অবশেষে “জার্মান প্রবাসে” জিতে নিল “দ্য বব্স – বেস্ট অফ অনলাইন অ্যাক্টিভিজম ২০১৬” (বিভাগঃ ইউজার এওয়ার্ড বাংলা)! সহপ্রতিযোগী হিসেবে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠিত ব্লগের বিপরীতে এই বিজয় বেশ গর্বের। 🙂
এই শুভক্ষণে, কিছু কথা না বললে অন্যায় হবে। এখানে অনেকেই আছেন যাঁদের সাথে আমদের কখনো দেখা হয় নি, এমনকি ফোনে কথাও হয় নি। কিন্তু কী এক আশ্চর্য আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ আমরা। “জার্মান প্রবাসে” প্রতি ঘন্টায় কত ভোটে এগিয়ে আছে বা যাচ্ছে তা নিয়ে আপনাদের উৎসাহ এবং উদ্দীপনা আমাদের মুগ্ধ করেছে। আপনারা আরো একবার প্রমাণ করেছেন, একসাথে সবাই মিলে আমরা ভাল কিছু গড়তে পারি। এই অর্জন তাই আপনাদের সবার।
আপনারা জানেন, ভোটের সময়কাল ছিল প্রায় একমাস। কিন্তু মাসের মাঝপথে আমরা “সুন্দরবন” এর স্বার্থে আমাদের ক্যাম্পেইন এক প্রকার বন্ধ করে দেই। কিন্তু অবাক হয়ে লক্ষ্য করতে থাকি জার্মান প্রবাসের প্রতি আপনাদের ভোটিং কার্যক্রম। নিকটতম প্রতিযোগীর সাথে ভোটের বিপুল ব্যবধান আমাদের বার বার আপনাদের কথাই মনে করিয়ে দিয়েছে। তাই এই মুহুর্তে “দ্যা ব্বস এওয়ার্ড” চেয়ে আপনাদের “ভালবাসা” এবং “সম্মান” কেই এগিয়ে রাখছি। আপনারাই জার্মান প্রবাসের প্রাণ।
এবার অন্য প্রসঙ্গে আসি। বছরের পর বছর যাদের কথা শুনেও “অগ্রাহ্য” করে এলাম, তাদের অন্তত আজকে দুটো কথা বলতে চাই। হয়ত কারো জন্য এটা উৎসাহমূলক হবে।
কটু কথা বলতে নয়, বরং কীভাবে “নেগেটিভ” এনার্জি এড়িয়ে সামনে এগোবেন তার জন্যই এই বক্তব্য। 🙂
কয়েকজন আনকোড়া শিক্ষার্থীর শুরু করা এই আন্দোলনের পাশে দাঁড়ানোর মত মানুষ যেমন ছিল সবসময়, ঠিক তেমনি সাথে ছিল কিছু “সমালোচক”। আমাদের কাজগুলোকে আমরা বরাবরই ভালোবাসি। তাই প্রচুর সময় এতে ব্যয় হয়। অনেকেই অবাক হন। মনে মনে বা প্রকাশ্যেই বলেন, “এদের কি কোন কাজ নেই?” তাদের প্রতি সম্মান রেখেই বলতে চাই, আপনি টিভি দেখতে ভালবাসেন কিংবা ঘুরতে ভালবাসেন কিংবা ঘুমুতে ভালবাসেন। আমরা কি কক্ষনো বলেছি, “আপনার কি কোন কাজ নেই?” 🙂
যার যা করতে ভালো লাগে, তাতে সময় হিসেবে করা কঠিন। আমাদের অনলাইন এক্টিভিজম ভাল লাগে। এতে সময় দেয়া তাই আমাদের বিনোদনেরই অংশ।
আরেকদল আছেন যারা বলেন, “আরে, এটা তো শুধু একটা ওয়েবসাইট!”, “আরে, এটা তো শুধু একটা ফেসবুক গ্রুপ!” “আরে, এটা তো শুধু অনলাইন জার্মান ভাষা শিক্ষা কার্যক্রম!” আরেকটু আগ বাড়িয়ে, “আরে, এটা তো শুধু একটা ই-ম্যাগাজিন।” শুধু “আরে” আর “আরে”! বুঝতে পারছেন এরা কারা? জ্বী, এরা তারাই যারা মনে করেন “অনলাইন এক্টিভিজম” আসলে কিছু না।
যাই হোক, অনেক কথা বলে ফেললাম। আরো একবার বলতে চাই, আমাদের গায়ের চামড়া অনেক মোটা। আমাদের কাছে আমাদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য পরিষ্কার। আর সাথে তো আপনারা আছেনই। তাই কারো কোন অপ্রয়োজনীয় সমালোচনা আমাদের অগ্রযাত্রাকে ব্যহত করতে পারে নি এবং ভবিষ্যতেও পারবে না। We will continue making a difference both ONline and OFFline, that is a promise to you from us. 🙂
সবশেষে, ২৩০০+ এরো বেশি ব্লগ/ওয়েবসাইটের সাথে প্রতিযোগিতা করে “জার্মান প্রবাসে” কে সম্মানিত জুরিমন্ডলী চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বীতার জন্য জন্য মনোনয়ন দিয়েছেন। তাঁদের প্রতি জানাই আমাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
সবাইকে আবারো ধন্যবাদ যাঁরা ভোট দিয়েছেন, যাঁরা সাথে ছিলেন, যাঁরা উৎসাহ দিয়েছেন। নাম নিতে গেলে আসলে শেষ হবে না। তাই এই পোস্টের মাধ্যমে আমাদের প্রত্যেক শুভাকাঙ্ক্ষীকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন। এই অর্জন আপনাদের সবার। এই অর্জন আমাদের সামগ্রিক লক্ষ্যের। এই অর্জন আমাদের নতুন কিছু করার আন্দোলনকে আরো বেগবান করবে সেই ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।
সবাই ভাল থাকবেন এবং জানবেন,
সব ভালোর পাশে, জার্মান প্রবাসে।
(বাংলিশ কিছু শব্দের জন্য মার্জনা করবেন।)