থিসিস লিখার জন্যে লাটেক্স (LaTex) সফটওয়ারটা ইউজ করাটা খুবই সুবিধাজনক। ব্যাচেলরের থিসিস পেপারটা যখন লিখতে গেছিলাম তখন মনে আছে সামান্যও যদি কোনো চাপ্টারে চেঞ্জ আনতে হইতো তাহলে পুরা পেইজ নাম্বারিং নিয়ে মাথা বিগড়ায়ে যেতো। শুধু যে কনটেন্ট পেজে এই নাম্বারিং নিয়ে ঝামেলা হতো তা না – লিস্ট অব ফিগারের ওখানেও চেঞ্জ আনতে হতো। আমার থিসিসের সুপারভাইজার ছিলেন (কুয়েটের) নাসিম স্যার আর এক্সটার্নাল ছিলেন তারাপদ স্যার। তুলনামূলকভাবে অনেক ভাগ্যবান ছিলাম আমরা – তাতেও ৩ বারের মত চেঞ্জ করতে হইছিলো পেপার। বাকিদের অবস্থাতো বোধহয় আরো খারাপ।
আমার মাস্টার্স করতে গিয়ে বেশ কিছু রিসার্চোয়ার্কের পেপারগুলা ওয়ার্ডে লিখেছি আর সিভি, মাস্টার্সের থিসিস পেপার, কনফারেন্স পেপার লাটেক্স-এ লিখেছি… প্রথম ২-১ দিন ঝামেলার মনে হলেও এখন এইটার আবিষ্কারকরে দিনে ১০ বার করে সালাম দিই আর এম.এস.ওয়ার্ডরে গালি দিই। লাটেক্সের সুবিধাগুলা –
১- পেজ নাম্বারিংগুলা অটোমেটিক্যালি হয়।
২- ডকুমেন্টে ছবি এড করলে সেটা অটমেটিক ইন্ডেক্সিং(ফিগার নাম্বারিং) আর পেজ নাম্বার হয়ে যায়।
৩- হাজার হাজার টেমপ্লেট আছে অনলাইনে – সেখান থেকে যে কোনো একটা নিয়ে এডিট করা শুরু করা যায়। যেমন – এমআইটি, হার্ভার্ডের নিজেদের টেমপ্লেট আছে – সেগুলার স্ট্যান্ডার্ড বজায় রেখে পেপার লিখাটাও পরবর্তীতে ভালো ফিডব্যাক দেবে।
৪- অনেস্টলি, এম এস ওয়ার্ডে লেখা পেপার আর লাটেক্সে লেখা পেপার – দেখলেই বুঝা যায়। লাটেক্সে লিখা পেপার এক ধরণের পরিচ্ছন্ন ভাব থাকে।
৫- রেফারেন্স গুলা ডকুমেন্টে দেয়া নিয়েও ঝামেলা হয় নরমালি – লাটেক্সে সেটাও হয়না। এটারো নাম্বারিং, রেফারেন্সিং স্ট্যান্ডার্ড অটোমেটিক। উপরন্তু, গুগল স্কলারে যেকোনো পেপার যেটা আপনি “cite” করতে চান সেটাও খুব সহজে অটোজেনারেটেড সাইটেশান স্টাইল পাবেন – জাস্ট কপিপেস্টই করতে হবে আপনাকে (বুক, জার্নাল, কনফারেন্স পেপার – এইগুলার একেকটার সাইটেশান স্টাইল একেকরকম – ওয়ার্ডে যেটা করা প্রচুর ধৈর্য্যের কাজ)।
৬- বেশিরভাগ বড় বড় জার্নালই লাটেক্স ফরম্যাট প্রেফার করে, কারণ লাটেক্সে লেখা পিডিএফ থেকে কপি-পেস্ট করা খুব ঝামেলার কাজ।
লাটেক্স-এর পোর্টেবল ভার্সন – http://miktex.org/portable এটা ডাউনলোড করলেই এনাফ। এই পেইজটাতেই ইন্সট্রাকশন দেয়া আছে – কিভাবে ইন্সটল ও চালু করতে হবে। সংক্ষেপে বলি –
১- ডাউনলোড করা কম্প্রেসড ফাইল আনজিপ করেন পিসির যে কোনো ড্রাইভে।
২- ফোল্ডারের ভিতর miktex এপ্লিকেশন পাবেন সেটা পরবর্তী সুবিধার জন্যে আমার মতন স্টার্টাপ টুলবারে বা ডেস্কটপে শর্টকাট নিয়া রাখেন।
৩- এই এপ্লিকেশন চালু করলে কম্পিউটার স্ক্রিনের ডানে নিচের দিকে দেখবেন আইকন যুক্ত হইছে, সেটাতে রাইট বাটন ক্লিক করে TexWorks ক্লিক করেন। নতুন উইন্ডোতেই আপনার লাটেক্স কোড আর লেখাজোকা শুরু করবেন।
এই পেজটা লাটেক্সের বাইবেল – http://en.wikibooks.org/wiki/LaTeX – লাটেক্সের খুঁটিনাটি সবকিছু এইটাতে সবচেয়ে ভালোভাবে পাবেন – অন্যকিছু ঘাঁটাঘাঁটি করা সাজেস্ট করবোনা – শেষে ভুল জায়গায় গিয়ে দেখবেন ব্যাপারটা কঠিন লাগতেছে (কোডিং-বেইজড যেহেতু)।
আরো সহজ করে দিতে সাজেশান –
১। আপনি আগে ঠিক করে নিন কি লিখতে যাচ্ছেন – সিভি নাকি থিসিস পেপার নাকি কোনো জার্নাল পেপার?
২। এরপরে গুগল করে প্রয়োজনমত টেমপ্লেট (সিভি/থিসিস পেপার/জার্নাল ইত্যাদি) নামায়ে সেই টেমপ্লেটেই এডিট করা শুরু করুন।
৩। মনে রাখবেন – লাটেক্সের ফাইল এক্সটেনশন হলো .tex, যেমনটা ওয়ার্ডের জন্যে .doc অথবা .docx । তাই আপনার ডাউনলোড করা টেমপ্লেট – যেটা ফোল্ডার আকারে ডাউনলোড হইছে সেখান থেকে আপনি .tex ফাইলকে সিলেক্ট করেন আর সেটাকে ড্র্যগ করে TexWorks -এর উইন্ডোতে ফেলেন (অথবা TexWorks -এর ফাইল মেনুতে গিয়েও আপনার টেমপ্লেটের .tex ওপেন করতে পারেন)।
৪। দেখবেন আপনার টেমপ্লেটটার প্রিভিউ পিডিএফ পাশেই চলে এসেছে। মনে রাখবেন – আপনি আল্টিমেট আউটপুট পাবেন পিডিএফ-এ – তাই অন্য কিছু আশা করে লাটেক্স ইউজ করা শুরু করে শেষে আশাভংগ আর সময় নষ্ট হইলে আমি বা কর্তৃপক্ষ কেউই দায়ী নয়।
*** আবারো বলতেছি- হাতে হয়তো খুব কম সময় আছে আপনার, ঐ সময় লাটেক্সে লেখা এক্সপেরিমেন্টিং করতে গেলেন আর ভজঘট পাকায়ে ফেললেন (ইউটিউব, লাটেক্স ওয়েবসাইট ফলো করলে যেটা আসলে হওয়ার কথা না) – দোষ আপনারই। ***
LaTeX Basics for Theses/Dissertations
আরো পড়তে পারেনঃ
- জার্মানিতে এপ্লাই করার ধাপসমূহ!
- DAAD স্কলারশিপ নিয়ে পড়াশোনা
- আইইএলটিএস রিডিং – বাক্যের শেষ অংশ কীভবে মেলাবেন? (Matching Sentence Endings) – পর্ব ৪/১১
- জার্মানীতে লোক পাঠানোর নামে প্রতারণা, সাবধান!
- টিইউ মিউনিখে অনলাইন এপ্লিকেশন করার ধাপসমূহ
- জার্মানীতে কিভাবে একজন মেডিকেল ডাক্তার হবেন
- আমাদের উচ্চশিক্ষা বিষয়ক সেমিনার এবং স্কলারশিপের সকল তথ্য(স্লাইড)
Yes, Latex is the best word processing tool. It reduces obstacles that pepole may face in MS Word. It just awesome. But, now “LyX” will be more popular, though it same as Latex. Thanks for sharing it.
যদি কিছু সুন্দর ইউরোপিয়ান resume এর template গুলোর link দিতেন খুবই উপকৃত হতাম
https://www.sharelatex.com/templates/cv-or-resume/europecv
thesis – not thesis paper.
good article BTW.
thank you edited
please mention some web site for free science and engineering based research paper…
thanks