* এই প্রতিযোগিতামূলক লড়াইয়ে নিজেকে এগিয়ে রাখার জন্য মোটিবেশন লেটার খুবই জরুরি। ইউনিভার্সিটি ওয়েবসাইটে বলা থাকে কেমন হতে হবে, কিসের উপর ভিত্তি করে লিখতে হবে লেটার টা। মোটিবেশন লেটার বহুলাংশে আপনাকে সেই প্রোগ্রামে নেয়া হবে কিনা, তা নির্ধারণে একটি নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করে। বন্ধু বা বড় ভাইয়ের লেটার কপি-পেস্ট করে দিলেন তো হেরে গেলেন। পুরো লেটার টা মেরে না দিয়ে, স্যাম্পল হিসেবে বিবেচনা করুন। মাসখানেক সময় নিয়ে সমস্ত খুঁটিনাটি বিচার-বিবেচনা করে, যখন আপনি আপনার লেটার অফ মোটিবেশন রেডি করছেন তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রদত্ত প্রোগ্রামগুলির সাথে সম্পর্কিত বিষয়াদি অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য সতর্ক থাকুন। আপনি যে প্রোগ্রামে যাচ্ছেন তার থেকে কীভাবে উপকৃত হবেন এবং কেন আপনি সেই কোর্সে অংশগ্রহণের জন্য উত্সাহিত হন তা নিয়ে লিখার চেষ্টা করুন। সাধারণত, বিশ্ববিদ্যালয়ের তাদের ওয়েবসাইটগুলিতে খুব স্পষ্টভাবে বলা থাকে এসব ব্যাপারে। পড়তে ইচ্ছুক বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে মানসম্মত মোটিবেশন লেটার প্রস্তুত করুন। নিজেকে এগিয়ে রাখতে পারবেন অন্যদের থেকে। কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে রেস্ট্রিকটেড এডমিশন থাকে, যার ফলে অনেকে সুযোগ পান না এবং গীবত করেন কিসের উপর ভিত্তি করে অন্যদের নিলো? আমাকে কেন নিলো না? আমি তো চাকরী করি না? আমার তো আই ই এল টি এস ৬.৫+ তাও কেন পাই নি। ফ্রেশ গ্রেজুয়েট রা অহরহ যেমন সুযোগ পাচ্ছেন, ঠিক তেমনি আপনি ও পাবেন, নিজের স্বকীয়তা টা বজায় রাখুন।
** পছন্দসই বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাপ্লাই করার পূর্বে সব রিকোয়ারমেন্ট ভালো মত পড়ে অ্যাপ্লাই করলে ভালো।
ক) যেমনঃ ওটো ফন গেয়রিকে ইউনিভার্সিটি এর ১/ ইন্টারন্যাশনাল ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটিং ও এন্ট্রেপ্রেনরসিপ ২/ অপারেশন্স রিসার্চ ও বিজনেস এনালিটিক্স দুইটি কোর্সে এপ্লাই করার জন্য আলাদা লেটার অফ মোটিবেশন যেমন প্রয়োজন ঠিক তেমন অ্যাপ্লিকেশান সম্পন্ন করার জন্য ব্যাচেলর কোর্সে পড়ে আসা বিষয় গুলো সম্পর্কে বিবরণী ফর্ম টা ফিলাপ করে পাঠানো লাগে। আমার নিজের চেনা জানা আছে, এই ফর্ম ফিলাপ না করে এবং দুটো বিষয়ের জন্য একই লেটার অফ মোটিবেশন দিয়ে অপেক্ষা করছিলো এডমিশন লেটার পাবে এই আশাতে। দুটো বিষয় যেমন আলাদা, লেটার অফ মোটিবেশন ও আলাদা হবে। এখন ও পর্যন্ত অফার না পাওয়াতে বিষণ্ণ হয়ে জানালো, আমার ফলাফল তো আপনার মত, আপনি পাইসেন, আমি এখন ও পাইলাম না কিছু। নেক্সট উইন্টারে আর এইটাতে অ্যাপ্লাই-ই করবো না।
খ) “টি ইউ মিউনিখে” ম্যানেজমেন্ট ও টেকনোলজি বা কন্সিউমার সায়েন্স এর ক্ষেত্রে ও কিছু জিনিস অনুসরন করতে হয়। যেমনঃ সমস্ত আবেদনকারীদের তাদের একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর ২০০০+/- শব্দে লিখতে হয় এবং জমা দিতে হয় অনলাইনে এবং এর পাশাপাশি কারিকুলার এনালাইসিস ও অনলাইনে জমা করতে হয়। অনলাইন অ্যাপ্লিকেশান সম্পন্ন করার পর, রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী সবশেষে, স্বাক্ষরিত অ্যাপ্লিকেশান ফর্ম, ব্যাচেলর ডকুমেন্টস, সি ভি, ২০০০+/- শব্দে লেখা টপিক টা সহ সকল ডকুমেন্ট গুলো তাদের ঠিকানাতে এবং ইউনি এসিস্টে ও পাঠাতে হবে।
গ) ঠিক একই রকম অবস্থা, “কাইসারস্লাউটার্ন ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাপ্লাইড সায়েন্স’ এর “ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস ম্যানেজমেন্ট” বিষয়ে অ্যাপ্লাই করার সময় মোটিবেশন লেটার ছাড়াও ইউনি এসিস্ট থেকে “ইউনিভার্সিটি স্পেসিফিক অ্যাপ্লিকেশান” ফর্ম ফিলাপ করে পাঠানো লাগে, এই ফর্মে নিজের এবং ব্যাচেলর কোর্স এর ডিটেইলস, থিসিস বা প্রোজেক্ট এর সংক্ষিপ্ত বিবরণ, আপকামিং ১ম এবং ২য় সেমিস্টারে কোন বিষয়গুলো পড়তে ইচ্ছুক সেটা উল্লেখ করে নিজের স্বাক্ষর দিয়ে পাঠানো লাগে।
ঘ) “ইউনিভার্সিটি অফ হামবুর্গ” এর “ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ও সাস্টেনেবিলিটি” বিষয়ে পড়তে চাইলে, সিলেকশন প্রসেস এর জন্য ইউনিভার্সিটি এর পোর্টাল এ দেয়া পিডিএফ টেমপ্লেট টি ডাউনলোড করে, সেই পিডিএফে তিন পাতার মধ্যে ৪ টি নির্ধারিত পয়েন্ট এর ভিত্তিতে আপনি কেন পড়তে চাইছেন সে ব্যাপারে জাস্টিফিকেশন নিয়ে লিখতে হবে। আপনার সিলেকশন নির্ভর করবে এটির উপর ৪০% এবং বাকী ৬০% থাকবে ব্যাচেলর এর উপর। আপনার ফলাফল ভালো বা কো-কারিকুলার এক্টিভিটি থাকলেও, আপনি আপনার লেটার টি লিখেছেন এমন যেন তেন ভাবে যেটা বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনার স্থান পাকাপোক্ত করার জন্য উপযুক্ত হবে না।
শুধু যে এই ৪ টি বিশ্ববিদ্যালয় তা ন্য়, অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় এর নিজের রিকোয়ারমেন্ট থাকে। অ্যাপ্লাই যে বিশ্ববিদ্যালয়ে করা হোক না কেন, সব বিস্তারিত জেনে অ্যাপ্লাই করলে ভালো।
যারা জানতে চাইছিলেন, ১/২ টা ইউনিভার্সিটি তে অ্যাপ্লাই করলেই তো এনাফ। তাদের জন্য কেবল মাত্র ১/২ টা বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাপ্লাই করে অফার লেটার পেয়ে গেছি চিন্তা করা টা বোকামি হবে কারণ “নুমেরাস ক্লাউসুস” অর্থাৎ ভর্তির উপর সীমাবদ্ধতা থাকে বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে। ফলাফল ভালো বা খারাপ যেমনই হোক না কেন নিজের অবস্থানের জন্য যত বেশি সম্ভব অ্যাপ্লাই করা উচিত।
*** দেশে থাকা অবস্থায় স্টুডেন্ট হেলথ ইনস্যুরেন্সঃ
জার্মানিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এনরোলমেন্ট এর জন্য হেলথ ইনস্যুরেন্স এর প্রয়োজন হয়। চেনা পরিচিত না থাকলে, এখানে থেকে হেলথ ইনস্যুরেন্স করানো টা ঝামেলার ধারণা টাতে পরিবর্তন করা যাবে এখন। আমি দেশে থেকেই হেলথ ইনস্যুরেন্স করিয়েছি। বীমা কোম্পানি TK এর এই নম্বরে ফোন করে (+49 800 2858585) তথ্য নিয়ে হেলথ ইনস্যুরেন্স করিয়েছি। উনাদের তথ্য অনুযায়ী, যদি জার্মানি তে কোন এড্রেস না থাকে সেক্ষেত্রে কোন সমস্যা হবে না, বেসিক তথ্য গুলো অ্যাপ্লিকেশান ফর্মে ঠিক মত পূরণ করলেই হবে যেমনঃ নাম, জন্ম তারিখ, জন্মস্থান, ইমেইল প্রভৃতি। জার্মানির ২ কার্যদিবসে মেইলের মাধ্যমে বীমা কোম্পানি TK থেকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস পেয়েছি এবং এই সামার সেমিস্টারে এনরোলমেন্ট সম্পন্ন করার জন্য ডকুমেন্ট মাত্র ৭ দিনের ডেডলাইনের মধ্যে HTW Berlin এ পাঠিয়েছি।
এনরোলমেন্ট এর জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলো হলঃ
১। “Versicherungsbescheinigung-” এটিতে বলা থাকে আপনি Techniker Krankenkasse এর সাথে বীমা করেছেন।
২। “Meldung der Hochschule an die TK – নটিফিকেশন টু ইউনিভার্সিটি“।
পরবর্তীতে জার্মানি পৌঁছে নিজের জার্মান এড্রেস, ব্যাংক এর তথ্য বীমা কোম্পানিকে জানিয়ে দিলেই হবে, বীমা কোম্পানি তখন নিজেই ইউরোপিয়ান হেলথ ইনস্যুরেন্স কার্ড সহ বাকীসব ঠিক করে দিবে।
**** বিজনেস ব্যাকগ্রাউন্ডে (মাস্টার্স) সামার বা উইন্টারের জন্য কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাবজেক্ট এর তালিকা দিলাম, হয়ত ভবিষ্যৎ সময়ে কাজে দিবে। ডাড এর ওয়েবসাইটে ঢুঁ দিলে আরো তথ্য পাবেন।
Only in Winter
1. Hochschule für Wirtschaft und Recht Berlin- a) International Marketing Management, b) International Finance, c) Business Intelligence and Process Management, d) Accounting and Controlling, e) Global Supply Chain and Operations Management
2. Otto von Guericke University Magdeburg- Financial Economics
3. Osnabrück University of Applied Sciences- International Business and Management
4. Kaiserslautern University of Applied Sciences- International Management & Finance
5. TU Bergakademie Freiberg- International Business in Developing & Emerging Markets
6. Universität Hamburg- a) Economics, b) International Business & Sustainability.
7. Goethe University Frankfurt- a) Money & Finance, b) International Management, c) International Economics & Economic Policy
8. University of Cologne- a) Political Science, b) Economics, c) International Management.
9. Ludwig-Maximilians-Universität München- a) Economics, b) Quantitative Economics c) Media, Management and Digital Technologies.
10. Technische Universität München- a) Consumer Science, b) Management.
11. FAU Erlangen-Nürnberg – a) International Business Studies, b) Development Economics & International Studies
Winter & Summer Semester:
1. Otto von Guericke University, Magdeburg- a) International Management, Marketing, Entrepreneurship b) Operations Research & Business Analytics
2. Rhine-Waal University of Applied Sciences- a) Economics & Finance b) International Management & Psychology c) Sustainable Development Management
3. Kiel University- a) Quantitative Finance, b) Quantitative Economics, c) Economics, d) Environmental & Resource Economics.
4. Technische Hochschule Nurnberg Georg Simon Ohm- a) International Finance & Economics b) International Marketing
5. University of Gottingen-Development Economics
6. Trier University- Economics
7. Ruhr-Universität Bochum- Economics
8. Paderborn University- International Economics and Management
9. Hof University of Applied Sciences- Global Management
10. Kaiserslautern University of Applied Sciences- Financial Services Management
২০১৭/১৮ সেশন থেকে বাডেন –ভুরটেমবেরগ এর অধীনস্ত হাইল্ব্রন ইউনিভার্সিটি, টুবিঙেন ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অফ মানহাইম, ইউনিভার্সিটি অফ উলম সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টিউশন ফি ১৫০০ ইউরো নির্ধারণ করা হয়েছে। যারা এই বাডেন –ভুরটেমবেরগ এর অধীনস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাপ্লাই করতে ইচ্ছুক তারা টিউশন ফি এর ব্যাপারে খেয়াল রাখবেন।
ভবিষ্যতে যারা পড়তে আসবেন, তাদের জন্য শুভ কামনা।
একটা প্রশ্ন ছিল।।।
OVGU তে যে ফর্মটা ফিল আপ করছি সেটা আমি শুধু ইউনি এসিস্ট এ অাপলোড করেছি।
এটা কি OVGU তেও পাঠাতে হবে??
একই প্রশ্ন Kaiserslautern এর ক্ষেত্রেও রইল।।।।