জীবনের এই পর্যায়টা সবধরনের উপলদ্ধির জন্যে অনেক ভাল। কারো বাবাও না আবার কারো ছেলেও না একটা পর্যায়। আমার বলার অর্থ হল নিজে কাজ করে নিজের পায়ে দাঁড়ান , নিজের বুদ্ধিতে স্বাধীনভাবে চলা। সংসারে না ডুকে, দায়িত্বে না চেপে একটু অস্বার্থপর চোখে পৃথিবীটা দেখবেন অনেক কিছু উপলদ্ধি হবে।
১। স্থায়িত্তঃ চলার পথে স্থায়ী বন্ধু থাকলেও থাকতে পারে কিন্তু স্থায়ী কোন শত্রু নেই। সব কিছু একটা কারনে হয়। কারো উপরে কোন কষ্ট থাকলে আজই কথা বলেন। জীবন ছোট কালকের কোন ভরসা নেই। নিজে অন্যায় করলে ক্ষমা চেয়ে নেন।
২। তাকদিরে বিশ্বাসঃ যা হবার হবেই। আপনি আপনার নিয়ত ঠিক রেখে পরিশ্রম করে যেতে পারেন। যা হবে তা হাসিমুখে নেন আর কষ্টে নেন, তা আপনার হবেই। ভাল হয় যদি পজিটিভ দিক গুলান দেখে আগায় যান।
৩। সবাই সমানঃ চলার পথে এমন মানুষ আসবে মনে হবে সে না থাকলে আপনার জীবন অন্ধকার। আপনার সব কিছু আলোকিত তার জন্য। আপনার জীবনে বিয়ের মাধম্যে যদি কেউ আসে আর আপনি বুঝে শুনে তাকে গ্রহণ করেন তবে থাকলেও থাকতে পারে। সে যে কে হবে আমরা সময়ের আগে জানব না।
৪। কষ্ট করলে কেষ্ট মেলেঃ হ্যাঁ! কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে। আপনি যে সাবজেক্ট পরেন, যেখানে কাজ করেন অথবা যাই করেননা কেন, আপনার পছন্দের যেকোন পজিশনে আপনি যেতে পারেন পরিশ্রমের মাধ্যমে। প্রোগ্রাম হতে আপনার কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হতে হবে না। আপনি যে ফিল্ডের হন না কেন, আপনি আরেকটা ফিল্ডের কাজ করতে পারেন চেষ্টার মাধম্যে।
৫। উরাকথা স্থায়িত্তঃ উরাকথা হল গুজব সত্য হতেও পারে এবার নাও হতে পারে। এইগুলাতে রিএক্ত করবেন না। কথা বললে ভাল বলুন না হলে না। আর দেখবেন এইগুলা না ঘাটাঘাতি করলে পাত্তা পাবে না।
৬। কষ্টের সময়ঃ কষ্টের কারন যেকোন হতে পারে। হতে পারে আপনাকে আপনার পরিবার থেকে দূরে থাকা লাগতেসে। হতে পারে আপনার চাকরি হচ্ছে না। সব সময় মনে রাখবেন পৃথিবীতে আপনার আসার উদ্দেশ্য। বিদেশে একাকিত্তের কষ্টে মনে রাখবেন দেশের বাইরে আসার উদ্দেশ্য।
৭। বাবা-মার প্রতি দায়িত্বঃ আজকের বাবা-মা একটা সময় আপনার আমার মত চঞ্চল ছিল। আজকে তারা আপনার দিকে তাকায় আছে। ছেলের বাবামা- মেয়ের বাবামা বলে কিছু নেই। তাদের পরিচয় তারা বাবা-মা। আপনি নিজের বাবা-মা আর আপনার স্পাউসের বাবা-মার কেয়ার একসাথে দুজন মিলে করতে পারেন। তাদের দেখান পথে আস্থা রাখতে পারেন। আজকে যা বুনবেন কালকে তাই ফেরত পাবেন।
৮। মোহঃ মোহ হতে পারে কোন একটা মানুষের অথবা কোন একটা জিনিষের। এইসব ক্ষেত্রে সবসময় দুরুদর্শী হবেন। আজকে যে অস্থির আপনার জন্যে, সে কি এইটা প্রায় করে নাকি আপনি বিশেষ কেউ? তাকে জিজ্ঞেস করুন। যে আপনাকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিচ্ছে সে কি ভবিষ্যতের ভাবনা ভাবে নাকি সারাদিন স্বপ্ন দেখে?
৯। কেউ পারফেক্ট নাঃ আপনি চাকরিতে ভাইবা দেবেন। আপনার দুর্বলাটা গুলান আপনার সামনে। আপনার সাথে অন্যরা অনেক কিছু হয়ত আপনার থেকে ভাল কিন্তু তারা পারফেক্ট না, যেমনটা আপনি না। এইটা মনে করে নিজের বিশেষত্ব দেখান যা আপনি ভাল পারেন।
১০। হিসেবঃ আপনি যা করেন, যা বলেন, যা ভাবেন সব কিছুর জবাব আপনার নিজের কাছেই। নিজের কাছে নিজের কাজের ফিরিস্তি পরিস্কার রাখবেন। বিবেক সবচেয়ে বড় আদালত জানেন তো?
জীবনের অনেক সময় আসবে মনে হবে আটকে গেলাম। এইসব ক্ষেত্রে সাঁতার কাটবেন। নিজেকে হালকা করবেন। বিপদের সময় বেশি কথা বলবেন না। এতে কি বলতে কি বলে ফেলবেন আরও সমস্যা বাড়বে অথবা অন্যকে স্ট্রেস করে ফেলবেন। তাই সাঁতার কাটবেন। সাঁতার কেটে এই সাগর পাড়ি দেবেন।
ইউসুফ দিনার
মিউনিখ, জার্মানি