Mahmudul Hasan
আমরা বাংলাদেশিরা বেশিরভাগই ফেমিলি পিছুটান নিয়ে জার্মানিতে আসি। এখানে এসেই আমরা চেস্টা করি McDonald/Burger King অথবা অন্য কোথাও একটা জব খুজে ইনকাম করতে। কিন্তু আমরা শেষ পর্যন্ত এই জবের মধ্যে আটকে থাকি।
আমরা পড়ালেখা শেষ করার পর চাকরি পাবো কিনা বা চাকরি পেতে কত দিন লাগবে অথবা চাকরি পেলেও চাকরিতে টিকে থাকতে পারবোনা কিনা! এগুলা নিয়ে মোটেও চিন্তা করিনা। অনেক সময় সিনিয়ররা এসব অভিজ্ঞতা ফেইস করে আসলেও জুনিয়রদের এগুলা ইনফর্ম করেনা।বেশিরভাগ জার্মান বা ইউরোপিয়ানরা আমাদের মত যেনো-তেনো কাজ করেনা।
ওরা পড়ালেখার সাথে সাথে Werkstudent Job করার চেস্টা করে। এই কারনে দেখা যায় পাস করার পর ওদের ২-৩ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা হয়ে যায়। এতে করে ওরা পাস করার সাথে জব পেয়ে যায় অথবা যেখানে Werkstudent Job করতো ওখানেই পার্মানেন্ট হয়ে যায়।যাদের পিছুটান নেই তারা এসেই Werkstudent Job এর জন্য চেস্টা করতে পারেন। আর আমরা যারা পিছুটান নিয়ে আসি, তারা McDonald’s/ Burger King এর পাশাপাশি Werkstudent Job খুজতে থাকবো এবং জব পেয়ে গেলে McDonald’s/ Burger King ছেড়ে দিবো। এতে আমরা পড়ালেখার পাশাপাশি জবের অভিজ্ঞতা অর্জন করবো, যেটা আমাদের পাস করার পর চাকরি পেতে খুব সহজগিতা করবে।
আমাদের মধ্যে অনেকে হয়তো জানি অথবা অনেকে জানিনা। যারা জানিনা তাদের জন্য লেখা।আমরা ব্যাচেলর/ মাস্টার্স শেষ করার পর ১৮ মাস সময় জব খোজার পাশাপাশি পার্টটাইম/ ফুলটাইম কাজ করি। কিন্তু আমরা চাইলেই আমাদের স্কিল বাড়ানোর জন্য জব রিলেটেড ফ্রি কোর্চ করতে পারি। যেতা আমাদের জব পেতে খুব সাহায্য করতে পারে।আরবাইট আগেনটুর (Arbeit Agentur) আমাদের স্কিল বাড়ানো জন্য এবং জব পেতে সহায়তা করে। প্রথমে আপনি কোন কোর্চ নিয়ে Weiterbildung করবেন সেটা ঠিক করে রাখবেন। তারপর আপনার শহরের Arbeit Agentur এর সাথে যোগাযোগ করে আপনি যে Weiterbildung করতে ইচ্ছুক এটা ওদেরকে জানাতে হবে। আপনি জার্মানিতে ব্যচেলর/ মাস্টার্স করে ১৮ মাসের জব সার্সিং এ আছেন সেটাও উল্লেখ করবেন। এর পর ওরা আপনাকে একটা এপোন্টমেন্ট দিবে। আপনি এপোন্টমেন্টের দিন কোন কোর্চ করবেন, কত দিন মেয়াদ, কেন কোর্চ করবেন, এই কোর্চ কিভাবে আপনাকে জব পেটে সাহায্য করবে?
এককথার ওদেরকে আপনি কনভিন্স করবেন যে এই কোর্চটা আপনার ব্যাচেলর/ মাস্টার্স এবং জব রিলেটেড। আপনি কনভিন্স করতে পারলেই পেয়ে যাবেন কোর্চের জন্য গুটেশাইন।গুগলে গিয়ে Weiterbildung লিখে সার্চ দিলে অনেক ইন্সটিটিউট পাবেন। সেখান থেকে আপনার সুবিদা মত কোর্চ বেছে নিবেন। আমি এটা জানছি এক ইন্ডিয়ান ফ্রেন্ডের কাছ থেকে। ও কোর্চ করতেছে। আপনিও চেস্টা করতে পারেন।
ইনফরমেশনে/ লেখায় কোথাও ভুল হলে ক্ষমা প্রার্থী। ধন্যবাদ সবাইকে।
Tadneem Tabassum Adiba
আমি ২০১৮ অক্টোবরে আসি, ২০১৯ এর মে থেকে এক প্রফেসরের গ্রুপে জব নেই। সেই জব এখনো করছি। ইনার কাছেই ইন্টার্নশিপ, মাস্টার্স থিসিস করেছি।এর বাইরে আমার কোন জব করা হয় নাই।প্রথমে খুব ভয়ে ছিলাম, আমাকে কোন প্রফেসর কেন জব দিবে, আমি তো কিছুই জানিনা। আসলে কিছু না জানাটাই প্লাস পয়েন্ট, কারণ প্রফেসর তার গ্রুপের কাজ শুরু থেকে শিখায়ে আমাকে একদম তার কাজের মত করে গড়ে নিয়েছে।আমি নিজেও একটা স্পেসিফিক ফিল্ডে এক্সপেরিয়েন্স অর্জন করেছি। এই জিনিস আসলে দরকার।
হ্যাঁ, স্যালারি কম, কিন্তু আমি তার মধ্যে থেকেই প্রথম (প্রথম ছয় মাস আমি ব্লকের টাকা ব্যবহার করসি একদম কিপটার মত) থেকে সেভিংস করসিলাম, যার জন্য সমস্যা হয় নাই।আমার মতে আরো বেশি বাংলাদেশীদের উচিত এই সুযোগ প্রথম থেকেই কাজে লাগানো।ভয় কাজ করবে, কিছু জানিনা মনে হবে, কিন্তু এই সময়টাই তো শেখার। ইনারা যে রেজাল্ট নিয়ে মাতামাতি করে তাও না। আমার প্রফেসর আমার রেজাল্ট জিজ্ঞেসও করে নাই যদিও ফার্স্ট সেমিস্টার শেষ করে তার কাছে গেসিলাম। সে শুধু বেসিক জিজ্ঞেস করসে। তাকে স্ট্রেইট বলসিলাম তার একটা কোর্স করসি শুধু, ওইটুকুই তার কাজ সম্পর্কে আমার ধারণা।দিনের পর দিন সে আমার ডেডিকেশন দেখসে।
সপ্তাহে ৮ ঘন্টার হিসাব শুধু ৬ মাস করসি কারন তখন ক্লাস থাকত। এরপর হিসাব ছাড়া ল্যাবে পরে থাকতাম। কিভাবে কাজ করে দেখতাম। এর সুফল আমি পেয়েছি। এত হেল্প সে এবং তার গ্রুপ করসে আমার জন্য, আলহামদুলিল্লাহ। তার যেই লেজারের কাজ সেখানে সে মাস্টার্স স্টুডেন্টদের ঢুকাবে না এটা সে আমাকে আগেই বলসিল কারণ এর জন্য এক্সপেরিয়েন্স দরকার। আমিই তার গ্রুপে একজন যে মাস্টার্সে ল্যাবে কাজ করসি।
মার্চ থেকে ইনশাআল্লাহ সপ্তাহে ১৯ ঘন্টা জব অনেক শিখসি, কিন্তু কিছু জানিনা এখনো টিচিং এক্সপেরিয়েন্স হয়ে গেসে মাস্টার্স পাশের আগেই এইই যা