কিছু আবোল তাবোল কথা…
প্রথমেই নতুন যারা ভিসা পেয়েছেন তাদের জানাই শুভেচ্ছা। আমরা যারা ইতোমধ্যে এই দূরদেশে আসি সবাই নিজের মনের মাঝে একটা স্বপ্ন বেঁধে আসি। একেক জনের স্বপ্ন বা ইচ্ছা একেক রকম। কিন্তু এখানে এসে আমরা অনেকেই এই স্বপ্ন আর বাস্তবতা আর মাঝে বিশাল পার্থক্য খুঁজে পাই। আজকের সোশাল মিডিয়াতে আমরা যখন দেখি আমাদের পরিচিত বন্ধু ভাই অনেকে যখন দূর দেশে বরফ মাখা পিক দিচ্ছি। আবার কেউ ইতালি রোম ভেনিস ঘুরে বেড়াচ্ছে তখন দেশে থেকে আমাদের সবারই কম বেশি ভাবনা চলে আসে যেভাবেই হোক বিদেশে যেতে হবে পড়াশুনা করতে আসতে হবে। নিজের মনের মাঝে একটা ক্যানভাস একে ফেলি আমি আজ জার্মানি কত কিছু না করছি। বন্ধুর কাছে শুনেছি বিয়ার মাত্র ৫০ সেন্ট ৫ ইউরোতে ওয়াইন ব্লা ব্লা। অনেক অনেক চিন্তা নিয়ে চলে আসা। আবার অনেকে শুনি পাস করলেই জব। উন্নত জীবন।
কিন্তু আমাদের সবারই উচিত আমরা এই পরদেশে পাড়ি দিবার আগে একটু ভেবে চিন্তা করে পাড়ি দেয়া। নিজের লক্ষ্য চিন্তাকে স্থির করে পাড়ি দেয়া কোন শহরে বা কোথায় পাড়ি দিচ্ছি কোন বিষয়ে পড়তে যাচ্ছি। আমি কোন সাবজেক্ট এ পড়তে আসছি সেই সাবজেক্ট এর জব বা অন্য সুযোগগুলি ক্যামন সেটা এই দেশে পাড়ি দিবার আগে আমাদের জানা উচিৎ। আমার নিজের চোখে দেখা বড় ভাইদের কাছে শোনা অনেকেই অনেক সাবজেক্টে পাস করে ভাল রেজাল্ট নিয়ে বসে আছেন যারা সেই জব নামের সোনার হরিণটি এখনো শিকার করতে পারেননি। কেননা সেই সব সাবজেক্ট এর জব পেতে আপনাকে থাকতে হবে ১০০% ভাষা নলেজ। এই ভাসা নলেজটা একদম সহজ না আবার ইম্পসিবল না। কিন্তু সময় সাপেক্ষ অবশ্যই। আবার অনেকে আসার ১ বছর পর নিজেকে আবিস্কার করেন এই সাবজেক্টটা তার জন্য না। আবার নতুন ইউনি খুঁজা আবার কোথাও অনিশয়তা নিয়ে পাড়ি জমানো। তখন কিন্তু ওই সাদা বরফ গুলো পায়ের নিচে অনেক ঠাণ্ডা মনে হয় আর হাটতে ইচ্ছে হয় না। চলার পথগুলি হয়ে যায় অনেক বন্ধুর।
আমি কাউকে ভয় দেখানোর জন্য কথাগুলি বলিনি। বলছি একটু সচেতনার জন্য। মাঝে মাঝে এমন অনেক পোষ্ট দেখি আমার ছোট বেলা থেকে স্বপ্ন আমি জার্মানিতে মাস্টার্স করবো কিন্তু তাদের রেজাল্টগুলি কিছুটা হতাশাজনক তাদের অনেকেই আমরা ডেস্পারেট হয়ে যাই যেভাবেই হোক আমরা জার্মানি আসবো সেটা পোল্যান্ড বা পর্তুগাল বা সাইপ্রাস হয়েই। আমার ব্যাকগ্রাউন্দ যাই হোক না ক্যান। আমি জিবনে কবি গোয়েথের নাম শুনিনি কিন্তু জার্মানি চলে আসলাম কবি গোয়েথের উপর মাস্টার্স করতে ব্যাপারটা কিন্তু একটু অন্যরকম। ক্যাননা কবি গোয়থের উপর পড়াশুনা করে এই জার্মানরাও কি করতে পারবে তারাও জানে না, তারা এসব পড়াশুনা করে অনেকটা শখ করে কিন্তু আমাদের কাছে (৯৮%) পড়াশুনাটা শখ না।
তাই এটাই বলবো দেশ ছাড়ার আগে আমরা একটু ভালো করে বুঝে নেই আমরা কোন সাবজেক্টে পড়তে আসছি। এটার সম্পর্কে আমার গ্যান কতটুকু। সাবজেক্টগুলির ওয়েবসাইট ঘাটাই, ইন্টারন্যাশনাল পেজ গুলিতে আস্ক করি এর ফিউচার জব সুবিধা সম্পর্কে। একটা জিনিষ মনে রাখবেন জীবনটা একটাই একটু সচেতনতা যদি আপনাকে সেটার চলার পথ সহজ করে সেটা আপানারই করবে।
( অনুভুতিগুলি আসলো আমার ইউনিতে নতুন এক সাবজেক্ট আসছে সেটাই ইন্ডিয়ান অনেকেই আসছে যাদের ব্যাকগ্রাউন্ড কম্পিউটার সায়েন্স,মেকানিকাল কেউ সিভিল আবার কেউ ইন্ডাস্ট্রি তাদের সামনে যখন ফাইনাট এলিমেন্ট, সিগানল, বা বিশাল বিশাল ব্রিজ ডিজাইন এর মুলা গুলি ঝুলছে তারা এখন চলে জাবার চিন্তায় ব্যাস্ত অনেকেই)