গলপ্টা না বলাই থাকত, বলছি এই আশায় যাতে আমার মত যারা স্কলারশিপ ছাড়া (বেশিরভাগ) পড়তে আসেন তারা যাতে অন্তত এই দিকটায় খেয়াল রাখেন।
মূল কথায় আসি। এপ্রিলের ৯ তারিখে অফার লেটার পাই খুশির (দুঃখের ও কারণ ইরাসমাস স্কলারশিপের জন্য মনোনীত হইনি)। স্বপ্ন অধরা থেকে যাবে ভেবে উচ্চবাচ্য না করে ঝিম ধরে ছিলাম। পরিবারের অনুপ্রেরণা এবং চেষ্টায় আবার আগাতে থাকি ভিসা প্রশেসিংয়ে। এর মাঝে খোজ রাখতে থাকি বিভিন্ন স্কলারশিপ পোর্টাল এবং ইউনিভার্সিটির স্কলারশিপ সেকশনে। স্থীর করি Deutschlandstipendium এ এপ্লিকেশন করব। কিন্তু ব্যাপার গুলো জটিল মনে হচ্ছিল। মাঝে দিয়ে ভিসা ইন্টারভিউ হয়ে গেল। কিছুটা চিন্তা ভর করছিল বাসা পাওয়া এবং অন্যান্য ব্যাপার নিয়ে।
Deutschlandstipendium এর পোরটালে গিয়ে সব নিয়মকানুন দেখে রাখি এবং যে অংশ বুঝতে পারছিলাম না তা বড়দের সাহায্য নিয়ে ঠিক করে রাখছিলাম। এই পোর্টালের সবচেয়ে বর সুবিধা হলো এই ডাটা গুলো এডিট করে আবার সেভ করা যায়। আবেদনের শেষ দিন পর্যন্ত।
সিনিয়র ভাইদের সাহায্য নিয়ে সবকিছু গুছিয়ে আবেদন শেষ করি।
কি কি লাগেঃ
১। ইউনি এসিস্ট ভালুয়েশন সার্টিফিকেট (VPD)
২। কাভার লেটার
৩। সিভি (নাম ঠিকান ছাড়া)
৪। বিভিন্ন ধরনের সামাজিক এবং অতিরিক্ত যোগ্যতা আছে এমন বিষয়াবলীর সার্টিফিকেট (যদি থাকে)
৫। ব্যাচেলরের সার্টিফিকেট
আবেদনের সময় আপনাকে পূর্ববর্তী সামাজিক এবং একাডেমিক কাজের বিষয় তুলে ধরতে হবে (নির্দিষ্ট জায়গায়)। আমি যা করেছি তার সবই সেই অংশে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। কিছু কাজের সার্টিফিকেট ছিল এবং কিছু কাজের ছিলনা।
সর্বশেষ আল্লাহ্র কাছে মনেপ্রাণে চেয়েছিলাম যেন এটা অন্তত হয়। আল্লাহ্ নিরাশ করেন নি।
এটি প্রথম সেমিস্টারে এপ্লিকেশনের জন্য। এরপরে করতে চাইলে তার পূর্ববর্তী সেমিস্টারের রেজাল্ট লাগবে, এর বেশি কিছু সিনিয়ররা যারা পেয়েছেন তারাই ভালো বলতে পারবেন।
[…] এক বছর আগে জার্মানিতে পাওয়া আমার প্রথম স্কলারশিপ নিয়ে লিখেছিলাম। বলতে পারেন এটি তার দ্বিতীয় কিস্তি। আগের লিখাটি পড়তে পারেন এখান থেকে https://www.germanprobashe.com/archives/18503 […]