আসসালামু আলাইকুম,
পরম করুনাময় এবং অশেষ দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। জার্মানি তে পরতে ইচ্ছুক সবাইকে জানাই শুভেচ্ছা। লেখালেখির অভ্যাস নেই বললেই চলে, তাও লিখতে বসলাম, যদি কারও কোন কাজে লেগে যায়। আজকে কটা গল্প বলি আপনাদের, আশা করি ধৈর্য ধরে পরতে পারবেন (পরতে পরতে বিরক্ত হয়ে ঘুমিয়ে গেলে লেখক কোন অবস্থাতেই দায়ি নন!!!)
গল্প ১
গল্পের শুরুটা অনেকদিন আগের, প্রায় বছরখানেক এরও বেশি আগের হবে। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বন্ধু বলল এই শুনেছিস, জার্মানি তে ভাল ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরতে কোন খরচ লাগে না, পরা শেষ করে আবার দের বছর কাজ খোজার ভিসাও দেয়। শুনে আমার আক্কেল গুড়ুম, বললাম বাজে বকছিস নাতো। ও বলল, তুই নিজেই ঘেঁটে দেখ। আমি ছোট বেলায় গোয়েন্দা সিরিজ এ পড়া গোয়েন্দাদের মত চোখ কুঁচকে অর দিকে চাইলুম, ভাব্লুম বেটা বাঁদরামি করছে নাতো। সিধান্ত নিলুম, ব্যাপারটা খতিয়ে দেখব। যেই ভাবা সেই কাজ, লেগে পরলাম খবর নিতে, জানলাম জার্মান এর এক চমৎকার বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা, RWTH Aachen। Automotive Engineering MSc. নামে একটি বিষয় পছন্দ ও হয়ে গেল। দিলাম অ্যাপ্লাই করে। winter semester এর জন্য অ্যাপ্লাই করার শেষ সময় ছিল ১লা মার্চ, ২০১৫। পড়াশোনা র বেস্ততায় অ্যাপ্লাই করতে করতে গিয়ে করেছিলাম ২৫ এ ফেব্রুয়ারী। জার্মানি তে যে কাগজ মেইল করতে হয়, এ ব্যাপারটা জানতাম না। application জমা দেয়ার পরে জানতে পারলাম, কিন্তু ততদিনে ত অনেক দেরি হয়ে যায়, মেইল পাঠালে গিয়ে পৌঁছাবে অনেকদিন পরে। চিন্তায় চিন্তায় পাঠালাম uni তে ইমেইল। তারা জবাব দিল, ফ্যাক্স করলেও হবে। সেজাত্রা বেচে গেলাম ফ্যাক্স করেই। যাহোক সেপ্টেম্বর এর ২৩ তারিখ এ আমাকে জানানো হল, আমার application সফল হয়নি। দুঃখ পেলাম, ভেবেছিলাম হয়ে যাবে, কিন্তু হয়নি। সে জাই হক, সামার semester এর জন্য অ্যাপ্লাই করার ্সময় প্রায় শেষ সব বিশ্ববিদ্যালয়ের, বুদ্ধি করে এক ই বিষয় এ RWTH Aachen এ কেন জানি সামার এর জন্য ও অ্যাপ্লাই করে রেখেছিলাম ১লা সেপ্টেম্বর এ। হয়ত কোন কারনে কিছুদিন ছুটি কাটাতে চেয়েছিলাম এই কথা ভেবেই। সে যাই হোক, কিছুদিন পর জানলাম, সামার এও আমার হয়নি। এবার আমি শুধু একটি university তেই না, সিধান্ত নিলাম ৫-৬ তি ইউনিভার্সিটি তে অ্যাপ্লাই করব, তবে যেহেতু জার্মান জানি না, সেহেতু পছন্দের বিষয়ের সংখ্যাও ছিল সীমিত। করে ফেললাম অ্যাপ্লাই stuttgart, TUM, Esslingen, RWTH Aachen এ। Stuttgart এ দুটি বিষয়ে অ্যাপ্লাই করেছিলাম, এক্তার জন্য IELTS চাইল, কোথাও লাগে না, ওদের ওখানে চেয়ে বসল, বিরক্তই হলাম, আমার ব্যাচেলর ইংলিশ মাধ্যম ছিল তাই কোথাও IELTS এর প্রয়োজন হয়নি, হলনা সেই বিষয়ে সফলতা। বাকি গুলর মধ্যে esslingen এ হয়েছিল আরেক সমস্যা, আমি খরছ কম দেখে EMS সারভিছ ব্যাবহার করেছিলাম ডাকবিভাগের। অনেক গুলো কাগজ সময় মত পৌঁছেছিল পূর্বে, তাই esslingen এ অ্যাপ্লাই করার সময় এক এ সারভিস ব্যাবহার করেছি। কিন্তু সাধারন সময় (১ সপ্তাহ) এর অনেক অনেক বেশি সময় লেগেছিল পৌছাতে, তাই আমার তিনটি application বাতিল করে দেয়া হয়েছিল। দুঃখ ভরাক্রান্ত ছিল হৃদয়, স্রেফ বোকামি করে আমার এমন দশা হয়েছে। যাহোক, দু দুবার বিফল হলেও RWTH Aachen এ পরার মায়া ছাড়তে পারিনি, কিন্তু কোন আশাও দেখছিলাম না, তারপর ভাবলাম, সবজায়গার সাথে এখানেও অ্যাপ্লাই করে দেই, অনলাইনে কিছু ফ্রী ফাক্স করার ওয়েবসাইট আছে, সেসবের এক্তায় করে পাঠিয়ে দিব, যদিও জানার আসলে কোন উপায় নেই, এগুলো কাজ করে কিনা, তবুও পাঠালাম। এবার RWTH Aachen এ তিনটি বিষয় এ আপ্লাঈ করলাম, Automotive Engineering MSc, Simulation Science MSc & Metallurgical Engineering MSc. কিছুদিন পর এক্তা এক্তা করে জবাব আসতে থাকলো, সব মিলিয়ে ৬ টার উপরে বিষয় এ অ্যাপ্লাই করেছিলাম, প্রায় সবগুলাতেই বিফল হওার খবর আসতে লাগলো। আশা ছেরে দিলাম, অন্য কোন দেশে পরার বেপারে ভাবতে লাগলাম। তখন তালিকায় ছিল UK, USA, Canada আর Australia. দেখলাম পড়াশোনা র ভিসন খরচ, এর ভিতরে এক বৃত্তির খবর পেলাম UK তে, শর্ত IELTS এ মিনিমাম ৮ হলে বৃত্তি পেতে পারি হয়ত। আমাকে উৎসাহ দিতে এর মধ্যেই RWTH Aachen আরও একবার Automotive Engineering MSc বিষয় এ বিফল ঘোষণা করলো। তিনবারের মতো বিফল হোয়ে মূড়মূড় কড়ে ভেঙে পড়লাম। তবে যাই হোক, আশা না হারিয়ে লেগে গেলাম IELTS এর পড়াশোনায়, পরীক্ষার দিন ছিল ২১ মে, ২০১৬। ঠিক ১৮ মে র দিন হটাত করে আমার ইয়াহু মেইল বক্স এ একটা ইমেইল দেখলাম, বিষয়বস্তু RWTH Aachen এ যেহেতু তুমি পরবে সেহেতু বাসা খোজা শুরু কর, প্রথমএ ভাবলাম একটা বাজে রসিকতা, পরে দেখলাম ইমেইল ইউনির, তখন ভাবলাম ভুল করে ইমেইল করল নাকি, আমিতো কোন এদ্মিশন লেটার পাইনি, উত্তেজনায় ঘুম এ আসল না রাতে, পরদিন ফোন দিয়ে জানলাম, Metallurgical Engineering MSc. তে admission পেয়েছি, বুঝতেই পারছেন কি খুশীটা হয়েছিলাম। যা হোক, IELTS এর পড়া শিকেয় উথল। রঙিন স্বপ্ন দেখতে লাগলাম। তারপরেও এত টাকা দিয়ে IELTS করলাম, তাই পরীক্ষা দিতে গেলাম। কিসুদিন পরে ফলাফল আসল ৭.৫। এখানেই সমাপ্তি আমার প্রথম গল্পের, শুরু হল আমার পরের গল্প
গল্প ২
Admission পেয়েই এক বড় ভাইয়াকে বললাম ভাইয়া এখন কি করি, ভাইয়া জার্মান প্রবাশের লিঙ্ক দিল আর কিছু ফেসবুক পেজ এর বেপারে জানালো, পরতে লাগলাম, যেসব বড় ভাইয়া, আপুরা তাদের অভিজ্ঞতা সবার সাথে ভাগাভাগি করেছেন সবাইকে আমার অসংখ্য ধন্যবাদ এবং প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। কিছু মানুষের কথা না বললেই না, বিশেষ করে তানজিয়া আপু আর রাশিদুল ভাইয়া। শত কাজ আর বেস্ততার মাঝেও তারা সবসময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, নিজের ছোট ভাই বোনদের মত গাইড করেছেন আমাদের, অনেক কাজের ফাকে পাওয়া অবসরের একটি বিকেলকেও হয়ত বিলিয়ে দিয়েছেন আমাদের সেবায়। আশা করি আপনাদের দেখে অনেকেই অনুপ্রানিত হবে এবং সবাই একজন আরেকজনকে সাহায্য করতে উৎসাহী হবে। বেক্তিগত ভাবে Mohammad Anwarul Nazim ভাইয়াকে ধন্যবাদ দিতে চাই অনেক অনুপ্রেরনা দেয়ার জন্য।
যাহা হউক কাজের কথায় আসি। ভিসা প্রসেস এর প্রয়জনিয় কাগজ পত্র যোগার শুরু করে দিলাম। অরিজিনাল এডমিশন লেটার হাতে পেতেই ২০ দিন লেগে গিয়েছিল। ডয়েচ ব্যাংক এ ২৫ সে মে ফর্ম পাঠিয়ে দিয়েছিলাম এমব্যাসি র থেকে সত্যায়িত করে। ২১ দিন লেগেছিল অ্যাকাউন্ট খুলতে। এই ২১ দিন খুব এ হতাশার মাঝে কেটেছে, কত রকম ছিন্তা মাথায় এসেছিল। আমি এর এক বন্ধু একসাথে আরামেক্স থেকে ডয়েচ ব্যাংক এর ফর্ম পাঠিয়েছিলাম। আমার বন্ধু ১১ দিনের মাথায় অ্যাকাউন্ট এর তথ্য পায় কিন্তু আমার লেগেছিল ২১ দিন। বাংলাদেশ থেকে ৮০৪০ ইউরো জার্মান ব্যাংক এ পাঠাতে হয়। ব্যাংক টি টাকা পাওয়ার পর জানিয়ে দেয় তারা টাকা পেয়েছে। তারপরে এমব্যাসি ভিসা দেয়। এটি আর্থিক সচ্ছলতার প্রমান। তা যাই হোক, আমি একটি ব্যাংক খুজসিলাম যারা এমব্যাসি র গ্রহণযোগ্য উপায়ে টাকা পাওয়ার ব্যাপারে এমব্যাসি কে নিশ্চয়তা দেয়। সিধান্তহিনতায় ভুগসিলাম কি করি, হটাত আবির্ভাব হল এহসান মাহমুদ এর। উনি জানালেন স্পারকাসসে আখেন নামে একটি ব্যাংক আছে, তারা নাকি ব্লোকড অ্যাকাউন্ট খুলে। কিন্তু সম্পূর্ণ এক নতুন ব্যাংক, তাদের নতুন পলিসি, সাহস করে কেউ এ টাকা পাঠাতে চাচ্ছিল না। এহসান মাহমুদ নিজেই টাকা পাঠালেন প্রথম এবং আমাদের জানালেন যে উনি প্রয়জনিয় কাগজ হাতে পেয়েছেন এবং এমব্যাসি তা গ্রহন করেছে। সাহস করে আমিও উদ্যোগ নিলাম স্পারকাসসে আখেন এ টাকা পাঠানোর। স্পারকাসসে আখেন এ টাকা পাঠানোর একটা বড় সমস্যা ছিল এই যে, ওরা আপ্প্রনের নামে কোন আচ্অ্যাকাউন্ট খুলে দিবে না। বরং ওরা নিজেদের একটা অ্যাকাউন্ট এর ঠিকানা দিবে যেখানে আপনাকে টাকা পাঠাতে হবে, অ্যাকাউন্ট হল্ডার স্পারকাসসে আখেন নিজেই। এইজন্য অনেক বাংলাদেশি ব্যাংক ঝামেলা করে। EBL দিল্কুশা শাখায় গেলাম, খুব এ বাজে অভিজ্ঞতা নিয়ে ফেরত আসলাম। এক বন্ধু জানালো সিটি ব্যাংক বানানি শাখায় ওরা টাকা পাঠাতে রাজি হয়েছে। ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে গেলাম বনানি। যাওয়ার আগে ওদের কাস্তমার কেয়ারে ফোন দিলাম student file খোলার ব্য্যাপারে, আমাকে প্রয়জনিয় কাগজের একটি তালিকা দিয়ে দিল। কাস্তমার কেয়ার ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকে এবং খুব এ অমায়িক। একটি তালিকা দিচ্ছী প্রয়জনিয় কাগজপত্রের। student file খোলার আগে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা আবশ্যক, তাই কিছু অতিরক্ত কাগজপত্র নিতে হয় সাথে।
১। ১ কপি ছবি
২। একজন নমিনির জাতিয় পরিচয় পত্র
৩। নমিনির নামে বিলের (বিদ্যুৎ, গাস) কপি, বেবসায়ি হলে ট্রেড লাইসেন্স, চাকুরিজিবি হলে সালারি সার্টিফিকেট।
৪। নমিনির ১ কপি ছবি
student file খোলার জন্য প্রয়জনিয় কাগজপত্র
১। এডমিশন লেটার
২। ২ কপি ছবি
৩। সকল সনদপত্র
৪। যেই ব্যাংক এ টাকা পাঠাবেন তার রিফান্ড পলিসি
৫। যেই বিষয় এ পড়বেন টার ব্যাপারে তথ্য, যেমন কত semester, কত দিন লাগবে পরতে
৬। এমব্যাসি র ভিসা requirement পেজ, যেখানে টাকার পরিমান দেয়া আছে।
৭। নতুন এবং পুরান পাসপোর্ট এবং তার ফটোকপি।
ব্যাংক এ যাওয়ার আগে ফোন দিয়ে এই তালিকা কি যাচাই করে নেয়ার অনুরধ রইল।
এবার আসি স্পারকাসসে আখেন এ অ্যাকাউন্ট খুলার পদ্ধতি।
আপনি যদি আখেন এর কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পরে থাকেন তবেই শুধু স্পারকাসসে আখেন এ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন এই নিয়ম চালু হয়েছে ১ জুলাই থেকে। প্রথমেই আপনাকে [email protected] তে একটি ইমেইল পাঠিয়ে জানাতে হবে আপনি একটি স্টুডেন্ট ব্লকড অ্যাকাউন্ট খুলতে আগ্রহী। ওরা তখন আপনার কাছে পাসপোর্ট এর একটি কপি চাবে আর আপনার এডমিশান লেটার চাবে। ইমেইল করে দিলেই ওরা পরদিন এ আপনাকে ওদের সিস্টেম এ রেজিস্টার করে নিবে। আপনাকে ওরা টাকা পাঠানোর জন্য একটা IBAN নম্বর দিবে। ব্যাংক ব্লকড সার্টিফিকেট বানানর জন্য ১০০ ইউরো চার্জ করে। এবং ওরা এক একটি মেইল DHL এ পাঠাতে ৫৬ ইউরো করে চার্জ করে। ১তি মেইল আপনার থিকানায়, আরেক্তি মেইল এমব্যাসি র থিকানায় পাঠাতে পারেন। ২ টি DHL যদি চান তবে সব মিলিয়ে ২১২ ইউরো অতিরিক্ত জমা দিতে হবে। আপনাকে ব্যাংক থেকে যেদিন টাকা পাঠাবেন, তার পরদিন এ টাকা পেয়েছে এমন একটি ইমেইল আপনাকে স্পারকাসসে আখেন করবে, এবং জানতে চাইবে আপনি কি এখন সার্টিফিকেট পাঠাতে চান নাকি। সময় বাছানর জন্য যেদিন টাকা পাঠাবেন অইদিন এ সার্টিফিকেট বানিয়ে পাঠানোর জন্য রেকুএস্ত করতে পারেন। নিচের ফরম্যাট তা ফলো করতে পারেন এই ক্ষেত্রে। এটা আমাকে এহসান মাহমুদ দিয়েছিলেন, উনাকে ধন্যবাদ যানাই এই সাহায্যের জন্য।
Dear Sir,
I have sent 88252 euro to your account. I have attached the receipt of the payment. The blocking amount is 8640 Euro, monthly limit of 720 Euro.
Full Name: AXXX xxxxxx
Date of Birth: xx.xx.xxxx
Passport No.: BCXXXXXXX
Please generate a blocked amount certificate for me to send to the embassy, that I have blocked 8640 euro in your bank stating all my details.
Please send out the certificates to two addresses as I have sent twice the DHL fees.
One to Dhaka Embassy
Botschaft der Bundesrepublik Deutschland
Embassy of the Federal Republic of Germany
178, Gulshan Avenue, Gulshan 2, Dhaka-1212, Bangladesh
Phone: (00880-2) 985 3521-24
Fax: (00880-2) 985 3260
Email: [email protected]
Another one to myself
AbuXXX xxxxx
1st Floor, XXXXXXXXX,
Mohammadpur, Dhaka 1207
Bangladesh
Phone: +880XXXXXXXXXXX
Please also send me an email confirmation as soon as you receive the payment.
ব্যাংক আপনার টাকা এবং রেকুএস্ত পাবার সাথে সাথে সার্টিফিকেট বানিয়ে অইদিন এ DHL করে পাঠিয়ে দিবে। একটি কথা জানিয়ে রাখা ভাল এখান থেকে যে টাকা পাঠাবেন, ৫-১০ ইউরো কম পৌছাতে পারে স্পারকাসসে তে, তাই একটু অতিরিক্ত পাঠানোর চেষ্টা করবেন। আপনার সেমেস্তার ফী এর জন্য অতিরিক্তু কিছু টাকা পাঠানোর অনুমুতি নিয়ে নিবেন এবং জত টাকা পাঠাতে চান তার থেকে ১০ ইউরো বেশি পাঠাবেন। ব্যাংক DHL পাঠানোর ৩ দিন এর মধ্যেই আপনি সার্টিফিকেট পেয়ে জাবেন। ব্যাংক এর কাসে চাইলে DHL নাম্বার ও আপনাকে দিয়ে দিবে। এই গেল ব্লকড অ্যাকাউন্ট এর বেপার সেপার। এখন শেষ গল্প টা বলি
গল্প ৩
গ্রীন ডেলটা থেকে ৩ মাসের একটা ইনসিওরেন্স করে মতামটি রেডি হয়ে গেলাম। আরেকটা কথা, ছবি একটি গুরুত্তপুরন বিষয়। আমি গুলশান এর মোর থেকে হামিদ টাওয়ার এর রোড ধরে কিছুদুর আগালে একটা গলি পার হয়ে হাতের ডান দিকে VIP photo studio থেকে ছবি তুলেছি। ওরা বেস এক্সপারট, ৪ কপি ২২৫ টাকা, জার্মান ভিসার নাম বললেই হয়, আর কিছু জানতে চায় না ওরা। যা হোক, সবা কাগজ পত্র নিয়ে ২৪ এ জুলাই, ২০১৬ ভিসার জন্য এমব্যাসি গেলাম, appointment ছিল ১১ তায়, আমি ১০ টায় গিয়েছিলাম। appointment এর প্রিন্ট এর পাসপোর্ট দেখে আমাকে ভিতরে ডুকাল। ভিতরে একটি তালিকা দিল কি কাগজপত্র লাগবে এবং তাদের ক্রম ও দিল। তালিকাটি নিম্নরুপ
ডকুমেন্টস লিস্ট :
১. ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম
২. অফার লেটার
৩. ব্লকড একাউন্ট ফর্ম
৪. IELTS সার্টিফিকেট
৫. হেল্থ ইনসিওরেন্স
৬. HSC মার্কশীট ও সার্টিফিকেট
৭. BSC মার্কশীট ও সার্টিফিকেট
৮. পাসপোর্ট
৯. ছবি (০৩ কপি)
সব কিছু সাজিয়ে জমা দিলাম, এরপরে কিসুক্ষন পরে আমার নাম ধরে ডাকা হল। গেলাম দুরু দুরু বুক নিয়ে। কথপকথন নিচে দিলাম হুবুহু
Me: hello, good morning.
Vo: so, you did bachelor from england?
Me: yes
Vo: how many semester was there?
Me: in total, six semesters in 3 years
Vo: how many semester would you have in your masters course?
Me: 4 semesters
Vo: what is the name of your bachelor degree
Me: bachelor of engineering in mechanical engineering
Vo: what is the name of masters course you applied for? In which uni and where is it?
Me: The name of my masters course in Metallurgical Engineering MSc. The name of my university is RWTH Aachen and it is located at Aachen.
Vo: is your bachelor course somewhat related to your masters?
Me: Mechanical engineering is concerned with manufacturing and increasing the efficiency of a sytstem, whether metallurgical is purely based on manufacturing techniques of metals and non-metals. So, it can be called a branch of mechanical Engineering. So, yes, metallurgical engineering is related to mechanical engineering.
Vo: here is the receipt. Submit the money.
২১ তারিখ এ এমব্যাসি তে স্পারকাসসে আখেন এর DHL চলে গিয়েছিল কিন্তু এমব্যাসি আমাকে ২ তারিখ এ জানায় যে তারা blocked amount confirmation পেয়েছে। আপাতত ভিসার জন্য দিন গুলছি। সব এ আল্লাহ র হাতে, আশা করি আমাদের সবার স্বপ্ন গুলো আল্লাহ পুরন করবেন। আপনি আপাতত যেই পরিস্থিতিতেই থাকুন না কেন, আমি বলব আল্লাহ র উপরে ভরসা রাখুন এবং লেগে থাকুন, আমার মত একটি অপশন না অনেকগুলো অপশন হাতে রাখুন। আশেপাশের কথায় বেশি কান দিয়েন না। ইনশা আল্লাহ ভিসা পেয়ে জার্মানি তে খুব শিগগীর দেখা হবে আপনার সাথে। একটি বচন দিয়েই লেখাটি শেষ করি।
“THE IDIOT DIDN’T KNOW IT WAS IMPOSSIBLE, SO HE DID IT”
May allah (subhanahuwataala) bless you all and fulfill your good intentions. Allahu Akbar
vhaiya personally jdi ekto bujhiye diten.vlo hoito….pls vhaiya.