ডিসক্লেইমারঃ লেখাটা মেইনলি কম্পিউটার সায়েন্স রিলেটেড ইন্টার্নশিপ নিয়ে তবে অধিকাংশ বিষয়ই(ভাষার ব্যারিয়ারটা বাদে) যে কোনো ফিল্ডের ব্যাপারে খাটে। লেখটা একটু বড়, সময় নিয়ে ধৈর্য্য ধরে পড়তে হবে।
আরেকটা ডিসক্লেইমার হলো আমি ফিনল্যান্ডে থেকে নেদারল্যান্ডের ২টা, স্পেনের ১টা, পোল্যান্ডের ১টা এবং জার্মানির ২টা কোম্পানিতে ইন্টার্নশিপ অফার পাইছি এইজন্যই জ্ঞান ঝাড়তে আসছি
***********************************************
সামার ইন্টার্নশিপ মেইনলি বহুল প্রচলিত নর্থ আমেরিকাতে। নর্থ আমেরিকাতে প্রচুর আইটি কোম্পানি, প্রায় সবগুলা বড় আইটি কোম্পানিই ঐদিকে, এদের প্রত্যেকেই প্রতিবছর অনেক সামার ইন্টার্ন নেয়(যেমন গুগল, ফেসবুক, মাইক্রোসফট, লিঙ্কডইন, এ্যামাজন, আইবিএম)। ইউরোপে এই বড় কোম্পানিগুলার সামার ইন্টার্নশিপের সুযোগ নাই বললেই চলে কিন্তু অনেক ছোট/মাঝারি কোম্পানি আছে যেগুলাতে সামার ইন্টার্নশিপ করা যায়।
সহজ কথায় সামার ইন্টার্নশিপ হলো কোনো কোম্পানিতে সামারে কাজ করার + শেখার সুযোগ। সামারে যে ছুটিটা থাকে সেই সময়ে আপনি কোনো কোম্পানিতে কাজ করবেন, শিখবেন এবং একই সাথে আপনি কিছু টাকাও পাবেন। এই ইন্টার্নশিপ বিভিন্ন মেয়াদী হতে পারে যেমন ৩ মাসের বা ৬ মাসের। আবার কোনো ইন্টার্নশিপ সপ্তাহে ২০ ঘন্টা, কোনোটাতে সপ্তাহে ৪০ ঘন্টা এমন। কেমন টাকা দিবে সেটাও কোম্পানি থেকে কোম্পানি ভ্যারি করে।
সামার ইন্টার্নশিপ কি সেটা তো বুঝলাম, এইবার আমরা আসি কিভাবে সামার ইন্টার্নশিপ পাবো। প্রথমেই কিছু খারাপ কথা বলি। ভালো কথা শোনার আগে খারাপ করা শোনার দরকার আছে।
ইউরোপে সামার ইন্টার্নশিপের সবচেয়ে বড় প্রবলেম হলো ‘ওয়ার্ক পারমিট’। ধরেন আপনি আছেন জার্মানিতে, আপনি কিন্তু চাইলেই সুইডেন গিয়ে ইন্টার্নশিপ করতে পারবেন না সামারে। হ্যা, আপনার জার্মান ভিসাতে ওয়ার্ক পারমিট আছে কিন্তু সেটা আসলে জার্মানিতে, অন্য দেশে না। তাই যদি রেজিস্টার্ড কোম্পানি হয় তাহলে তারা আপনাকে নিবে না কারণ আপনাকে নিতে হলে আপনার ওয়ার্ক পারমিটের এ্যাপ্লাই করতে হবে(নাইলে নানা আইনি জটিলতায় পড়বে ট্যাক্স সংক্রান্ত) এবং এটার জন্য যে খরচ সেটা ৩ মাসের ইন্টার্নশিপের জন্য কোনো কোম্পানি করবে না, ফুলটাইম এ্যামপ্লোয়ী হলে (হয়তো) করবে।
উপরের কথাগুলা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলা। এই মুহুর্তে আমার ভ্যালিড ফ্রেঞ্চ ভিসা(জুন, ২০১৭) এবং ফিনিশ ভিসা(আগস্ট, ২০১৬) আছে। booking.com নাম সবাই কমবেশি শুনছেন, ইউরোপে airbnb আর hotels.com এর অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ওরা। বুকিংয়ের হেড অফিস নেদারল্যান্ডে আমার ইন্টার্নশিপ হওয়ার পরে তারা জানাইছে যে আমাকে নেয়া সম্ভব না কারণ আমার ওয়ার্ক পারমিট ফ্রান্স আর ফিনল্যান্ডের, নেদারল্যান্ড আসতে হলে ডাচ ওয়ার্ক পারমিট লাগবে এবং সেটার খরচ ওরা দিবে না ইন্টার্নদের জন্য, ফুলটাইম হলে ওরা রিলোকেশান কস্ট প্রোভাইড করে।
তো একই বাইন্ডিংস কিন্তু আপনার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য কারণ আপনি নন-ইউরোপিয়ান। ইন্টার্নশিপ খোজার সময় এই জিনিসগুলা মাথায় রাখতে হবে, না হলে প্রতি পদে পদে আপনি ইউরোপের ‘বাউন্ডারি ফ্রি জোন’ যে আসলে একটা জোকস আমাদের জন্য, এইটা টের পাবেন।
ইন্টার্নশিপ খোজার জন্য নিচের সাইটগুলাতে দেখতে পারেন।
https://www.glassdoor.com/index.htm
সবচেয়ে সেইফ সাইড হলো যে দেশে আছেন সেই দেশেই ইন্টার্নশিপ খোজেন, এক শহর থেকে আরেক শহরে গেলেও ঝামেলা হবে না। যারা জার্মানিতে আছেন তারা এই ব্যাপারে আমি বলবো সবচেয়ে লাকি কারণ আইটি ইন্টার্নশিপ আর জব জার্মানিতে প্রচুর। আইটি ফিল্ডে অন্তত ইংরেজীতেও প্রচুর ইন্টার্নশিপ আছে(ট্রাস্ট মি, আসলেই আছে)।
ধরে নিলাম আপনি উপরের লিঙ্কগুলা সার্চ করলেন এবং একটা লিস্ট করলেন। দেখেন যে ঐখানে বলা রিকোয়ারমেন্টগুলা আপনার আছে নাকি। সব থাকার দরকার নাই(ওরা এক্সপেক্টও করে না) কিন্তু ‘must have’ স্কিলগুলার অন্তত ৮০% যেনো থাকে, এটা মাথায় রাখবেন। স্কিল সবগুলা থাকুক আর না থাকুক, বড় লিস্টটাই রাখেন, ঐখান থেকে কোনো কোম্পানি বাদ দেয়ার দরকার নাই আপাততো। কেনো দরকার নাই সেটা পরে বলতেছি।
আপনি সো ফার কি করছেন? ইন্টার্নশিপ সার্চ করছেন, যা যা পাইছেন সেগুলার লিস্ট করছেন। এইবার হলো এ্যাপ্লাই করার পালা। এ্যাপ্লাইয়ের জন্য কমবেশি দুইটা জিনিস মাস্টঃ সিভি আর কাভার লেটার। কাভার লেটার অনেক জায়গায় চায়, অনেক জায়গায় চায় না। তবে আমার সাজেশান হলো কাভার লেটার না চাইলেও মেইল করার সময় মেইলে কাভার লেটারের একটা শর্ট ফর্ম লিখে দেয়া যেনো ঐটাকেই কাভার লেটার হিসাবে কাউন্ট করে। এটা অনেক কোম্পানিই পজেটিভলি দেখে।
অনেকেই জানে না বা বোঝে না কিন্তু সিভি লেখাটা আসলে খুব খব বেশি চ্যালেঞ্জিং। একটা ভালো সিভি আপনার অনেক অযোগ্যতাকে ঢেকে দিতে পারে আবার একটা অ-ভালো(!!) সিভি আপনার অনেক যোগ্যতাকে ঢেকে দিতে পারে।
সিভি লেখার কিছু জেনারেল নিয়ম বলিঃ
১) সিভি কখনোই দুই পেজের বেশি হবে না। এক পেজ হলে আরো ভালো।
২) সিভিতে আজাইরা ইনফরমেশন দেয়া যাবে না। আপনার পিতার নাম, মাতার নাম, গ্রামের বাড়ি, চোখের রঙ, চুলের রঙ, জন্মসাল এইসব কাবযাব দেয়ার কোনো দরকার নাই।
৩) সিভির মেইন ফোকাস দুইটাঃ ১) লেখাপড়া, ২) কাজের অভিজ্ঞতা।
৪) লেখাপড়ার জায়গাতে কোথায় পড়ছেন, কি পড়ছেন আর কবে থেকে কবে; এইগুলাই ইনাফ। কিছু মেজর কোর্সের নাম উল্লেখ করতে পারেন, না করলেও সমস্যা নাই।
৫) কাজের জায়গাতে কোম্পানির নাম, পজিশনের নাম কাজের সময়কাল আর আপনার কাজ কি ছিলো সেটাই ইনাফ। কাজ কি ছিলো এটাই সবচেয়ে ইম্পর্টেন্ট।
৬) যদি সম্ভব হয় কোন কোনো টেকনোলজি/ল্যাঙ্গুয়েজ/ফ্রেমওয়ার্ক জানেন সেটার একটা সর্টলিস্ট দেন এবং সেটা কতোটুকু জানেন সেটা বলেন যেমনঃ Python(Advanced), Django(Advanced), Javascript(Medium), Java(Basic), C++(Basic) এইভাবে।
৫ নাম্বারের ব্যাপারটা আরেকটু বলি। কোনো কোম্পানির কাজের ডেসক্রিপশনে
I worked as a software engineer in their XXX team. My Soul responsibilities were X, Y, Z etc.
চেয়ে নিচের লেখাটা বেশি এ্যাট্রাক্টিভ।
I have reduced the system running time upto 20% in X project.
কেনো? মেইনলি যে আপনার সিভিটা প্রথমে দেখবে সে হলো HR’র লোক, তার নলেজ কিন্তু আপনার ডোমেইনের না। সে যখন দেখবে আপনে বিশাল কাহিনী ফাদছেন কাজের বর্ণনায়, সে সিম্পলি সেটা স্কিপ করবে। একজন রিক্রুটার গড়ে ৪০ সেকেন্ড সময় দেয় আপনার ২ পেজের একটা সিভি ভিজুয়ালি স্ক্যান করতে। সে শুধু একটা জিনিস খোজে সেটা হলো যে পোষ্টের জন্য এ্যাপ্লাই করছেন সেখানে যে কিওয়ার্ডগুলা আছে সেগুলার কয়টা কতবার আপনার সিভিতে আসছে। অনেক রিক্রুটার কাভার লেটারও পড়ে না কারণ তাদের সময় নাই(প্রতিদিন তারা ৫০/৬০টা সিভি+কাভার লেটার হ্যান্ডল করে, এতো সময় কই?) তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে সিভিটাই আসলে মেইন।
************
খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। যা পারেন না তা সিভিতে লিখবেন না। ১৯৯৫ সালে আপনের বড়ভাই আপ্নারে একবার ভিজুয়াল বেসিকের কথা বলছিলো সেটা সিভিতে লিখবেন, তা হবে না। এই বাঙ্গালী বুদ্ধি বাদ দিতে হবে।
ওরা যখন একটা সিভি চুজ করে তখন ওরা সবকিছু দেখেই চুজ করে এবং যা যা লেখা আছে ঐটাতে সেগুলাকে তারা লিটারেলি নেয়। মানে আপনি যদি লেখেন যে আপনি সি++ জানেন, তারা ধরে নিবে আপনি ‘আসলেই’ জানেন অতএব সাবধান কিছু লেখার সময়।
************
আরো কিছু খুব গুরুত্বপূর্ণ টিপসঃ
১) ইন্টার্নশিপ বলেন আর চাকরি, LinkedIn প্রোফাইলটা যত্ন করে সাজাতে হবে। সমস্ত ইনফরমেশন দিতে হবে ঐখানে। সিভিতে যেসব মনের কথা লিখতে পারেন নাই জায়গা কম বলে সেগুলা ঐখানে ডেসক্রিপশনে লিখতে পারেন LinkedIn প্রোফাইল খালি আপনার সিভিতে ভ্যালুই এ্যাড করে না, এটা ভালো করে সাজানো থাকলে অনেক জব অফার পেতে পারেন LinkedIn থ্রুতে কারণ রিক্রুটাররা খুব ফ্রিকোয়েন্টলি লিঙ্কডইনে সার্চ করে।
২) ওপেন সোর্স প্রজেক্টে কন্ট্রিবিউট করেন, না পারলে নিজেই ছোট খাটো কিছু প্রজেক্ট করেন। ধরেন একটা নতুন টেকনোলজি শিখতেছেন(যেমন NodeJS), একটা/দুইটা প্রজেক্ট করে ফেলেন খুবই সাধারণ। সেইগুলা আপ করে দেন Github এ প্রোপার প্রজেক্ট ডেসক্রিপশন সহ(কি করছেন, কিভাবে করছেন, কিভাবে প্রজেক্টটা রান করা যাবে)। Github এর লিঙ্কটা সিভিতে দিয়ে দিতে পারেন, খুবই কাজে দেয়।
৩) পারলে নিজের টেকব্লগ লেখেন। ওয়ার্ডপ্রেস, ব্লগার এইগুলাতে ফ্রি ব্লগ লিখতে পারেন, না হলে নিজের ব্লগসাইট খুলতে পারেন(যেমন আমার ব্লগ http://en.rsabbir.com/ )। সেখানে নিয়মিত লেখার চেষ্টা করেন। মনে রাখবেন এখনকার টেক ওয়ার্ল্ডে ব্লগিং খুব ভালো ইম্প্রেশন তৈরী করে। আপনি একজন ডেভেলপার/প্রবলেম সলভার এবং সেই ব্যাপারগুলা নিয়ে আপনি লেখালেখি করেন; এমন লোক যে কোনো কোম্পানির জন্য একটা এ্যাসেট, তারা সবসময় এই ধরনের লোক হায়ার করতে চাইবে। খুবই হাই কোয়ালিটির কিছু হওয়ার দরকার নাই, যা করেন তাই লেখেন কিন্তু লেখালেখি করেন এইটা খুব বড় প্লাস পয়েন্ট জব/ইন্টার্নশিপের ক্ষেত্রে।
৪) এ্যালগোরিম, ডেটা স্ট্রাকচার এই জিনিসগুলার বেসিক রাখতেই হবে, এটার বিকল্প নাই। যে কোনো ভাইভাতেই আপনাকে ৩/৪টা এই রিলেটেড প্রশ্ন করবেই। একটা প্রবলেম দিয়ে কিভাবে সলভ করবো সেটা জিজ্ঞাস করবে(আমাকে সবগুলা ভাইভাতে করছে), যে সলুশন দিলাম সেটা কেন লজিক্যাল সেটা বুঝাতে হবে। এইগুলা বুঝাতে হলে আপনার নলেজ থাকতেই হবে, না হলে পারবেন না। এই জিনিসগুলা প্র্যাকটিসের/পড়ার প্রচুর রিসোর্স আছে ওয়েবে, সেগুলা পড়তে পারেন। সেগুলা থেকে কিছু জিনিস পড়ার পরে বুঝে নিজের ব্লগেও পোষ্ট দিতে পারেন।
এবার আবার কিছু খারাপ কথা 🙂
উপরে বলছিলাম যে লিস্ট করার পর কোনো শর্টলিস্ট না করতে, কারণটা এখন বলি। ধরেন আপনি সব মিলায়ে ৪০টা ইণ্টার্নশিপ খুজে পাইছেন যেগুলার কমবেশি ৩০/৩৫টার সাথে আপনার স্কিলসেট অন্তত ৬০/৭০/৮০%। এইসবগুলাতে এ্যাপ্লাই করবেন, বাদ দিয়েন না কোনোটাই। কেনো? কারণ আপনার কপাল খুব ভালো হলে আপনি ১০টায় এ্যাপ্লাই করলে ২/১টা থেকে ডাক পাবেন, কপাল খারাপ হলে ৫০টায় এ্যাপ্লাই করলেও পাবেন না।
একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, আপনি নন-ইউরোপিয়ান। ওরা সবার আগে নিবে ইউরোপিয়ান, তারপরে আপনি। আপনাকে একটা ইউরোপিয়ানের আগে তখনই নিবে যখন দেখবে কোনো যোগ্যতাতেই আপনাকে বাদ দেয়া যাচ্ছে না তাই আপনার জন্য সবখানেই এ্যাপ্লাই করা বেটার, ইউ নেভার নো কে ডাকবে, কে ডাকবে না। এই কারণেই ‘শর্টলিস্ট’ করার বিলাসিতা করা আপনার/আমার সাজে না, অন্তত ইন্টার্নশিপের জন্য, ফুলটাইম চাকরির ক্ষেত্রে শর্টলিস্ট করতে পারেন।
লাস্ট বাট নট দ্যা লিস্ট!!
ইন্টার্নশিপ কেন গুরুত্বপূর্ণ? ইন্টার্নশিপ আপনাকে বেশকিছু জিনিস দিবেঃ ১) রিয়েল টাইম এক্সপেরিয়েন্স, ২) ইউরোপের একটা কোম্পানিতে কাজ করার সার্টিফিকেট, ৩) ইন্ডাস্ট্রির কিছু মানুষের সাথে ডাইরেক্ট পরিচয় + কাজ করার সুযোগ। ৪) টাকা। ৪ নাম্বার দরকারি কিন্তু ছাত্রাবস্থায় ইন্টার্নশিপের ক্ষেত্রে সবচেয়ে দরকারি হলো প্রথম ২টা। একটা ইউরোপিয়ান ইন্টার্নশিপ হলো আপনার ইউরোপে জব মার্কেটের ঢোকার পাথওয়ে। আপনি ইউরোপে ৩মাস কাজ করছেন কোনো কোম্পানিতে কোনো টেকনোলজিতে, এইটা বলে আপনি পাশ করার পরে ফুলটাইম জবে অনেক আগায়ে যেতে পারবেন অনেকের চেয়ে।
যে কোনো প্রশ্ন বা সহায়তার জন্য কমেন্ট করলে রিপ্লাই দেয়ার চেষ্টা করবো। শুভকামনা।
Very informative 🙂 thanks. btw i have a question is it possible to get intern offer from bd in the final year?
Yes, possible. For example: http://www.germanprobashe.com/archives/8744
Great article, thanks for all the information. I am currently looking for masters in “Business analytics” in Germany (similar to data analysis but more prone to business) but hardly found one course in Berlin school of Economics and Law, is the job field for this course not seasoned yet in Germany ?
is there any need of IELTS for getting the Internship or visa for Bangladeshi students?
thanx ..
yes it is a must. there might be an exception for Internship. you should check with the embassy.
অনেক সুন্দর এবং তথ্যবহুল লেখা। ধন্যবাদ মিয়াভাই 🙂
Love the write up so informative ! thank you.