সালজবুর্গ । ছোট্ট শহর। ‘সালজ’ মানে লবণ। ‘সালজাক’ নদীকে ঘিরেই এই শহরের উপত্তি ও বেড়ে উঠা।
অস্ট্রিয়ার প্রধান চারটি শহরের মধ্যে এটি একটি। আল্পস পর্বতমালার কোল ঘেঁষে, জার্মানির সীমান্তে অবস্তিত । এই শহর জার্মানীর বাভারিয়া অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। এক টিকেটেই মিউনিখ সহ সালজবুর্গ ভ্রমন করা যায়। পুরনো অথচ আকর্ষণীয় এই শহরকে ইউনেস্কো ১৯৯৭ সালে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে।
ইউরোপিয় ক্লাসিক্যাল মিউজিকের অন্যতম কম্পোসার মোজার্ট’র জন্মস্থান এখানে। পশ্চিমা শিল্প, গান আর সুরে মোজার্ট এর শিপ্ল কর্মগুলো বেশ সমাদৃত। তাছাড়া বিখ্যাত ফিল্ম ‘দা সাউন্ড অফ মিউজিক’র চিত্রায়ন ও পটভূমি এই শহরকে ঘিরেই। আর ও আছে মোজার্ট’র নামে স্তাপিত ‘ মোজার্টাম ইউনিভার্সিটি সালজবুর্গ’। শুধুই আর্ট, কালচার নিয়ে পড়াশুনা। এখানে ভোকাল, কীবোর্ড, স্ট্রিং, ড্রামা, ফাইন আর্টস, ক্রাফট, থিয়েটার, ড্যান্স, ষ্টেজ ডিজাইন,কম্পোজিশন ও মিউজিক থিউরিসহ নানা বিষয়ে স্নাতক থকে পিএইচডি পর্যন্ত পড়ার সুযোগ আছে।
এই শহরের মূল কেন্দ্রেই অবস্থিত ‘ইউনিভার্সিটি অফ সালজবুর্গ’। ১৬২২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই পুরনো বিশ্ববিদ্যালয়টির যাত্রা শুরু ক্যাথলিক থিউলজি, মেডিসিন, আইন ও দর্শন শাস্ত্র দিয়ে। এখন প্রায় নানা দেশের বিশ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছে। প্রাচীন স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনগুলি বরাবরি নান্দনিক। ক্যাম্পাসের ভেতরেই আছে জাদুঘর, থিয়েটার, অপেরা হাউস, প্রাচীন গির্জাসহ নানা আয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বয়ে গেছে ‘সালজাক’ নদী। আমার মন খারাপের নানা স্মৃতির সাক্ষী হয়ে থাকবে এই নদী।
‘সালজাক’ নদীর নীলাভ পানির উচ্ছল প্রহবানতা, শহরজুড়ে মোহনীয় গানের সুর এবং আল্পস পর্বতমালার সবুজ হাতছানি যে কাউকেই মুগ্ধ করবে। অপেরা, কার্নিভ্যালসহ নানা উৎসব নিয়ে পুরো সময় জুড়ে থাকে নানা রঙিন ব্যস্ততা। খুব সহজেই আপনি প্রেমে পড়ে যাবেন, এমনি একটি শহর; সালজবুর্গ ।
ভালো থেকো প্রিয় সালজবুর্গ । আবার দেখা হবে!
আজিজ মুনির,
কমিউনিকেশন স্টাডিজ বিভাগ, ‘ইউনিভার্সিটি অফ সালজবুর্গ’। অস্ট্রিয়া।
ডিসেম্বর ৩০, ২০১৭
একটি পরিপাটি সুন্দরনগর ! মনের গহনে বসবাসে রুপে বিস্তার এমন শহর ! গুছানো লেখা ।
এমনি লেখা চাই Aziz Monir ভাই আমার ।
একটি পরিপাটি সুন্দরনগর ! মনের গহিনে বসবাস রুপে বিস্তার এমন শহর ! গুছানো লেখা ।
এমনি লেখা চাই Aziz Monir ভাই ।