ভেবেছিলাম ইউরোপের দেশ তাও আবার জার্মানি, এইখানে ক্লাসমেট দের যদি বলি আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি হইত চিনবেই না আর যারা চিনবে তাদের প্রতিক্রিয়া হইত এমন হবে
“ ও বাংলাদেশ, তোমাদের দেশতো পর পর দুর্নীতির শীর্ষ স্থান টা দখল করে রেখেছে তাই না??” অথবা বলবে “ বসবাসের সবথেকে অযোগ্য শহর ঢাকা তোমাদের রাজধানী না??”, ভ্রুকুচকে বলবে “আমি ইউটিউব এ একটা ভিডিও দেখেছিলাম বাংলাদেশের মানুষ ট্রেনের ছাদে বসে গন্তব্বে পোঁছে” হইত বা কেও নিতান্তই অবহেলার ছলে বলবে “ বাংলাদেশ তো মনে হয় ইন্ডিয়ার অঙ্গ রাজ্য” কিন্তু না……………………।
প্রথম ক্লাস পাশে একটা সুন্দরী মেয়ে বসেছিল। দেখে মনে হয় চাইনিজ পরিচিত হতে গিয়ে জানলাম ও ফিলিপাইন থেকে এসেছে। আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি শুনে আমাকে প্রশ্ন করল তুমি ইউনুস কে চিনো?? আমি ভাবলাম বাংলাদেশের কেও একজন হবে হইত যার সাথে তার আগে থেকে পরিচয় আছে। আমি বললাম না। ও বিস্ময় এর দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে বলে তুমি ডঃ মোঃ ইউনুস কে চিনো না, যে নোবেল পেয়েছিল?? আমি তখন ও হাঁ হাঁ……।। তখন সে বলল আমি উনার লেখা একটা বই পড়েছিলাম। অনেক বড় মাপের মানুষ্……………।
আরেকদিনের ঘটনা…।। পাশের ছেলেটা ঘানা থেকে এসেছে ওর বাংলাদেশ কে না চিনা টাই স্বাভাবিক। কিন্তু সে আমার দেশ টাকে চিনে ভালো করেই চিনে কারন ও সাকিব আল হাসান এর ভক্ত। সে শুদু জানে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামের একটা দেশ আছে যে দেশটা ক্রিকেট খেলে যে দেশে সাকিব আল হাসান নামের একজন ক্রিকেটার আছে যে ক্রিকেটার অনেক নামি–দামি দেশের ক্রিকেটারদের টপকে ওয়ানডে অ্যান্ড টেস্ট ক্রিকেটে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার……………।
প্রবাসে কোন ভিনদেশি মানুষ যখন শত সমস্যাই জর্জরিত আমাদের দেশটার বা দেশটার কোন মানুষের প্রশংসা করে তখন নিজের মধ্যে কতটা গর্ব বোধ হয় তা সুধু তারাই বুঝবেন যারা দেশ, দেশের মানুষের থেকে হাজারো মাইল দূরে আছেন।
ডঃ মোঃ ইউনুস, সাকিব আল হাসান জার্মান প্রবাসের পক্ষ থেকে আপনাদের অনেক ধন্যবাদ ভিনদেশে আমাদেরকে এই সম্মান টুকু পাইয়ে দেবার জন্য
আর যোগ্যতার বিচারে আবারও নতুন করে নিজেকে যোগ্য প্রমান করাই অভিনন্দন ‘সাকিব আল হাসান’ কে………………………।।
Md. Rohidul Islam (Rohid)
M.Sc student in Economics
Friedrich Schiller University
Jena, Germany