বাংলাদেশী নতুন ছাত্র
সব সময় নতুন পুরাতন সবাইকে সাধ্যমত সাহায্য করার চেষ্টা করেছি।এই সেমিস্টারে নতুন অনেকেই এসেছে। এর মধ্যে আসার আগে একজন যোগাযোগ করল আপু আমি এক তারিখ আসবো আপনি প্লিজ নিতে আসবেন।
আমি নিজে প্রচন্ড ব্যস্ত ছিলাম স্টুটগার্ট এর বাইরে ছিলাম ব্লাক ফরেস্ট। একটা সেমিনার এ গিয়েছিলাম এর মধ্যেও একজন কে ঠিক করে দিলাম যে নিয়ে আসবে এয়ারপোর্ট থেকে। আসার পরে তাদের লাগেজ আসেনি। নিজে বাজার করে বাড়ি থেকে মসলা নিয়ে গিয়ে তাদের জন্য রান্না করে দিলাম। বাংলাদেশীদের সাথে আলাপ করে দিলাম যা লাগে যত টুকু সম্ভব হেল্প করলাম (যেমন বাড়ি থেকে নিয়ে রাউটার লাগিয়ে দেওয়া, মোবাইল চার্জার দেওয়া, সিম কিনে দেওয়া ইত্যাদি।)
দুই জন নতুন ছেলে একসাথে এসেছে এর মধ্যে একজন ডরমিটরি তে সিট পাইনি। এদিকে আমার ৭ তারিখ পরীক্ষা ছিল এর পরেও তাদের ভর্তির জন্য লাইব্রেরী থেকে পড়া ছেড়ে উঠে ব্যাংক এ গিয়েছি কোথায় ভর্তি এগুলো দেখিয়ে দিতে টাকা ট্র্যান্সফার করতে ।
৭ তারিখ আমার অন্য একটা দেশের ভিসা হয় বলে আমি ঘর দুই মাসের জন্য সাবরেন্ট দিব ভেবেছিলাম। ৮ তারিখ যে ঘর পাইনি বাংলাদেশী তাকে জিগ্যেস করলাম র্যাথ হাইজ আর কো অর্ডিনেটর কে খোজ নাও যে আমি যদি ঘরে সাবরেন্ট দেয় ভিসা পেতে অসুবিধা হবে কিনা। সে নিজেও খোজ নেয়নি ১১ তারিখ সকালে কল দিয়ে বলল সিটি আনমেলডুং হবে অসুবিধা নেই আমি কাগজ দিলেও হবে।আমি তখনি বললাম দুঃখিত আমি রুম দিতে পারব না।
যে ডরম পেয়েছে ছেলেটা বলল আপু ওর অনেক কিছু বেশী বেশী । তিনি সবার কাছে সিগারেট চেয়ে খায় আমার ভাল্ললাগে না। টাকা থাকলে খাবে না থাকলে নাই দেশী বিদেশি দেখলেই সিগারেট চেয়ে খায়। একজন পিএইচ ডি স্টুডেন্ট এর বউ এসেছে তার সাথেও ইউনিভার্সিটিতে নাকি রাগ । গ্রুপের ফ্রি টিকিট মেয়েটা কোর্ডিনেটর কে দিয়ে দিবে সে দিতে দিবে না সে একা এই টিকিট নিয়ে ঘুরবে। এই নিয়ে তার মেজাজ খারাপ।জোরে জোরে গান গাওয়া আর বাজানো নিয়ে প্রথম ছেলেটা বলল দেশে গাজা খাওয়ার সময় সবাই জোরে গান গায় । এইটা তার সেই অভ্যাস। আমি বললাম রুম পাওয়া গেলেও ওকে দিব না। এই কদিনের মধ্যেই সে এসেই আমাদের সাথে পুজোয় যাওয়ার সময় বিয়ার কিনলো আর এক জনের টাকায়। আমি একজন সিনিয়র আমাকে দেখেও সে নির্বিকার (অতি আধুনিক)।
আমাদের ফ্লাটে এই সব কেউ পছন্দ করে না মেয়েরা থাকে। ছেলেটাকে বললাম তুমি যদি এইসব ড্রিংক কর শুরু থেকেই, জোরে আওয়াজ কর আর যদি আমার বাসায় গার্ল ফেন্ড নিয়ে যাও এইসব এল্যাঊড না। সত্যি বলতে আমি এইগুলো দেখে মনে হয়েছে আমার ফ্লাটমেট কেউ এসব পছন্দ করেনা , তাকে না করে দেয়।কিন্তু তাকে এত কিছু না বলে শুধু বলেছি আমার ঘর সাবরেন্ট দেওয়া নিয়ে আমি ম্যানেজ করতে পারিনি। অন্য একজনকে কথা দিয়েছি তোমাকে দেওয়া যাবে না। আমার ঘর তোমাকে দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু দুঃখিত আমি দিতে পারবো না।
সে তখন থেকে বলা শুরু করলো আপনি আমাকে কথা দিলেন দিবেন। যদি দিতে না পারেন আমাকে কেন জানিয়েছেন । সেটা আপনার উচিৎ হয়নি।কিন্তু আগেও আমি তাকে বলেছি খোঁজ নিয়ে জানাও এর পরে টাকা এডভান্স দিয়ে চুক্তি করবে।কিন্তু কিছুই হয়নি।
সে পরে আবার আমাকে দেখেই বলল আমার অনেক ক্ষতি হয়েছে।
আমি আপনার রুমের জন্য সবাইকে না করেছি এর পরে যদি আমি আর ৩০ তারিখে এর মধ্যে ঘর না পাই। তখন কি হবে?
তার জন্য আমি সবাইকে কল দিয়ে ঘর এর কথা বললাম ফেসবুকে গ্রুপ গুলোতে পোস্ট ও দিলাম।
এর পরে সে আবার বলল আমার অনেক ক্ষতি হয়েছে । আপনি যখন ১০০% নিশ্চিত না তাহলে আমাকে কেন জানাইলেন না জানাতেন।আমার যে ক্ষতিহল তার ক্ষতিপুরন কি আমি একাই দিব???আপনি কাকে রুম দিবেন? নাম বলেন কে সে ? কোন দেশী পাকিস্তানী নাকি?
এর পরে সেসবুকে মেসেজ দেয় আপনি রিয়েলি কনফিউজিং পার্সন।প্রথম ছেলেটা নিজে থেকে তার সম্পর্কে সিগারেট চেয়ে খাওয়া গাজা খাওয়া টিকিট চেয়ে রাগ এই সব তথ্য দেয়। অথচ পড়ে ২য় ছেলেটা বলল আপনি আমার আর তার প্যাচ লাগাচ্ছেন। রুম দিব বলে দেন নাই । আপনার মুখে এই সব কথা মানাই না?
আমিঃ রুম তো ১০০% নিশ্চিত তোমাকে বলিনি যে রুম দিব? আর কি প্যাচ লাগিয়েছি?
সে ঃ আপনি কোন কথা বইলেন না। আপনার মুখে এই সব কথা মানাই না। আই গিভ এ ফাক টু ইওর রুম।
যে ছেলেটদের ভর্তি, ব্যাংক এর টাকা ট্রান্সফার এবং সেইদিন তাদের চাল নেয় আমি চাল নিয়ে গিয়ে রান্না করে দিয়েছিলাম ।
সে
আমাকে গ্রূপ চ্যাট এ বলল “I give a fuck to your room”
এর পরে আমি গ্রুপ চ্যট থেকে বেড়িয়ে তাকে ব্লক করে দেয়। স্ক্রীন শট কিছুটা আছে।
আমি বিষয়গুলো নিয়ে লিখতাম না তবে যেই শিক্ষার্থী বাংলাদেশ থেকে জার্মানিতে মাত্র এসেছে তার কাছ থেকে এহেন আচরন সত্যিই নিন্দনীয়। আমরা এখানে নিজেরা অনেক ব্যস্ত তবুও আন্তরিকতা নিয়ে সবাইকে সাহায্য করার চেষ্টা করি। আমাদের এই কষ্টের জন্যে কিছুটা হলেও ভদ্র ব্যবহার আশা করি। সময় থাকলো শুধরে নেবার অনুরোধ রইলো নাহলে এই গায়ের জোর এবং গালিগালাজ এর তেজ আর কতদিন?
তুমি যে পাত্রে ভাত খাও, সেই পাত্রে “…” কইরো না! (Must Read!)
বাস্তবতা এবং আমি
মেহেদী হাসান: চোরের মায়ের বড় গলা
Well sister sometime you have to admit that there is an opposite side of an coin. I am trying to get an admission in Germany but still can not. But I really shocked about the behaviour of those. Whatever you can not control and also can not hope something good from other unroll and unless other does good to you. That is what I leaned from my job experience and now I follow it. So sister I have a request Please do not judge everyone In a same manner. Hope you will share a lot good moments which you will have with some new comer . As Bangladeshi almost all are in good brotherhood. And forget rests.
Sister, after reading this post it seemed to me that this writing is totally distorting, skeptical and entirely having an ulterior motive to humiliate those specific persons. Some points should be noted here that you have been able to provide screen shots of conversation but could not manage to provide some dialogues like “I give a fuck to your room” which you gave only by writing. However, you could have taken screen shots of the whole conversation if you would have felt immensely insulted and post it here to make it more authentic and acceptable. Or, may be you have taken screen shots of whole conversation but there was of course something you have done wrong, may prove you guilty. I could have pointed out more. Apart from these, the new comer seems to be nothing but a stupid. After getting a lots of help from you he must not have behaved like these. For these kind of students the impressions of Bangladeshis are spoilt in foreign countries. Don’t mind sister, we all have at least a few demerits and merits both. Sometimes these get overexposed respectively but that does not mean we have to blame him or her unilaterally. I am planning to go Germany this year. I found this website really very helpful even this information will help me to be more careful about the image of Bangladeshis in Germany. I hope you will also help me to keep this image.