আমরা অর্থাৎ “CUET ENTREPRENEURSHIP CLUB” থেকে এমন কিছু করতে চাচ্ছিলাম যেটা একইসাথে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে একই ছাদের নীচে নিয়ে আসবে এবং বর্তমান সময়কার জন্য “পাব্লিক ডিমান্ড”। উচ্চশিক্ষা বিষয়ক সেমিনার বর্তমানে সেরকমই একটি বিষয়। তাই যখনই শুনমাল Rashidul Hasan ভাইয়া যিনি জার্মান প্রবাসে ব্লগ ও ম্যাগাজিনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা দেশে আসবেন ও এরকম একটি সেমিনার করার জন্য লোক খুঁজছেন তখনই আমরা উনাকে আমাদের আগ্রহের কথা জানানাম। তিনি আমাদের আগ্রহ দেখে আমাদের সাথে কাজ করার সম্মতি দিলেন। এরপরে অল্প সময়ে ঘটে যাওয়া অসাধারন গল্পটাই বলতে বসেছি এখন। হ্যাঁ, আমাদের ক্লাবের প্রথম অনুষ্ঠান হিসেবে এটি আমাদের জন্য গল্পই
Rashidul Hasan ভাইয়া দেশে আসবেন ডিসেম্বরের শেষ দিকে। থাকবেন মাত্র ১০ দিনের মত। দেশে আসার আগ থেকেই উনার সাথে নিয়মিত কথা হচ্ছে আর আপডেট জানাচ্ছি সেমিনারের। উনি আমাদের পরিচয় করিয়ে দিলেন Tanzia Islam আপুর সাথে। উনি কথা বার্তায় আর কাজে কর্মে যাকে বলে আয়রন লেডি উনার সাথে পরিচয়ের পর উনার ভয়েই কাজের গতি বাড়তে থাকে লক্ষ্য ছিল ডিসেম্বরের ২৯-৩১ তারিখের মধ্যে করব। এত দিন চট্টগ্রামের কোন হলরুম অনেক খুঁজে খালি পাই নাই এই সময়ের মধ্যে। পরে আমাদের Nazmus Sakib এর বুদ্ধিতে আমরা যোগাযোগ করলাম চট্টগ্রামের অন্যতম বিশ্ববিদ্যালয় East Delta University এর সাথে। সেখানকার সহকারী রেজিস্টার Tanzida ম্যাডাম এর সহযোগীতায় আমরা মুগ্ধ। উনাকে বলতেই উনি East Delta University কে ভ্যেন্যু পার্টনার করে নিলেন। আমাদের ভেন্যু নিয়ে এতদিনকার নিশ্চিন্তা নিমেষেই শেষ! আমাদের Ashiqur Rahman Khan আর ইরাজ আহমেদ নিজেরাই নিল ব্যানার স্ট্যান্ড ব্যানার রেডি করার কাজ। আর ফেসবুক ইভেন্ট Tanzia আপু রেডি করে দিল। ইভেন্ট রেডি হওয়ার ৫/৬ দিনের মধ্যেই এত বেশি সাড়া পাওয়া গিয়েছিল যে আমরা অনুষ্ঠানের আগের দিন অনলাইন রেজিষ্ট্রেশন বন্ধ করে দেই।
- যদি আপনার ইউনিভার্সিটিতে করতে চান কোন সেমিনার তবে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন! যেকোন প্রশ্ন/সাজেশনের জন্য মেসেজ পাঠানঃ [email protected] বা ফেসবুক পেইজে! ধন্যবাদ।
- সেমিনার নিয়ে সকল পোস্ট দেখতে পারেন এখানে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, এশিয়ান উইমেন ইউনিভার্সিটি, টেক্সটাইল কলেজ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি সহ চট্টগ্রামের প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২০ জনের উপস্থিতিতে যখন পুরো হলরুম কানায় কানায় পূর্ণ আর আর সবাই Rashidul Hasan ভাইয়ার বক্তব্য শুনছিল তখন মনে হচ্ছিল গত এক সপ্তাহে আমাদের সকলের পরিশ্রম সার্থক। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন দেবযানী ঘোষ আপু। যিনি পুরো দেশেই এখন বলা যায় স্টার! উনার ছোট ৫ মিনিটের বক্তব্যই এত শক্তিশালী ছিল!
সব শেষে একটা কথাই বলবো আমরা “CUET ENTREPRENEURSHIP CLUB” জার্মান প্রবাসে টীমের সাথে কাজ করতে পেরে আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ। তাদের মত এত বড় সংগঠন আমাদের উপর আস্থা রেখেছে সেটার মূল্যায়ন আমরা কতটুকু করতে পেরেছি তার বিচারের ভার তারাই করুক। বিদেশে উচ্চশিক্ষা দ্বার সবার জন্য উন্মুক্ত হোক, সবাইকে স্বপ্ন দেখানোর কাজ জার্মান প্রবাসে আরো বড় পরিসরে করুক এই শুভ কামনা তাদের প্রতি থাকলো। “CUET ENTREPRENEURSHIP CLUB” ভবিষ্যতে সবসময় তাদের পাশে থাকবে।
Mohammad Tanjid Nahiyan
Member, CUET ENTREPRENEURSHIP CLUB.