সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে যারা ঘৃণামূলক পোস্ট করেন, এমন সন্দেহভাজনদের ধরতে সম্প্রতি জার্মান পুলিশ একটি সিরিজ অভিযান চালায়।
কর্তৃপক্ষ এই প্রথম এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করল বলে জানিয়েছে রয়টার্স। পুলিশ প্রায় ৬০টি ঠিকানায় এই অভিযান চালায়। পুলিশের মতে তাদের লক্ষ্য ছিল ‘উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাওয়া মৌখিক প্রগতিবাদ’ ঠেকানো। তারা আরও যোগ করেন, এই ধরনের অপরাধের তালিকায় রয়েছে নাৎসিবাদ(হিটলার সমর্থন), বিদেশী মানুষ নিয়ে অহেতুক ভয়(র্যাসিজম), সেমিটিক বিরোধ(ইহুদী বিদ্বেষ) এবং অন্যান্য ডানপন্থী চরম্পন্থার(যেমনঃ ইসলামোফোবিয়া) প্রশংসা করা।
এই বিষয়ে জার্মানির ফেডারেল অপরাধমূলক পুলিশ কর্তৃপক্ষের প্রধান ভোলগার মাঞ্চ বলেন, “এই অভিযান প্রমাণ করে যে জার্মান ফেডারেল ও রাজ্য সরকারের পুলিশ কর্তৃপক্ষ ইন্টারনেটে উস্কানিমূলক সব কিছুর বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে কাজ করবে।” তিনি আরও জানান, ইউরোপীয় শরণার্থীদের সংকট প্রাক্কালে ইন্টারনেটে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ঘৃণা অপরাধ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০১৫ সালে জার্মানি প্রায় ১০ লাখ অভিবাসী এবং উদ্বাস্তুকে থাকার সুযোগ দেয়। সাধারণত সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতেই প্রগতিবাদের সূচনা হয় এবং ফলাফলস্বরূপ আক্রমণ হয় শরণার্থীদের আশ্রয়কেন্দ্রে, জানান মাঞ্চ। তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হয় ২০১৫ সালের জুলাই থেকে নভেম্বর মাসের মধ্যে একটি গোপন ফেইসবুক গ্রুপে ঘৃণামূলক কথাবার্তা হয়। আর পরবর্তীতে এই খবরের উপর ভিক্তি করে জার্মানির ১৪টি প্রদেশে অভিযান চালানো হয়, যেখানে অংশ নেয় ২৫ টি পুলিশ বিভাগ।
এই কারণে ফেইসবুক, টুইটার এবং গুগল জার্মানিতে তোপের মুখে রয়েছে। জার্মান কর্তৃপক্ষের চাপের মুখে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেবা থেকে এই সব কথাবার্তা মুছে দিতে রাজী হয় এবং পরবর্তীতে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেয় এই তিন সামাজিক মাধ্যম।
এই প্রক্রিয়ায় ফেইসবুক একটি জার্মান মাল্টিমিডিয়া সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশগ্রহণ করবে, এই সমস্যা সমাধানে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করবে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে আলোচনার মাধ্যমে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করবে।
Facebook also agreed to a series of further measures including:
- Partnering with a German group of multimedia service providers to solve the problem
- Launching a task force to deal with hate speech on the internet
- A campaign to promote “counter speech” in German, drawing in experts to develop ways to combat racism through discussions on social media.
জার্মান আইন অনুযায়ী বর্ণবাদী ঘৃণা প্রবর্তনা একটি অপরাধ, যার সর্বোচ্চ শাস্তি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড।
এই কারণে ফেইসবুক, টুইটার এবং গুগল জার্মানিতে তোপের মুখে রয়েছে। জার্মান কর্তৃপক্ষের চাপের মুখে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেবা থেকে এই সব কথাবার্তা মুছে দিতে রাজী হয় এবং পরবর্তীতে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেয় এই তিন সামাজিক মাধ্যম।
তথ্যসূত্রঃ
http://bangla.bdnews24.com/tech/article1184076.bdnews
http://www.bbc.com/news/technology-36804363