১) এইখানে সবাই মার্সিডিজ বেঞ্জ, ভোক্সওয়াগেন, ওপেল আর বিএমডব্লিউ(এগো উচ্চারণ বেএমভে) ইউজ করে। সো ফার কোনো টয়োটার গাড়ি দেখি নাই। আমি যে বাসায় আছি, ঐটার সামনের ছোট রাস্তায় যে পরিমাণ মার্সিডিজ আর বিএমডব্লিউ পার্ক করা থাকে রাতের বেলা, পুরা ঢাকা শহরে সেই পরিমাণ এইসব গাড়ি নাই
২) গতকাল ‘মেসে নর্ড ইখ'(নাম ভুল হতে পারে) নামের একটা একটা বাসস্টেশনে গেসিলাম অন্তু ভাইয়ের সাথে, তন্ময়কে ড্রেসডেনের বাসে তুলে দিতে। বার্লিন-ড্রেসডেন ভাড়া ১৫ ইউরো, বার্লিন-ডর্টমুন্ডের ভাড়া ২২ ইউরো। একটু গুছায়ে নিয়ে ডর্টমুন্ড যাইতে হবে, সিগন্যাল ইদুনা পার্কে
৩) এবার বার্লিনের যে স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়নস লীগের খেলা হবে ঐটা আমার এইখান থেকে খুবই কাছে, সুযোগ পাইলে দেখতে যাবো ভাবতেসি দুই-একের মধ্যে।
৪) দুইদিন ভাত খাইনাই শুনে অন্তু ভাই গতকাল তার এক ফ্রেন্ডের বাসায় নিয়ে গেসেন ভাত খাওয়াতে; ভাত আর মুরগির মাংস খাওয়াইসেন। রাতে উল্লাস ভাই খিচুড়ি, গরুরু মাংস, পায়েস রান্না করসে গতকাল আইসা। পুরাই ঈদ ঈদ ফিলিং আসতেছে
৫) ‘হোহেনসনহয়জান’ নামের একটা এরিয়াতে গেসিলাম কাল, মেইন সিটি থেকে একটু দূরে মনে হইলো, আলেকজান্ডার প্লাটজ থেকে ট্রেনে প্রায় ২০মিনিট+ লাগে। বড়লোকের এলাকা, প্রতিটা বাড়িই সুন্দর, সামনের গাড়িগুলা আরো বেশি সুন্দর
৬) টোবাকো, ফিল্টার আর কাগজ রোল কইরা বিড়ি বানানো শিখে ফেলসি। বিরাট গুরুত্বপূর্ণ কাজ এই বড়লোকের দেশে
৭) জীবনের প্রথম গে কাপল দেখসি গতকাল। টিয়ারগার্টেন স্টেশনে ট্রেনের জন্য দাড়ায়ে আছি, দেখি দুইটা ছেলে একজন আরেকজনকে চুমু খাচ্ছে। তারপরে ট্রেন আসলো, একজন আরেকজনকে চুমু দিয়ে ট্রেনে উঠে গেলো, অপরজন বিদায় দিলো হাত নেড়ে। পুরাই বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ডের বিদায়ের মতো।
৮) আজ দেশে ঈদ। এই প্রথম দেশের বাইরে ঈদ করতেসি মা-বাবা ছাড়া কিন্তু সত্যি বলতে তেমন খারাপ লাগতেসে না। আম্মাকে কল দিসিলাম, কথা হইসে। অন্তু ভাই আছেন, উল্লাস ভাই তো আছেনই। অন্তু ভাই গতকাল নিয়ে ঘুরসেন, আজকেও আসতেছেন, বের হবো আমরা। এই দুই বড়ভাই ভদ্রলোক শুধু ভালোই না, মানুষের উপকার করার মানসিকতা আছে। কথা-বার্তা, আচার-আচরণেই বোঝা যায়।
আমি আমার জীবনে সো ফার যাদের সাথে মিশছি তাদের সবাইই খুব ভালো দুই-একটা এক্সেপশন বাদে; এটাই বোধহয় আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ঈদ। সবাইকে ঈদ মোবারক। ভালো থাকবেন।
[…] জার্মানির ডায়রি – প্রথম দর্শন! (রাফিউল… […]