এই সিরিজটি আম জনতার জন্যে প্রযোজ্য না…অনেক চিন্তা করে তৈরী করা হয়েছে শুধুমাত্র প্রবাসী ছাত্রদের জন্যে। প্রতিটি খাবার হবে সস্তা, সহজ, কম সময়ে চটপট রান্না করার উপযোগী এবং সর্বপরি খাওয়ার যোগ্য…
পিঠা হলো সময় কাটানোর ভালো এক মাধ্যম। অনেকের সাথে কোনো অনুষ্ঠানে আয়োজনে বানিয়েও তাক লাগানো যায় তবে সব থেকে সস্তা এবং সহজ রেসিপিটি ছাত্রদের জন্যে!
যা যা লাগবে: (৩-৪ জনের জন্যে )
পিঠার জন্যে
ময়দা ২ কাপ (সব থেকে সস্তা যেইটা)
দুধ ২ কাপ
লবন ১ চিমটি
ডিম একটা
তেল ১/৪ কাপ
ভাজার জন্যে তেল
শিরার জন্যে
চিনি ২ কাপ
পানি ৪ কাপ
দারচিনি এ টুকরা (না থাকলে নাই)
পিঠা বানানোর জন্যে যা করতে হবে:
একটা পাতিলে দুধ ঢেলে গরম হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে তার পরে ময়দা, লবন ঢেলে দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে ফেলতে হবে চুলাতে থাকা অবস্থায়। এই কাজটাই সবথেকে কঠিন তাই প্রজেক্ট হয় এখানেই ফেইল নাহলে পরের ধাপে যাওয়া যাবে। মেশানো হলে কিছুটা নিচের ছবির মতন দেখতে হবে। কিছুটা পাতিলের নিচেও লেগে যাবে যা পানিতে ভিজিয়ে রাখলে তুলে ফেলা যাবে।
এরপরে নামিয়ে একটা প্লেট বা ট্রে তে রেখে হালকা ঠান্ডা হলে ভালো করে মাখাতে হবে। ভালো করে মাখানো হলে হালকা গরম যখন থাকে অথবা ঠান্ডা হয়ে গেলে একটা ডিম মিশিয়ে দিতে হবে। এই পর্যায়ে একটু বেশি নরম মনে হতে পারে তবে ঠান্ডা হলে একটু শক্ত হবে।
এরপরের ধাপে তেল মেশাতে হবে, যদি পরিমান বেশি মনে হয় তবে কম তেল মেশালেও হবে।
ভালো করে মাখানো হলে পছন্দ মতন আকার দেয়া যাবে। দুই রকমের ধারণা দেয়া হলো নিচের ছবিতে যেটা বানাতে ইচ্ছা করে করে ফেললেই হবে।
পিঠাগুলো ডুবোতেলে ভেজে ফেলতে হবে মধ্যম আচে। বেশি গরম তেলে পুরে যাবে !
পিঠা তুলে রেখে দিতে হবে ঠান্ডা হওয়ার জন্যে। এক পাত্রে পানি, চিনি এবং দারচিনি দিয়ে শিরা বানিয়ে রেখে দিতে হবে ঠান্ডা হবার জন্যে। শিরা হালকা গরম থাকতে পিঠাগুলো দিয়ে দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, পিঠা শিরায় দিলে ফুলে দ্বিগুন হবে তাই যথেস্ট জায়গা রাখতে হবে। আর শিরার মিষ্টি একটু বেশি হতে হবে তবেই পিঠা কিছুটা মিষ্টি মনে হবে। মিষ্টি হালকা হলে পিঠার স্বাদ ভালো হবে না।
স্বাদ-আহ্লাদ আর খানাদানা ৯: বিরিয়ানির ফাকিঝুকি
স্বাদ-আহ্লাদ আর খানাদানা ৭: সেমাই
স্বাদ-আহ্লাদ আর খানাদানা ৮: গরিবী হাল-নবাবি চাল