আমি ২০১৪ সাল থেকে জার্মানির ড্রেসডেন শহরে অবস্থিত টেকনিশে ইউনিভার্সিটি ড্রেসডেনে ন্যানোইলেক্ট্রনিক সিস্টেমসে পড়াশুনা করছি। বরাবরের মতই আমার টাকা পয়সা অনেক কম। তাই আসার পর থেকেই কিভাবে পয়সা কামানো যায় তার পিছনে ছুটেছি। এত আজাইরা কথা না বলে ডিরেক্ট পয়েন্টে আসি। আমি যতটুকু জানি সেই প্রেক্ষিতে বলব। এর বাহিরেও অনেক সম্ভাবনা আছে।
** সকল তথ্য ড্রেসডেন শহরের প্রেক্ষিতে।
১। ফ্রাউনহফার ইন্সটিটিউটস
http://www.fraunhofer.de/en.html
উপরের লিঙ্কটা সকল ফ্রাউনহফার ইন্সটিটিউট এর জন্যে। এখানে শহর এবং যার যার নিজের ফিল্ড দিয়ে সার্চ ন্যারো ডাউন করা সম্ভব। মজার বিষয় হচ্ছে এদের পে-আউট অনেক ভালো। এই ইন্সটিটিউট গুলো যা যা অফার করে –
• Werkstudent বা স্টুডেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট
• ইন্টার্নশিপ
• মাস্টার বা ডিপ্লম থিসিস
আমি যতটুকু জানি, যদি ব্যাচেলর সার্টিফিকেট থাকে তাহলে ১২ ইউরোর মতন পে করে এবং প্রতি ৬মাস অন্তর এটা বৃদ্ধি পায়।
২। ইন্ডাস্ট্রি বা কোম্পানি
ফ্রাউনহফার ইন্সটিটিউটস এর মতন এদের কোন লিঙ্ক আমার কাছে নাই। কারো কাছে থাকলে দিয়ে বাধিত করবেন। এরাও যা যা অফার করে –
• Werkstudent বা স্টুডেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট
• ইন্টার্নশিপ
• মাস্টার বা ডিপ্লম থিসিস
তবে কোম্পানিগুলা একটু কিপটা হয়। পে করে অনেক কম – ৮.৫ ইউরো । তবে সফ্টওয়্যার ফার্ম বা কোম্পানি গুলা মনে হয় একটু বেশি পে করে (১০ ইউরো)।
৩। ইউনিভার্সিটি
ইউনিভার্সিটি তে অনেকগুলা ডিপার্টমেন্ট (এখানে বলে চেয়ার) থাকে। এই চেয়ারগুলাতে বিভিন্ন সময়ে অনেক SHK (studentische Hilfskraft) বা WHK (wissenschaftliche Hilfskraft) অফার করে। এগুলা করেস্পন্ডিং চেয়ারগুলাতে খোজ রাখতে হয়। বেশিরভাগ সময় চেয়ারগুলার নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকে। ওগুলাতে SHK / WHK র সার্কুলার দেয় (অনেক ইউনিভার্সিটি তে মনে হয় Hiwi বলে)। যদি কোন সার্কুলার নাও থাকে তাহলেও চেয়ার-এর সেক্রেটারি কে সিভি পাঠায় রাখা যায়। কখনো কোন ওপেনিং আসলে তারা নক করতে পারে। সরাসরি চেয়ার এর হেড কেও সিভি সহ ইমেইল করা যায়। ওনারা মাইন্ড করেন না। তবে সিভি গুলা শর্ট হওয়াই ভালো।
SHK র পেমেন্ট ৯.০৫ (চেয়ার টু চেয়ার ডিফার করে), WHK র পেমেন্ট মনে হয় ১০ ইউরো থেকে শুরু। পুরা পেমেন্ট স্ট্রাকচার শহর টু শহর, ইউনিভার্সিটি টু ইউইনভারসিটি ভ্যারি করে। আরও তথ্য : http://www.welcometogermerica.com/2015/09/working-as-foreign-student-in-germany.html
৪। এগুলা গেল সাব্জেক্ট রিলেটেড কাজের কথা। অনেক সময় ইউনিভার্সিটি তে স্টুডেন্টস কাউন্সিল থাকে। তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকে। (উদাহরণস্বরূপ, টেকনিশে ইউনিভার্সিটি ড্রেসডেনে আছে: http://www.stav-dresden.de/ )। এখানে অনেক ধরনের কাজের ওপেনিং থাকে। সেগুলো দেখে কোনটা পছন্দ হলে ওদের কাছে গিয়ে বললে তখন ওরা কন্টাক্ট ডিটেলস দেয়।
আশা করি জার্মানিতে স্টুডেন্ট থাকা অবস্থায় কত সময় কাজ করা যায় সেটা সবার জানা আছে। ২৪০ হাফ ডে অথবা ১২০ ফুল ডে। তবে ইউনিভার্সিটি তে কাজ করলে এবং সেটা আউসল্যান্ডার অফিস থেকে লিখায় নিয়ে আসলে সেটা মনেহয় হিসাবের বাইরে হয়। (বিস্তারিত : http://www.internationale-studierende.de/en/prepare_your_studies/financing/jobbing/#c238)। আমি এটা ট্রাই করার সুযোগ/মোটিভেশন পাই নাই। কেউ করলে আওয়াজ দিয়েন।
টিপস
আমি স্বল্প জ্ঞানে যতটুকু টিপস দিতে পারি তা হইল-
১। মাস্টার্সের প্রথম বর্ষে থাকা অবস্থায় একটা কাজ জুটান গেলে খুবই ভালো। দ্বিতীয় বর্ষে পাওয়াটা একটু টাফ। কারন চাকুরিদাতা তখন চিন্তা করে এই স্টুডেন্ট তো বেশিদিনের জন্যে নাই।এ কিছুদিন পরে প্রজেক্ট করবে, থিসিস করবে ব্লা ব্লা ব্লা। তারপরও অনেকেই পায়। তবে প্রথম বর্ষ সেইফ সাইড।
২। কভার লেটার সার্কুলার অনুযায়ী এডিট করাটাও সেইফ সাইড। 😀
৩। টেকনিকাল সাইডে যারা আসেন তাদের জন্য, স্ক্রিপ্টিং ল্যাঙ্গুয়েজ শিখেন, এর কোন বিকল্প নাই, আইটি সেক্টর ছাড়া এই কোয়ালিটি একটা অ্যাঁডেড অ্যাঁডভান্টেজ। আগে শিখি নাই, ব্যাচেলরসে শিখায় নাই, এগুলা বাদ দিয়া বলেন, ইটস নেভার টু লেট টু লারন সাম্থিং নিউ। 😀
আর কিছু মাথায় আসতেসে না, আপাতত এদ্দুর-ই।
[…] স্টুডেন্ট থাকা অবস্থায় জার্মানিতে পয়… […]
[…] স্টুডেন্ট থাকা অবস্থায় জার্মানিতে পয়… […]
[…] স্টুডেন্ট থাকা অবস্থায় জার্মানিতে পয়… […]
[…] স্টুডেন্ট থাকা অবস্থায় জার্মানিতে পয়… […]