………..
পশ্চিমা বিশ্ব নিয়ে অনেক প্রচলিত ধারণা রয়েছে আমাদের দেশে। অনেককেই এসব নিয়ে অনেক জোরালো তর্কও করতে দেখেছি। 😉
মিথ: পশ্চিমা বাবা-মা তাদের বাচ্চাদের চেয়ে কুকুরকে বেশি ভালবাসে।
বাস্তবতা: এরা আমাদের বাবা-মার মতই সন্তানের জন্য স্বার্থত্যাগ করে। ম্যাকডোনাল্ডস, বার্গার কিংসহ অন্যান্য ফাস্টফুড রেস্টুরেন্ট এ গেলে দেখবেন, পিচ্চিরা নিজেদের ইচ্ছামত খাবার অর্ডার দেয়, কিন্তু বাবা-মা অনেক সময় শুধু দু-একটা সস্তা বার্গার কেনে (আমার মনে হয়, সেটা আর্থিক কারণে)।
মিথ: এরা নিজেদের সন্তানকে মানুষ করতে তেমন কষ্ট করে না।
বাস্তবতা : যাদের আয় যথেষ্ট পরিমাণ না, তারা ওভারটাইম করে নিজেদের পরিবারকে একটু ভাল অবস্থায় নেওয়ার জন্য। অনেককেই দেখেছি, সন্তান শিক্ষিত হয়ে চাকরি পাওয়ার আগ পর্যন্ত যেকোন অড জব করে। এরপর সন্তান চাকরি পেলে সে অবসরে চলে যায়।
মিথ: পোলাপান বড় হয়ে বাপ-মায়ের খবর রাখে না।
বাস্তবতা : ছাত্রজীবনে দু-চার দিনের ছুটি পেলেও ৩০০ মাইল দূরে বসবাসকারী বাবা-মার কাছে ছুটে যায় তারা। চাকরি জীবনে তারা অনেক ব্যস্ত থাকায় প্রতি ক্রিসমাসে দেখা করবেই। তবে অবিরত ফোনে যোগাযোগ রাখে তারা।
মিথ: বউ শ্বাশুড়ীর মধ্যে ক্যাচাল নাই 😉
বাস্তবতা : একই শহরের মধ্যেও বউ বা গার্লফ্রেন্ড নিয়ে আলাদা বাসায় থাকার অন্যতম প্রধান কারণ চিরন্তন বউ-শ্বাশুড়ীর যুদ্ধ। সেজন্য সাধারণত ২০ বছরের পরে বাবা-মাই তাদের পোলাপানদের আলাদা বাসা ঠিক করে দেয় ভবিষ্যতের ক্যাচাল এড়ানোর জন্য। 😉
মিথ: বাপ-মা পোলাপানকে ঝাড়ি দিতে পুলিশের ভয় পায়।
বাস্তবতা : পোলাপান জেদ করলে প্রকাশ্যে ঝাড়ি দিতে দেখেছি। পোলাপানগুলোও সেইরকম। ঝাড়ি খেয়ে চুপ হয়ে যায় বা নীরবে চোখের পানি ফেলে। কিন্তু উচ্চস্বরে কেঁদেকেটে সিন ক্রিয়েট করে না। 😉