২০১৪ সালে আসছিলাম জার্মানিতে। এর আগে কোনোদিন দেশের বাইরে আসা তো দূর, প্লেনেও চড়ি নাই। এই যাত্রা যদি কেউ মনে করে ঢাকা টু বার্লিন ভায়া ইস্তাম্বুল ছিলো, তাহলে ভুল। দীর্ঘ দিবস-রজনী আছে এর পেছনে। রাতের পর রাত কোর্স খোঁজা, যুতমতো কোর্স না পেয়ে হতাশ হওয়া, আবার খোজা, কিভাবে এ্যাপ্লাই করবো, কিভাবে SOP লিখলে ভালো হবে জানার চেষ্টা করা হেন তেন নানা যন্ত্রণা। এই যাত্রা অনেক দীর্ঘ, ক্লান্তিকর।

শুধু আমি না, যারা দেশের বাইরে পড়তে আসেন(ইউরোপ বা আমেরিকা যেখানেই হউক), সবাইকেই কমবেশি এই ক্লান্তিকর সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। এই সময়গুলাতে কিছু মানুষ লাগে; কাছে, পাশে। আমি বরাবরই এইসব বিষয়ে খুব সৌভাগ্যবান কারণ সবসময়ই খুব ভালো কিছু মানুষকে পাশে পাইছি। জার্মানি আসার ব্যাপারে আমার পাশে একজন না, ছিলো অনেকজন। ছিলো জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা বিষয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গ্রুপ Bangladeshi Student and Alumni Association in Germany। এই গ্রুপের সমস্ত মেম্বারের কাছ থেকে যে পরিমাণ স্পেসিফিক ইনফরমেশন পাওয়া যায় এটা আপনি ১০ বছর জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা নিয়ে গবেষণা করলেও পাবেন না।

এখানে সবচেয়ে ভালো লাগে কোন বিষয়টা যদি বলা হয় তাহলে বলবো গ্রুপের এ্যাডমিন থেকে শুরু করে মেম্বাররা যেভাবে দালাল/ফ্রডদের মাধ্যমে বাইরে আসার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করে সেটা। আর কিছু না হউক, মানুষকে বুঝাতে পারছে যে ‘জার্মানি আসতে মাম্মা লাগে না, নিজের যোগ্যতা থাকলেই পারবা’। এইটা ভালো লাগার কারণ কি সেটা নিজে বাইরে আসলে বুঝবেন দালালদের হাত ধরে বাইরে আসা লোকজনকে দেখে।

vote for germanprobashe the bobs dw

এতো কথা লেখার কারণ হলো Deutsche Welle(ডয়েচ ভেলে)’র The Best of Blogs(BOBS) এ তাঁদের ‘জার্মান প্রবাসে’ ওয়েবসাইট মনোনিত হইছে সেরা ব্লগের একটা হিসাবে। সময়ের পরিবর্তনের অমোঘ নিয়মে জার্মানি ছাড়ছি প্রায় বছর দেড়েক। ফ্রান্স ঘুরে ফিনল্যান্ডে আসছি তারপরও জার্মানি এবং ‘জার্মান প্রবাসে’র ব্যাপারে ভালোবাসা কমেনি(আমার জার্মানিপ্রীতির কথা কাছের মানুষরা কমবেশি সবাই জানে), কমবে সেই সম্ভাবনাও কম। জার্মানিতে নাই তারপরও জার্মানিতে আছি এই ফিল পাই ‘জার্মান প্রবাসে’ সাইটে গেলে। অনেক পরিচিত বড়/ছোটভাই/বন্ধুরা সেখানে নিয়মিত লেখে। ‘জার্মান প্রবাসে’র কোনো অর্জনে কেন যেনো মনে হয় এইটা আমার নিজেরও অর্জন। 🙂

ভালো জিনিসের মূল্যায়ন আমরা জাতি হিসাবে এমনিতেও কম করি তাই সাধারণত কাউকে ভোট দিতে বলি না পোষ্ট দিয়ে। তবে কেউ যদি জার্মানি যেতে চান তাহলে সাইটটা ঘুরে দেখতে পারেন ৫ মিনিট, ভালো না লাগার কোনো কারণ নাই। এরপরে ভালো লাগলে প্রতিদিন ফেসবুক থেকে লগিন থাকা অবস্থায় একটা করে ভোট দিতে পারেন।

বিস্তারিতঃ https://www.germanprobashe.com/archives/11489

আমি নিশ্চিত এই প্রতিযোগিতায় সবার ভোটে ‘জার্মান প্রবাসে’ জিতবে বড় ব্যবধানে। ‘জার্মান প্রবাসে’ এইটা ডিজার্ভ করে।

শুভকামনা ‘জার্মান প্রবাসে’ টিমকে।


ভোট দেয়ার পদ্ধতিঃ

১, সরাসরি ফেসবুক দিয়ে লগ ইন করে ভোট দিতে চাইলে এখানে ক্লিক করুনঃ https://goo.gl/URp2jj
২, কিংবা সরাসরি টুইটার দিয়ে লগ ইন করে ভোট দিতে চাইলে এখানে ক্লিক করুনঃ https://goo.gl/KqL8Ll
৩, কিংবা DW তে একাউন্ট খুলে ভোট দিতে চাইলে এখানে ক্লিক করুনঃ https://goo.gl/fnDXfi
৪, স্ক্রল করে নিচে নেমে “জার্মান প্রবাসে” কে ভোট দিন।
৫, প্রতি ২৪ ঘন্টায় একবার করে ভোট দেয়া যাবে। তাই আজকে ভোট দেয়ার পর আগামীকালও ভোট দিতে ভুলবেন না।
.
অথবা,
.
১, প্রথমে এই লিংকে যানঃ https://thebobs.com/bengali/category/2016/user-award-bengali-2016/
২, এরপর ফেসবুক/টুইটার/DW দিয়ে লগ ইন করুন।
৩, এরপর স্ক্রল করে নিচে নেমে “জার্মান প্রবাসে” কে ভোট দিন।
৪, প্রতি ২৪ ঘন্টায় একবার করে ভোট দেয়া যাবে। তাই আজকে ভোট দেয়ার পর আগামীকালও ভোট দিতে ভুলবেন না।

mm

By Rafiul Sabbir

এসএসসি, এইচএসসি, স্নাতক ইত্যাদি নানান অপ্রয়োজনীয় ডিগ্রী নিয়ে বছর দুয়েক সফটওয়্যার ফার্মে কামলা দিসি তারপরে 'জ্ঞানী হবো। কি আছে জীবনে!' বলে কম্পিউটার বিজ্ঞানে এমএস করতে চলে আসছি EIT ICT Masters Labs এ। ছিলাম জার্মানির বার্লিনে, ইউনিভার্সিটি TU Berlin। অবসর সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকি, আপাততো বার্লিন ঘুরতে ঘুরতে অবসর পাই না। কিন্তু বার্লিনেও বেশিদিন থাকা হইল না। বর্তমানে Pervasive Computing পড়তেছি Lappeenranta University of Technology (LUT) তে। এইটা ফিনল্যান্ড এ।

Leave a Reply