Md Sohanur Rahman

জার্মানিতে আসার পর বেশ কিছু দিন উড়াংতাড়াং করে বেরাইছিলাম। এটা কিনবো ওটা কিনবো, তার উপর আবার জার্মানি সুতরাং ভেবেই নিছিলাম সবাই ফেরেস্তা। 🥴 এমন ই ছিলো চিন্তা ভাবনা!

তারপর একটা পছন্দের জিনিস কিনে খাইলাম ধরা (ম্রা)। তারপর ওটা আমি ৫ ইউরো বেশি দামে বিক্রি ও করে দিছি৷

এর পর সেইম জিনিস মার্কেট প্লেস থেকে এক জার্মান থেকে কিনলাম। আগের বার কিনছিলাম এক পাকিস্তানি থেকে। এবার যেহেতু দেখলাম জার্মান তো ধরেই নিলাম চিটিং করার পসিবিলিটি কম। মাত্র ৯০ ইউরোর জন্য চিটিং করবে না। যায়হোক সে আবার আগে পেমেন্ট করার জন্য তার রেসিডেন্স কার্ড আমাকে ইনবক্স করলো সিকিউরিটি হিসেবে। এর পর ব্যাংক ডিটেইলস দিলো। ব্যাস দিলাম পে করে৷ এর পরের দিন আমাকে ডিএইসএল ট্রাকিং নম্বর দিলো। ট্রাকিং নম্বর দুই দিন চেইক করার পর দেখি কোন আপডেট আসে না৷ উনাকে জানালাম আর সে বলল একটু মিস্টেক ছিলো ঠিক করে আসছি ৫ দিন পর পৌঁছে যাবে। তো সেই ৫ দিন আর আসে না! 🥺🥺

বুঝলাম আবার ম্রা খাইলাম। এর পর Rasha Binte Mohiuddin আপুর পরামর্শে পুলিশে মেইল দিলাম। তারা আমাকে কল ও দিছিলো বাট আমার জার্মান ভাষার নাজুক অবস্থা দেখে তারা মেইলে আপাল আলোচনা করলো। আমার ডয়েস এর জন্য সরি বলার জন্য আমাকে আবার বলল এখানে থাকলে ধীরে ধীরে আমি শিখে যাবো৷ আর সাথে তো তাদের গ্রেটিংস ফ্রি। ২/৩ লাইনের মেইলে ২ লাইনই তারা গ্রেটিং লেখে। ইস এমন সেবা আর আচরণ যদি আমাগো দ্যাশে পাইতাম। ৯০ ইউরোর জন্য ৫০ ইউরো দেওয়া লাগতো ঘুষ! 🥴

যাই হোক তারপর আর খোজ খবর নেই। আজ হঠাৎ দেখি ২ মাস পর ৯০ ইউরো + ৬০ ইউরো জরিমানা সহ ১৫০ ইউরো আমার একাউন্টে চলে এসেছে৷ 🔥🔥🤩🤩🤩😍😍😍

আমিও ৩/৪ লাইন গ্রেটিংস + কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মেইল দিয়ে দিলাম। জার্মানিতে কারো সাথে ঝামেলা বাধলে মন খুলে গালিগালাজ করেন বাট গায়ে হাত দিয়েন না৷ আপনার গায়ে হাত দেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেন!

আর যেকোন সন্দেহভাজন ফোন কল + ঝামেলাতে পড়লে ডিরেক্ট পুলিশ মেইল করবেন। প্রথম প্রথম পুলিশ ইনফর্ম করার আগে আমার শুধু দেশের পুলিশি সেবার কথা মাথাতে আসছিলো।

Chemnitz Polizei 🔥

mm

By টিম জার্মান প্রবাসে

আমি জার্মান প্রবাসে! আপনাদের সাথে ছিলাম, আছি, থাকব! :)

Leave a Reply