ড্রেসডেন পূর্ব জার্মানিতে অবস্থিত সাক্সোনি স্টেইটের রাজধানী। জার্মানির সবচেয়ে সুন্দর শহরের একটি।ব্যাসিক্যালি এটি একটি ট্যুরিস্ট প্লেইস।প্রতিদিন অনেক ট্যুরিস্ট আসে এই শহরে।
ভার্সিটিঃ টি.ইউ ড্রেসডেন জার্মানি সেরা ১০ টি ভার্সিটির একটি।টিইউ ৯ অন্তর্ভুক্ত ভার্সিটি।পড়ালেখার কোয়ালিটি বা ফিউচার নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই।
হকশুলে ড্রেসডেনেও অনেক বাংলাদেশী পড়ালেখা করে।
জবঃ চাকরির দিকে দিয়ে ইস্ট সাইডে সম্ভবত ড্রেসডেনের অবস্থাই সবচেয়ে ভালো।অনেক কোম্পানি থাকায় ফুলটাইম জব পাওয়া যায় মোটামুটি। আর স্টুডেন্ট অবস্থায় কোম্পানি বা ভার্সিটিতে হিভি (এসিস্ট্যান্টশিপ) পাওয়া যায় চেষ্টা করলে। ইলেকট্রিকাল বা কম্পিউটার ব্যাকগ্রাউন্ডের স্টুডেন্টদের চান্স তুলনামূলক বেশী হিভি পাওয়ার ক্ষেত্রে। তাছাড়া রেস্টুরেন্ট,প্রিন্টিং প্রেস,শপিং মল,ইন্ড্রাস্ট্রি,হোটেল এইগুলায় জব এভেইলেবল।ডয়েচ পারলে তো আর কথাই নেই,না পারলেও জব পাওয়া যায়। এখানে স্টুডেন্টদের মান্থলি এভারেজ ইনকাম ৭০০-৮০০ ইউরো
লিভিং কস্টঃ লিভিং কস্ট ড্রেসডেনে খুবই কম।এলকোহল,সিগারেট,পার্টি বা ক্লাবে ইন্টারেস্ট না থাকলে ৩৫০-৪০০ ইউরো দিয়ে আরামেই চলা যায়। বাংলাদেশী,এরাবিক,এশিয়ান সবরকম দোকান আছে যেখানে মাছ,মাংস,মশলা থেকে সবই পাওয়া যায়।
বাসাঃ ডর্মে সিট পাওয়া সহজ।সবাই পায়।তবে ২ বছর পর এক্সটেনশন পাওয়া টাফ।অনেকে পায় অনেকে পায় না। প্রাইভেট বাসা পাওয়া কষ্টকর হলেও পাওয়া যায়।
বাংলাদেশি কমিউনিটিঃ প্রায় ১০০-১৪০ জনের মতো বাংলাদেশী আছে এই শহরে।চাকরিজীবি,স্টুডেন্ট,ফ্যামিলি,ব্যাচেলর সবই আছে।সবাই অনেক আন্তরিক।কমিউনিটি বন্ডিং মোটামুটি ভালোই,বিভিন্ন অকেশনে প্রোগ্রাম হয়, উইকেন্ডে খেলাধুলাও হয় প্রায়।
রেসিজমঃ জার্মানির ইস্ট সাইডে রেসিজম তুলনামূলক বেশি বাট আমি এই দুই বছরে এইরকম কিছু ফেইস করি নি।মূল শহরে রেসিজম নেই তেমন,সব স্টুডেন্ট বা বাংলাদেশীরা মেইন সিটিতেই থাকে।তবে শহর থেকে দূরে রিমোট সাইডে রেসিজমের মাত্রা হয়তো একটু বেশী (এক্সপেরিয়েন্স নেই,লোকমুখে শুনা)
ফরেন অফিসঃঅনেক সিটিতেই শুনেছি ফরেন অফিসের স্টাফদের ব্যবহার ভালো না।কিন্তু ড্রেসডেনে ফরেন অফিসের স্টাফদের ব্যবহার অনেক আন্তরিক। তাছাড়া ভিসা এক্সটেন্ড করতে টাকা ব্লক করা লাগে না আবার