাক্টের ওপর।
৩. পাবলিক খরুচে মনে হলে প্রাইভেটে যাওয়া যেতে পারে। তবে মনে রাখা দরকার একবার প্রাইভেটে সুইচ করলে পরে স্টাটাসে পরিবর্তন না হলে আবার পাবলিকে ফেরত আসা যাবে না। দুইটা ক্ষেত্রে স্টাটাস পরিবর্তিত হলে প্রাইভেট থেকে পাবলিকে আসা সম্ভব। ক. আপনি যখন স্টুডেন্ট লাইফ শেষ করে ফুল টাইম জবে যোগ দেবেন, তার ঠিক আগে আগে। খ. আপনি সোশ্যাল হেল্পের আওতায় গেলে তখন। এটি আমাদের বেশীরভাগের জন্যই প্রযোজ্য না।
৪. দাঁত, চোখের ট্রিটমেন্টে পুরো কভারেজ নেই। একদম বেসিক, যেটা না হলেই না সেটার কভারেজ আপনি [সাধারণত] পাবেন। যেমন নকল দাঁত স্টিলেরটা ফ্রি, কিন্তু সিলিকনেরটা ফ্রি না। চশমা, গ্লাসের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। বেসিকটা ফ্রি, কিন্তু প্লাস্টিক, ইত্যাদি বিলাসিতার জন্য ইনস্যুরেন্স কভার করবে না। উপরে যে ১০ ইউরো প্রতি কোয়ার্টারে দেবার কথা সেটা দাঁতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। দাঁতের ডাক্তারের কাছে গেলে আপনাকে অতিরিক্ত ১০ ইউরো দিতে হবে প্রতি কোয়ার্টারের জন্য।
৫. জার্মান হসপিটালে কোন ইমার্জেন্সি সার্ভিস নিলেও ১০ ইউরো দিতে হবে প্রতি কোয়ার্টারে। রাতে থাকতে হলে প্রতিদিন ১০ ইউরো। এটা সম্ভবত সর্বোচ্চ ৩০০ ইউরো হতে পারে। এর বেশি হলে ফ্রি। পাবলিক ইনস্যুরেন্স থাকলে এবং মেডিকেল এক্সপেন্ডিচার বহন করার মতো যথেষ্ট আয় না থাকলে ইনস্যুরেন্স কোম্পানির সাথে কথা বলে এইসব খরচ শূণ্যে নামিয়ে আনা সম্ভব। যাদের ক্রনিক ডিজিজ বা নিয়মিত ঔষুধ খেতে হয় তারা এসেই ইনস্যুরেন্স কোম্পানীর সাথে এই বিষয়ে কথা বলবেন।
লিখেছেন Haseeb Mahmud
[…] […]