মিল্কা, জার্মানির জনপ্রিয় একটা চকোলেট ব্র্যান্ড। এদের নানা ফ্লেবারের চকোলেট আছে। চাইলে লিঙ্ক থেকে দেখে আসতে পারেন।
দেশী-বিদেশি মিলে ৫০ টি ভিন্ন ভিন্ন ফ্লেবারের চকোলেট নিয়ে এদের বর্তমানের বাজার। আচ্ছা! ফ্লেবার কি জিনিষ আমরা কি জানি? ফ্লেবার মানে কি ভ্যানিলা, মাঙ্গু, বেনানা?
হ্যাঁ! এইগুলাও তাছাড়া আরও আছে। কিছু আছে বেসিক ফ্লেবার। বাকি বেশিভাগ ক্রিতিম এবং মিক্সচার। যেমন অরিও (OREO) – আমেরিকার সবচেয়ে জনপ্রিয় কুকিস, কিটকাট (KITKAT) – ব্রিটেনের জনপ্রিয় চকোলেট ওয়াফার। এমন ভিন্ন ভিন্ন দেশের এক একটা জনপ্রিয় ব্র্যান্ড আছে। কোনটা বিস্কিটের, কোনটা আইস-ক্রিমের। যদিও প্রথমে অরিও বিস্কিট এবং কিটকাট ওয়াফারে ছিল এখন এদের ফ্লেভার ব্যবহার করে আইস-ক্রিম, টুটপেস্ট, ব্রেডক্রিম, মিল্কসেক, চা সবই বানানো হচ্ছে। এক কোম্পানির প্রোডাক্ট আরেক দেশের আরেকটা কোম্পানি টাকা দিয়ে কিনে নিচ্ছে। তারা কিনে নিচ্ছে ব্র্যান্ডের নাম ব্যাবহার করার রাইট এবং লিকুইড ফ্লেবার যা তাদের বেইস প্রোডাক্টের সাথে মিশিয়ে তারা বাজারজাত করে থাকে। আমি আবার মাঝে মধ্যে নিজেকেই গিফট দেই। আজকে একটা মিল্কা কিনে ত্রাই করার পরে মনে পরল ছোটবেলার কটকতির কথা। আম্মু কতো না না করতেন বলতেন ভাল না। সেই কটকতির মত একটা ফ্লেবার হল ডাইম (DAIM). ডাইমের চকোলেট, কেক, বিস্কিট সব আছে। কতো সাধারণ একটা ফ্লেবার কিন্তু কি না করসে এইটা দিয়ে। আমাদের দেশে এমন অনেক ফ্লেবার আছে যা দিয়ে বিদেশের ফ্লেবারের মার্কেট ধরা সম্ভব। সেইটা হতে পারে চটপটি অথবা সেমাই। ফর্মুলা বিক্রি না করে দিয়ে বছরের পরে বছর শুধু লিকুইড ফ্লেবার দিয়ে মুনাফা করা সম্ভব।
মিল্কা-দের মত কোম্পানিগুলার ৫০-৬০ টা ফ্লেবারের প্রোডাক্ট বাজারে থাকে একটা সিজনে। কিছু প্রোডাক্ট কিছু ফ্লেবার থাকে কেবল স্বল্প সময়ের জন্যে। আমি গ্রিন টি কিটকাট, চেরি কোলা খেয়েছি। মানুষের সাঁরা না পেলে বন্ধ করে দেয় ৩-৪ মাস প্রোডাকশন করেই। আসুন আমাদের দেশের অদেখা সম্ভবনার মুখ খুঁজে বের করি। নতুনদের আমি এইটাই বলব সুযোগ আপনাদের সামনেই, আপনাদের মাঝেই। শুধু খুঁজে বের করতে হবে। পরিশ্রমী হতে হবে।
Photo (Self Taken 1, Internet 2,3): 1. Milka Daim 2. Kotkoti (BD- Suger Candy) 3. 18 out of 50 flavours of Milka
Yousuf Dinar (Munich, Germany)