পর্ব ১
পড়ুয়া মেয়েটির প্রেমে পড়ো
লিখেছেন ধুসর জলছবি
প্রেমে পোড়ো সেই মেয়েটির যার জীবনের প্রথম প্রেম ছিল বই। ভালোবাসো সেই মেয়েটিকে যে দামি জামা জুতো কিনে টাকা নষ্ট না করে বই কিনে ঘর ভরিয়ে ফেলে , টাকার মূল্য বাড়ায় সাথে ঘরেরও । যার আলমারিতে বই রাখতে গিয়ে কাপড় রাখবার জায়গা হয় না। যার কাছে সবসময় একটা পড়তে চাওয়া বইয়ের তালিকা থাকে, এবং প্রতিনিয়ত সে তালিকা বড় হতে থাকে। যার ১২ বছর বয়স থেকেই একটা লাইব্রেরী কার্ড করা আছে।
এমন একটা মেয়ে খুঁজে বের কর যে পড়তে ভালবাসে। তুমি তাকে দেখেই চিনতে পারবে, কারণ তার ব্যাগে সমসময়ই একটা পড়ে শেষ না করা বই থাকে । রাস্তায় বইয়ের দোকান দেখলেই সে আটকে যায়, পরম মমতায় চোখ বুলায় তাকে সাজানো বইগুলোর উপর,আর পছন্দের বইটা দেখতে পেলেই নিঃশব্দে চিৎকার করে উঠে। কখনও কোন অদ্ভুত মেয়েকে দেখেছ কোন পুরনো বইয়ের দোকানে দাড়িয়ে বই হাতে গন্ধ শুঁকতে ? এই সেই পড়ুয়া। এরা কখনও বইয়ের পাতার গন্ধ না নিয়ে থাকতে পারে না, পাতাগুলো যদি হয় হলদেটে ,তাহলে তো আরও না।
তাকে দেখবে রাস্তার ধারে কফির দোকানে অপেক্ষা করছে বই পড়তে পড়তে। যদি তার কফির মগে একটু উকি দাও,দেখবে সেখানে এখনও ক্রিম ভাসছে কারণ সে এরইমধ্যে ডুবে গেছে তার বইয়ে, লেখকের তৈরি পৃথিবীতে হারিয়ে ফেলেছে নিজেকে। বসে পড়তে পার সেখানে, হয়ত তোমার দিকে একটু কঠিন চোখেই তাকাবে সে, জান তো, পড়ার মাঝে বাঁধা পড়লে সেটা মোটেই পছন্দ করে না ওরা। তাকে প্রশ্ন করো বইটা তার কেমন লাগছে।
তাকে বরং আর এক কাপ কফি কিনে দিও।
তাকে জানাও মুরাকামিকে নিয়ে তুমি আসলেই কি ভাব। জানতে চাও ফেলোশিপের প্রথম অধ্যায়টা সে শেষ করতে পেরেছে কিনা। বুঝে নিও সে নিজেকে বুদ্ধিমান প্রমাণ করতে চাইছে যখন সে তোমাকে বলবে যে সে জেমস জয়েসের ইউলিসিস বুঝতে পেরেছে। জিজ্ঞেস কর- সে কি আসলে এলিসকে ভালবাসে নাকি এলিসের মত হতে চায়।
পড়ুয়া মেয়ের সাথে প্রেম করাই সবচেয়ে সহজ। জন্মদিন, বার্ষিকী,বড়দিন –যে কোন উপলক্ষেই তাকে বই উপহার দিও । গানে, কবিতায় অথবা চিঠি লিখে কথার মালা উপহার দিও । তাকে দাও নেরুদা,পাউন্ড, সেক্সটন, কামিংসের বই। তাকে জানাও, কথা মানেই যে ভালবাসা এটা তুমি ঠিকই বুঝ । তোমাকে বুঝতে হবে যে সে বই আর বাস্তবের জগতের পার্থক্য জানে। তবে এটাও সত্যি, সে তার জীবনটাকে কিছুটা হলেও তার প্রিয় বইটার মত করে গড়ে নিতে চাইবে। চাইতেই পারে, সেখানে তোমার দোষ নেই একটুও।
অন্তত কোন না কোন ভাবে তাকে চেষ্টাটা তো করে দেখতে হবে।
তাকে মিথ্যে বোলো। যদি সে ব্যাকরণ বুঝে তাহলে সে তোমার মিথ্যে বলার প্রয়োজনটুকুও বুঝবে। কথার বাইরেও থাকে আরও অনেক কিছু ; প্রেরণা, নৈতিকতা, বিরোধ, কথোপকথন। তুমি একটা মিথ্যে বললেই পৃথিবী শেষ হয়ে যাবে না।
মাঝে মাঝে তাকে ব্যর্থতার স্বাদ দিও । কারণ পড়ুয়া মেয়েটা জানবে ব্যর্থতা থেকেই সবসময় চরম পাওয়া গুলো আসে। এটাও জানবে যে সবকিছুরই একটা শেষ আছে। সে জানে তুমি যে কোন সময়ই আবার নতুন করে শুরু করতে পার সবকিছু। এবং যতবারই শুরু কর না কেন প্রতিবারই তুমি জয়ী হবে। জীবনে চলার পথে ২/১ জন খলনায়কও থাকবে, এটাও সে জানে।
তুমি যা যা হতে পারনি তার জন্য ভয় কেন ? পড়ুয়া মেয়েরা বুঝে যে, মানুষও বইয়ের চরিত্রগুলোর মতই, আস্তে আস্তে গড়ে উঠে। টোয়াইলাইট সিরিজের চরিত্রদের কথা অবশ্য আলাদা।
যদি একটা পড়ুয়া মেয়ে খুঁজে পাও, তাকে আপন করে নিও। রাত দুটোয় ঘুম ভেঙ্গে যদি হটাৎ দেখ সে একটা বই বুকে জড়িয়ে ধরে অঝরে কাঁদছে, এক কাপ চা দিও তাকে তারপর শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রেখ। কিছুক্ষণের জন্য সে হয়ত হারিয়ে যাবে, তোমার হয়ত মনে হবে তোমার বুকে মাথা রেখেও সে আসলে হেঁটে বেড়াচ্ছে অন্য কোন জগতে, ভয় পেও না, শেষ পর্যন্ত সে তোমার কাছেই ফিরে আসবে। সে এমনভাবে কথা বলবে যেন বইয়ের সব চরিত্রগুলোই বাস্তব, কারণ কিছুক্ষণের জন্য তারা আসলেই তাই।
উড়ন্ত কোন বেলুনে বসে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিও, অথবা কোন রক কনসার্টে , একশোটা বেলুন হাতে কোন নদীর পাড়ে দাড়িয়ে অথবা এর পরের বার যখন সে অসুস্থ হয়ে পড়বে তখন সাদামাটা ভাবেই তাকে বোলো ফোনে বা স্কাই-পি তে।
তোমরা তখন এত জোরে হাসতে থাকবে যে , এরপরও কেন হৃৎপিণ্ডটা ফেটে সমগ্র বুক রক্তে ভেসে যাচ্ছে না সেটা ভেবে তুমি অবাক হবে। তোমরা তোমাদের জীবনের গল্প লিখবে। অদ্ভুত নামের সব বাচ্চা থাকবে তোমাদের, নামের চেয়েও অদ্ভুত হবে তাদের রুচি-বোধ, ভালোলাগা মন্দলাগা। সে তোমাদের বাচ্চাগুলোকে “ ক্যাট ইন দা হ্যাট” এবং “আসলান” কে চিনিয়ে দিবে , সম্ভবত একই দিনে। বুড়ো বয়সে শীতকালে যখন একসাথে হাটতে বের হবে তোমরা, তার নিচু গলায় কিটসের কবিতা আবৃত্তি শুনতে শুনতে তোমার বুটের গায়ে লেগে থাকা তুষার ঝাড়বে তুমি।
পড়ুয়া মেয়েটির সাথে প্রেম করো কারণ তুমি তারই যোগ্য। কল্পনায় যত রঙ ধরা দেয় তার সবটুকু দিয়ে যে মেয়ে রাঙিয়ে দিতে পারবে তোমার জীবন এমন মেয়েই তোমার পাওয়া উচিৎ। তবে একঘেয়েমি, সস্তা সময়, বোধহীন ভালবাসা অথবা আনাড়ি প্রস্তাব ছাড়া যদি আর কিছু দেয়ার না থাকে তাকে তোমার, তবে তোমার একা থাকাই ভাল। তুমি যদি পৃথিবী এবং এর বাইরের অন্য সব পৃথিবীকে পেতে চাও, একই সাথে বাঁচতে চাও অনেকগুলো জগতে , উপভোগ করতে চাও অনেক রঙের সময়কে , তাহলে সেই মেয়েটিকে ভালোবাসো যে পড়তে ভালবাসে।
অথবা সবচেয়ে ভাল হয় যদি সেই মেয়েটিকে ভালবাসতে পারো যে লিখতে ভালবাসে।
মূল লেখা- “Date A Girl Who Reads” by Rosemarie Urquico
(http://www.sachalayatan.com/dhusor_jolchobi/44387), (https://www.facebook.com/mdkhalid.rahman/posts/854006341383019)
পর্ব ২
পড়ুয়া মেয়েটির প্রেম হোক
___________________
লিখেছেন মুশতাক ইবনে আইয়ুব (https://www.facebook.com/miayub/posts/10153483753749064))
গতকাল তার দেশ থেকে দুই কার্টূন বই এসেছে। বই রাখার জায়গা নেই তার রুমে। আগের বই দিয়েই রুমের অলিগলি ভরে গেছে তার। আমি বললাম- কিছু বই আমাকে দিতে পারো। আমার শেলফে এখনো জায়গা আছে।
তার সাথে কোন বিষয়ে কথা বললেই আধুনিক, ধ্রুপদি নাম জানা না জানা সব দার্শনিক, কবি লেখকদের রেফারেন্স চলে আসে। সে অবলীলায় তাদের দর্শন বলে দিতে পারে যেকোন বিষয়ে। সারাদিন পড়ে। যেদিন অনেক পড়া হয় তার সেদিন রাতে যখন জিজ্ঞেস করি- কেমন কাটলো দিন? সে জবাব দেয়- ভালো কেটেছে। আর যেদিন পড়া হয় না মন মতো, সেদিনকার উত্তর- ইট ওয়াজ শিট।
উপচে পড়া বইয়ের ভিতর বাস তার। বইয়ের পাতায় ভালোবাসা- আনন্দ-কষ্ট সব বন্দী।
তাও সেই দেয়াল ভেঙে একবার ঢুকে পড়েছিলো এক সুইডিশ ছেলে। সেও দর্শন পড়তো। যেমনটি হওয়া দরকার- অন্যদের চেয়ে আলাদা ছিলো সে। তাই প্রেম হয়েছিলো দু’জনে। সেই ছেলেটির চাওয়া ছিলো মুক্ত আকাশ। সে একদিন তাই সেখানেই উড়াল দিয়েছে। কেবল তাকে ভুলে যেতে পারে নি পড়ুয়া মেয়েটি। তারপর থেকে ওই ছেলেটির মতোই কাউকেই খুঁজে ফিরেছে।
আজ সে জার্মানিতে। চারদিন থাকবে। আরেক বান্ধবীর সাথে। আমি বললাম- দেখো কাউকে পাও কিনা……..
সে বললো- “টু শ্যাগ”?
আমি বললাম- না, “টু কিস”।
প্রেম তার সাথেই হোক তার- যাকে সে অধরাবদ্ধ করার শক্তি পাবে।
মেরিফিল্ড’১৫, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় (পিএইচডি গবেষক)।
পর্ব ৩
“মেয়েটির পাঠ্য ও অপাঠ্য বই এবং… ”
লিখেছেন রাশা মহিউদ্দীন। (https://www.facebook.com/rasha.mohiuddin/posts/10208038671225528:7)
বই পড়া খুব আনন্দের কিন্তু বয়স ও ব্যক্তিগত পছন্দ এর কারণে একই বই কারো খুব পছন্দ আবার কারো খুব অপছন্দ হতে পারে। যেমন আমার রবীন্দ্রনাথ খুব ভাল লাগে অনেকের কঠিন লাগে। হুমায়ুন আহমেদ এর অনেক বই ভাল লাগলেও হিমু ভাল লাগে না। ক্লাস টেন এর পরে সমরেশ, সুচিত্রা ভট্টাচার্য, সুনীল এগুলো পড়তাম।
আবার বিজ্ঞান এর বইগুলো আমার ভাল লাগতো, আবিষ্কারের পেছনের গল্পগুলো আবার কারো জীবনী । পত্রিকার এডিটরিয়াল আমার ভাল লাগে। আবার আইএলটিএস এর রিডিং ভাল লাগে।
প্রাইমারী স্কুলে আমার বাবা আমাদের চিলড্রেন ফেয়ারি টেলস কিনে দিয়েছিলেন। সেটাই পড়তাম তখন । বঙ্কিম, বিভূতিভূষণ, সুকুমার রায় এই সব পড়েছি ক্লাস টেন এর আগেই।
আমেরিকা থেকে প্রকাশিত ইকোনমিক্স, সাইকোলজি বা ইনভায়রনমেন্ট রিলেটেড বই গুলোও ভাল লাগে। পড়তে গেলে মনে হয় খুব কঠিন জিনিস এত সহজ সুন্দর করে কিভাবে লেখে???
আমেরিকান বই গুলো এত সুন্দর করে লেখে কিন্তু ব্রিটিশ বই আমার কখনও ভাল লাগে না সব কঠিন করে ফেলে। আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম কি সব কঠিন কঠিন বিচ্ছিরি ক্লাইমেট আর জিওমরফলজি বই ছিল ৭০ এর দশকের । মিলার এর লিভিং ইন দা ইনভায়রনমেন্ট (Living in the Environment, G. Tyler Miller) বইটা আমার এখনো ভাল লাগে। দুই রাজার দাবা খেলা আর পৃথিবী চাদের দূরুত্ব দিয়ে প্রথম চ্যাপ্টারের লিভিং ইন ইন এন এক্সপনেনশিয়াল এজ (Living in an exponential age) চমৎকার করে বুঝিয়েছে। এই বই এর একটা কপি আছে আমার বাড়িতে। আমার বাবা আমার কাছে থেকে গল্প শুনে শুনে ৬৭ বছর বয়সে সেই বই এখনো পড়ে।
কার্বন সাইকেল এর একটা উদাহরণ ছিলঃ আমার গালের চামড়ার কার্বন একসময় একটি গাছের পাতা বা আমার দাদীর স্কিন ছিল।
বায়জিওকেমিকাল সাইকেল এখনো মনে আছে । বইটা আমার কাছে এখন নেই 🙁
এক সময় সমরেশ মজুমদারের বই, হুমায়ুন আহমেদের প্রেমের উপন্যাস, হিন্দি বা বাংলা প্রেমের গল্প খুব ভাল লাগতো। এখন এগুলো টানে না, ডিসকভারি চ্যানেল এর কোন এডভেঞ্চার বা ওয়ার্ল্ডওয়ার ১,২ নিয়ে বানানো মুভি, এমনকি গেম অফ থ্রোন এর (খুব মারামারি আর সেনসিটিভ অংশ বাদে) পলিটিক্স দেখতেও ভাল লাগে।
সিনেমা, ইউটিউব এর ভিডিও এক দু ঘণ্টার বেশী দেখতে ভাল লাগেনা। নিমাই ভট্টাচার্যের মেম সাহেব পড়ে যেমনটা ভাল লেগেছিল সিনেমা লাগেনি। আবার শরৎচন্দ্রের দেবদাস পড়ে স্কুলে থাকতে আবেগি হয়েছিলাম কেঁদেছিলাম সিনেমা দেখে তেমন অনুভুতি হয়নি।
আবার সাতকাহন এর দীপাবলি কে বাংলা নাটকে খুজে পায়নি। বইটা যখন পড়েছি নেশায় ডুবে ছিলাম। প্রতিটা চরিত্র চোখের সামনে দেখতে পেয়েছি। দীপাবলি আর আমি মিলেমিশে একাকার ছিলাম। দীপাবলি যখন কেদেছে আমিও কেঁদেছি। ‘সুচিত্রা ভট্টাচার্য’ এর কাছের মানুষ বই এর বেলায় একই রকম অনুভূতি ।নাটকটা আমি দেখিনি আর পরে, ইচ্ছে করেনি।
সমরেশ মজুমদারের কালবেলা পড়েছি ইউনিভার্সিটি ভর্তির আগে। তখন খুব রাজনীতির করার ইচ্ছেছিল, ক্যাম্পাসে থাকতে নিজেকে মাধবীলতা ভাবতে খুব ভাল লাগতো। ক্যাম্পাসের রাজনীতির সুযোগ না পেলেও গণ জাগরণ মঞ্চে স্লোগানে সেই মাধবীলতাকে খুজে পেয়েছিলাম।
উত্তম সুচিত্রার সিনেমা আগেও ভাল লাগতো এখনো লাগে।
আমার বই পড়া আর টিভি দেখার আগ্রহ দেখে হয়তো অনেকেই ভুরু কুচকে ফেলবেন কিন্তু আমি এগুলো সব পেয়েছি আমার বাবার কাছ থেকে। সারা জীবন দেখেছি তার হাতে একটা ইকনমিক্স এর বই ছিল জীবনের সব কিছুতে অপরচুনিটি কস্ট বা প্রায়রিটি আমার বাবা ইকোনমিক্স থেকে ব্যখ্যা করতেন। যেমন একটি দেশে রুটি বানাতে অর্থ বিনিয়োগ করলে অস্ত্র্ বানাতে পারেনা আবার অস্ত্র বানাতে গেলে রুটি কম বানাতে পারবে।
স্যামুয়েল সন এর অরিজিনাল ইকনমিক্স বই আমার বাবার টেবিলে ছোট বেলা থেকে দেখে এসেছি।মানকিউ এর বেসিক ইকোনমিক্স ( Principles of Economics, Mankiew)এর ১০ থিওরি আমার খুব ইন্টারেস্টিং লেগেছিল আব্বুকে একটা পিডিএফ বই দিয়েছিলাম। আমার বাবা সেই বই প্রিন্ট করে ব্যাগ এ করে নিয়ে বেড়ান। গ্রামের বাড়ি যাওয়ার সময় সাথে নিয়ে রাখেন।
বাড়িতে এক সাথে বাবামার সাথে দেখতাম বলে আজ রবিবার, সংসপ্তক, কোথাও কেউ নেই, অয়োময় এগুলো ভাল লাগতো। আনিসুল হকের সিক্সটি নাইন নাটক ভাল লেগেছিল। আর আনিসুল হকের মা বই আমার জীবনের পড়া অন্যতম সেরা বই।
সত্যি বলতে অনেক দিন হল নাটক দেখিনা।
ভাষা, শব্দের সৌন্দর্য আর জীবনের আবেগ অনুভুতির গভীরতা উপলব্ধি করতে রবীন্দ্রনাথের কোন বিকল্প নেই। রবীন্দ্রনাথ এর প্রতি আমার প্রেম একটু বেশী। দিনে দিনে আরও বেড়ে চলেছে। রবীন্দ্রনাথ এর বাড়ির মেয়েরা যেভাবে শাড়ি আর রুপোর গহনা পড়তো আমি দেশে সেই সব শাড়ি আর রুপোর গহনা খুজে বেড়াতাম। পত্রিকা ঘেঁটে ঘেঁটে খুজে দেখতাম সেই সব ছবি পেলে কেটে রেখে দিতাম।
এ বছর দেশ থেকে বাবা মা কিছু জামাকাপড় পাঠিয়েছে সেই সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছোট ভাইকে বলেছিলাম রবীন্দ্রনাথ এর ছোট গল্প সমগ্র পাঠাতে। বইটা যেদিন হাতে এসে পৌঁছল কি যে ভাল লাগলো, জামা কাপড় গুলোও এত আনন্দ দেয়নি।
আকাশের দিকে তাকিয়ে মনে পড়ে যায় কখনো দীপাবলি কখনো নন্দিনী কখনো মাধবীলতার কথা..
২৭, ১২, ২০১৫
হোয়েনহেইম, জার্মানি