এই সিরিজটি আম জনতার জন্যে প্রযোজ্য না…অনেক চিন্তা করে তৈরী করা হয়েছে শুধুমাত্র প্রবাসী ছাত্রদের জন্যে। প্রতিটি খাবার হবে সস্তা, সহজ, কম সময়ে চটপট রান্না করার উপযোগী এবং সর্বপরি খাওয়ার যোগ্য…
ডাল নিয়ে কিছু বচন
হটাত করে মনে হবে এইটার আবার কাহিনী কি? “Rote Linsen” বা মসুর ডাল রান্নার আজকে দেয়া হবে কিছু চিপা বুদ্ধি আর টিপস এন্ড ট্রিকস যাতে খরচ বেশি না হয় তবে খেতে ভালো লাগে…
পাতলা ডাল এর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ডাল সেদ্ধ হওয়ার পরে ঠিক মতন পানির সাথে মিশে সূপ এর মতন হয়েছে নাকি দানা দেখা যাচ্ছে। ডাল ঘুটুনী আমাদের নেই তাই হয় অনেকক্ষণ ধরে সেদ্ধ করা অথবা ব্লেন্ডারে রান্নার পরে একটু ব্লেন্ড করে নেয়া। যদি তাও না করা যায় তাহলে অল্প পানি দিয়ে প্রথমে সেদ্ধ করে তারপরে হাত দিয়ে বা চামচ দিয়ে একটু ভেঙ্গে দিলেও হবে। তারপরে পানি যোগ করে ফুটিয়ে নিলেই হবে।
ডাল কখনো লবন সহ রান্না করতে হয়না,তাতে সময় বেশি লাগে। হলুদ খুব সামান্য ব্যবহার করতে হয়, না দিলেও চলে কিন্তু বেশি দিলে অখাদ্য। রান্নার সময় কোনো পেয়াজ, রসুন না দিলেও পরে বাগার বা তর্কা দিয়ে খুব তাড়াতাড়ি ভালো ডাল কম ভেজালে রান্না করা যায়।
পাতলা ডাল রান্নার প্রণালী:
অল্প পানি আর এক চিমটি হলুদ দিয়ে ডাল সেদ্ধ করে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপরে পানি দিয়ে পছন্দমতন পাতলা করে ফুটিয়ে নিয়ে প্রয়োজন মাফিক লবন দিতে হবে, কম হলে পরে দেয়া যাবে কিন্তু বেশি যাতে না হয়। এরপরে অল্প তেলে মরিচ, পেয়াজ, রসুন ভেজে ডাল ঐ পাত্রে একটু ঢেলে মিশিয়ে পুনরায় আগের পাত্রে ঢেলে দিতে হবে। ডাল তৈরী তবে রান্না করা ডাল বাইরে রাখলে প্রতিদিন একবার খুব ভালোভাবে ফুটিয়ে নিতে হবে।
এই ডালের সাথে পাচ ফোড়ন, জিরা, কালিজিরা ও তেলে যোগ করা যায় তবে মনে রাখতে হবে এই মশলা বেশিক্ষণ ভাজা যায় না তাই শেষ মহুর্তে দিতে হয়। সাথে ইচ্ছা মাফিক শাক (spinach), টমেটো এবং সবজিও দিয়ে দেয়া যায়।
স্বাদ-আহ্লাদ আর খানাদানা ৮: গরিবী হাল-নবাবি চাল
স্বাদ-আহ্লাদ আর খানাদানা ৪: চিকেন সূপ
স্বাদ-আহ্লাদ আর খানাদানা ৩: ভেতো বাঙালীর ভাতের খবর