Bangladeshi Student and Alumni Association in Germany যাকে আপনারা জার্মান প্রবাসে নামে চেনেন…তার পঞ্চম বর্ষপূর্ণ হলো এবং এখনো আমরা টিকে আছি, আপনাদের সাথেই আছি। পদে পদে কষ্টিপাথরের পরখ থেকেই উতরে যাচ্ছি যা মনের ভয়ভীতিকে জয় করে সামনে এগিয়ে যাবার আশা জোটায় আমাদের প্রতিনিয়ত। এই বছর অনেক উল্যেখযোগ্য ঘটনার মাঝে ছিল আমাদের জার্মান প্রবাসে ম্যাগাজিনের এযাবত কালের শ্রেষ্ঠ সংখ্যার প্রকাশ। কোনটি তা আমরা বলবো না তবে দেখে নিতে পারেন প্রকাশনাগুলো
আমাদের সেমিনার সিরিজের অনেকগুলো সেমিনার দেশের আনাচে কানাচে অনুষ্ঠিত হয়েছে কেবলমাত্র শিক্ষার্থীদের মাঝে সচতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে। আমরা কতটা পৌছাতে পেরেছি তার বিবেচনা আপনাদের হাতেই ছেড়ে দিলাম। তবে এতটুকু জানি- ছেলে পেলে এখন আর অন্ধের মতন এজেন্সীর কাছে যায় না। যাদের পঁচা শামুকে পা কাটার শখ কেবল তারাই এজেন্সী এবং দালাল খুঁজে বেড়ায় স্বার্থ সিদ্ধির আশায়। আর বাকিদের জন্যে জার্মান প্রবাসের আমরা আছি সবসময়।
সেই সাথে আপনাদের ভালবাসার নিদর্শন হিসেবে ছিল আমাদের ডয়েচে ভেলে পুরষ্কার “the Bobs award” । এই অ্যাওয়ার্ড আপনাদের সমর্থন ছাড়া আমাদের ঝুলিতে হাজির হতোনা। আমরা বিশ্বাস করি, যেকোনো ভালো কাজের সাথে আছে জার্মান প্রবাসে। আর সেই সাথে আছেন আপনারা যারা আমাদের বিশ্বাসকে প্রতিনিয়ত অখুন্য রেখে চলছেন।
এতকিছুর মাঝেও বারবার কষ্টিপাথরে পরখ করে এগিয়ে যাবার ইচ্ছা যেন কোনোভাবেই কমতে চায় না! জার্মান প্রবাসে সময় সময় এয়ারপোর্ট ম্যাজিস্ট্রেট পেজটি থেকে নানান প্রয়োজনীয় তথ্য প্রকাশ করে থাকে যা আমাদের অনেকেরই অনেক উপকারে আসে।
airport-customs-immigration
নানান পোস্ট আমরা অনেক সময়ই শেয়ার দেই যা দেখে অনেকেরই মনে হয়- নাহ কেউ একজন হয়তোবা দেশটাকে ভালোর দিকে নিয়ে যাচ্ছে। ব্যক্তিগত ছোট্ট একটা কথা না বললেই নয়, হটাত করে এক হতাস পোস্ট দেখতে পাই (যা মুছে ফেলা হয় পরে) যেখানে ক্যান্সার এবং আরো কিছু চিন্তার ছাপ চোখে পরে লেখার মাঝে। মানুষটিকে চিনিনা তবে তার কাজ কে চিনি। তারই দেয়া পোস্ট পরে কখনো হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খেতে হয় আবার কখনোবা চোখে পানি চলে আসে। আমাদের পেজএ পোস্টটি শেয়ারও দেই তবে মনে এক অন্যধরনের চিন্তা বাসা বাধে, কি করা যেতে পারে। এর মাঝে দেখি অ্যাকশন মাসরুফ হোসেনের গ্রুপ রেডি, অ্যাকশন প্লান, সাথে ধমক- কেউ টাকা পয়সা উল্টা পাল্টা করলে কইলাম জেলে ভরুম…সব সেন্টি এক সাথে হলে যা হয় আর কি…এর মাঝে প্রথমবারের মতন ইউসুফ ভাইয়ের নাম জানার সুযোগ আসে আর সেইসাথে ছবিও দেখতে পাই কভার পেজ এ। খুব তাড়াতাড়ি অনেকগুলো পদক্ষেপ নিতে হয়, সেইসাথে হয় নানান টক-মিষ্টি অভিজ্ঞতা যেখানে কাজের লোকের বরই অভাব কিন্তু খবরদারি করার মানুষের অভাব নাই। যাইহোক ছোটখাট এবং বড় অনেক ডিসিশন খুব অল্প সময়ের মাঝে আমাদের নিতে হয়। কিভাবে আমরা কাজটি করলে ট্রান্সপারেন্সি থাকবে আবার হুরমুর করা কোনো কাজ হবে না সেই সাথে সিস্টেমেটিক কাজটি হয়ে যাবে। অনেকটা চ্যালেন্জ হিসেবে নিয়েই আমরা সিধান্ত নেই “ম্যাজিস্ট্রেট ইউসুফ ভাইয়ের জন্য আমাদের ভালবাসা এবং ফান্ড আপডেট“ নামের লেখাটি প্রকাশ করতে এবং আমাদের গ্রুপের কভার পেজ আমরা এমনভাবে ব্যবহার করবো যাতে ভালো কাজের প্রতি কার কেমন আস্থা তা পরখ করে দেখা যায়। খুব বড় পদক্ষেপ হিসেবে এই দারভার নিয়েই আমরা সামনে আগাই যাতে ইউসুফ ভাইয়ের কোথাও এতটুকু যেন মাথা নত না হয়। দেশের সুযোগ্য সন্তানের পরিচয় আমরা তার কাজের মাধ্যমে সবার কাছে তুলে ধরতে চেষ্টা করি। “Magistrates, All Airports of Bangladesh” নামের পেজটিই হয় আমাদের কভার পেজ নকশার মূলমন্ত্র আর সেই সাথে বাকি অংশ নেয়া হয় “Support for yousuf bhai” গ্রুপটি থেকে তাদের সাথে একাত্ব ঘোষনার উদ্দেশ্যে।
কষ্টি পাথরের পরখ নাকি ভালোবাসা ? যেটাই হোক না কেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা আর একবার আমাদের মুখ উজ্জল করে তোলে তাদের ভালবাসার কথা জানিয়ে। প্রতিদিন ব্যাঙ্ক আর পেপাল দেখে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারিনি আমাদের দলের তরুণ প্রজন্ম কতটা আন্তরিকতার সাথে, বিশ্বাসের সাথে সামিল হয়েছে। আমরা ঘোষনা দিয়েও যেন থামাতে পারছি না। নিবেন না কেন? এই প্রশ্নবানে নিত্য আমি, আমরা জর্জরিত। এমন প্রশ্ন যেন অন্যরকম ভালবাসা এবং আমাদের প্রতি মানুষের বিশ্বাস। সবকিছু দেখে মনে হয় নাহ আমরা আছি এবং থাকবো। অনেকেই বাহবা দিবে, পেছন থেকে টেনে ধরবে, জ্ঞান ভরা লেকচার দিবেন তবে কাজের সময় ঐ জার্মান প্রবাসে থাকবে…সেইসাথে থাকবে আলোকিত তরুণ সমাজ।
“আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে, কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে”
আমরা স্বপ্ন দেখি সেই মানুষ হবার এবং পাচ বছরের কর্মধারা আরো অনেকদূর এগিয়ে নেবার। আশাকরি আমরা আজীবনই বড় বড় লেকচার না দিয়ে শুধু কাজের মাধ্যমেই প্রমান করে দেব- আমরা আছি এবং থাকবো…পৃথিবীর বুকে এক টুকরো বাংলাদেশ।