স্পেশাল আপডেটঃ
জার্মান এমব্যাসির ওয়েবসাইটের স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে Pdf file এ যেখানে আগে বলা ছিল যে ১ অগাস্ট থেকে “confirmation of accommodation” দেখাতে হবে, এই কথাটি আর নেই। আগের “confirmation of accommodation” এর জায়গায় আছে “proof of genuine efforts to secure appropriate accommodation”।
এটাকে আমরা এমব্যাসির নমনীয় মনোভাব হিসেবেই ধরে নিতে পারি। আর বিচলিত হওয়ার কোন কারন নেই। ইয়ুথ হোস্টেল এর বুকিং কনফার্মেশন বা শুধুমাত্র আপনি বাসা নিয়ে কি কি ইমেল করেছেন তা বা ল্যান্ডলর্ড এর সাথে করা এপয়েন্টমেন্ট এর ইমেল প্রিন্ট করে নিয়ে গেলেই হবে বলে ধরা যায়। তাই সবাইকে দুঃশ্চিন্তামুক্ ত থাকার আহ্বান জানাই। ধন্যবাদ।
এমব্যাসি ভিসা রেগুলেশন লিংক:
http://
===============
আপনরা সবাই হয়ত ইতিমধ্যে জানেন, স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে এমব্যাসি নতুন একটা রুল দিয়েছে, ফেসবুকে জানিয়েছে জার্মান দূতাবাস৷ নতুন রুল অনুসারে, ভিসা এপ্লিকেশন এর সময় একমোডেশন কনফার্ম করতে হবে এবং এটা নিয়ে ছেলেপেলে অনেক চিন্তিত। আসলেই কি এত চিন্তার কিছু আছে? আমি বলব না। একটু সময় নিয়ে ব্যাখ্যা করছি কেন? কিভাবে? কি?
#বাসস্থান সমস্যা সমাধান – শেয়ারিং ইজ কেয়ারিং
https://www.facebook.com /groups/BSAAG/ permalink/ 684272951654986/
আগে কি হত?
আমরা যখন ভিসা এর জন্য এপ্লাই করতাম তখন হয় ব্যবহার করতাম বিশ্ববিদ্যালয় এর এড্রেস [এটা দেয়া হত তখনই যখন সে বাসা এর ব্যাপারে নিশ্চিত না। বিভিন্ন ডর্মে এপ্লাই করেছে, কোথায় হবে বাসা, কে জানে?] অথবা সে যে বাসাটা কনফার্ম করেছে তার এড্রেস। [মোস্ট কেইসে এটা হয় না। কারণ দেশ থেকে স্কাইপে কথা বলে বাসা ম্যানেজ করা যায় না বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই। বড়জোর চুক্তি করা যায় যে জার্মানি আসলে সে বাসা দেখাবে এবং তার সাথে বাসার ব্যাপারে কন্ট্রাক্ট করবে।] এবং জার্মানিতে এসে ল্যান্ডলর্ডদের সাথে কথা বলেই কোথায় থাকবো তা ঠিক করা হয়। এটাই ৯০ ভাগ ক্ষেত্রে সবাই করে থাকে।
বাসা নিয়ে প্রতারণা – Lesson Learnt – Experience Summer’2015
এখন কি হবে?
এখন জার্মান এমব্যাসির রেগুলেশন অনুযায়ী একমোডেশন এর কনফার্মেশন দিতে হবে। এই কথা থেকে একটা জিনিস পরিষ্কার, আগের মত শুধু এড্রেস দিলেই এখন আর হবে না। এর সাথে এমন কিছু চাই যা নিশ্চিত করবে যে ওই বাসায় তুমি উঠতে পারবে। এটা হতে পারে একটি কন্ট্রাক্ট পেপার অথবা এগ্রিমেন্ট এর ইমেল কপি অথবা বুকিং কনফার্মেশন ইত্যাদি। কী করবো এবং কিভাবে করবো?
#সমাধান – ১, ২ এবং ৩ এর মাধ্যমে আসুন বিস্তারিত জেনে নেই।
#সমাধান-১
স্টুডেন্ট ডর্ম এর জন্য এপ্লাই করতে হবে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে পাওয়া না গেলেও কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের জন্য অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। নিজের কোর্স কোঅরডিনেটর এর সাথে এই ব্যাপারে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে।
#সমাধান-২
এরপর আসছে প্রাইভেট একমোডেশন এর ব্যবস্থা করা। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে দেয়া ভ্যাকান্সি দেখে ইমেল করতে হবে। তবে ভুলেও কোন টাকা পাঠানো যাবে না। জার্মানিতে এসে, দেখে, বুঝে এবং চুক্তিনামাতে সিগনেচার করে তবেই ব্যাংক এর মাধ্যমে টাকা পাঠাবেন। এটা থেকে একটা ব্যাপার পরিষ্কার, বাংলাদেশ থেকে বসে প্রাইভেট বাসা পাওয়া খুবই কঠিন কাজ। আপনি যা করবেন তা হল ইমেল করে ৬/৭ জন ল্যান্ডলর্ড এর সাথে কথা বলে রাখা এবং এমনভাবে যে জার্মানিতে এসেই আপনি তাদের বাসা দেখতে যেতে পারেন। এরপর, যার সাথে সব মিলবে, তার বাসাটাই নিবেন। এরকম কিছু ওয়েবসাইট :
http://
http://
http://
http://
ভিসা অফিসার এর সাথে মোকাবিলা
#সমাধান-৩
মনে রাখবেন, জার্মানিতে একটা বাসস্থান আপনাকে দেখাতেই হবে এবং এটা নতুন রুল। কিন্তু বাংলাদেশে বসে তা করা খুবই দুরূহ। তাই শেষ ভরসা হল ইয়ুথ হোস্টেল! আপনি ১০ থেকে ২০ দিনের জন্য এখানে রুম বুকিং করতে পারেন। ভাড়া গড়ে প্রতিদিন ২৫ ইউরো এর মত করে পড়ে। আপনি বুকিং দিলে তারা আপনাকে একটি কনফার্মেশন ইমেল দিবে। এই ইমেল এর প্রিন্ট নিয়ে আপনি এমব্যাসিতে যেতে পারেন। হোস্টেল খোঁজার ওয়েবসাইট : http://
এমব্যাসি ভিসা রেগুলেশন লিংক:
http://
এমব্যাসিতে কি বলব? তার আগে একটা ইমেল শেয়ার করে নেই। নিচের ইমেল এবং তার উত্তর ভাল করে পড়ুন:
ইমেলঃ ”Embassy has implemented the new rule from next 1 august. I have taken hostel reservation for 10 days. Is it enough because dorm. is not available now.” [ইমেলটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য মি. হাসান কে অনেক ধন্যবাদ।]
উত্তর: Dear Mr. Hasan, you can submit any proof of accomodation you have.
Thank you for your email and with best regards,
The Visa Section Botschaft der Bundesrepublik Deutschland
Embassy of the Federal Republic of Germany
178, Gulshan Avenue, Gulshan 2, Dhaka-1212,
Bangladesh Phone: (00880-2) 985 3521-24
Fax: (00880-2) 985 3260
Email: [email protected]
Internet: www.dhaka.diplo
আবার আমরা অনেকের কাছে এটাও শুনেছি, হোস্টেল বুকিং এর কনফার্মেশন দেখালেও ভিসা অফিসার তা নিচ্ছে না। এই ব্যাপারে আমাদের ধারণা, বাংলাদেশি ভিসা অফিসাররা নিয়মটিকে অতিরিক্ত কঠিন করছেন। আপনাকে যদি বলে হোস্টেল বুকিং দিলে হবে না, তখন আপনার উত্তর বা কথোপকথন হওয়া উচিত নিচের মত:
এপ্লিক্যান্টঃ এই হল আমার হোস্টেল বুকিং পেপার এবং বাসার ঠিকানা।
ভিসা অফিসার: এটা হলে হবে না। প্রাইভেট বাসার পেপার লাগবে।
এপ্লিক্যান্টঃ আমি ৭/৮ জনের সাথে যোগাযোগ করেছি এবং তাদের সাথে এপয়েন্টমেন্টও ঠিক করা আছে। আমি জার্মানিতে গিয়ে তাদের বাসা দেখে কন্ট্রাক্ট পেপার সাইন করব। তার জন্য হোস্টেল বুকিং। আর বাসা না পেলে হোস্টেলেই পাকাপাকি থাকার মত টাকা আমার আছে। এই হল আমার ব্লকড একাউন্ট এর পেপার। এবং আমি যদি পার্মানেন্টলি থাকি তাহলে ভাড়াও কম দিতে হবে বলেছে হোস্টেল। কিন্তু এসব জিনিস আমাকে জার্মানিতে গিয়ে দেখে, বুঝে সাইন করতে হবে। এটা এখান থেকে করা কারো পক্ষেই সম্ভব না। আবারও বলছি রেগুলেশন বলেছে এটা দেখাতে যে জার্মানিতে আমার থাকার ব্যবস্থা আমি করেছি কিনা? সেটা আমি করেছি। বাকিটুকু করার জন্য আমাকে সশরীরে জার্মানিতে যেতে হবে। ধন্যবাদ।
এইতো। এখানে খুব সাধারণভাবে জিনিসটা নিয়ে আলোচনা করলাম। বাস্তবে আরও নানা রকম পরিস্থিতি আসতে পারে। কিন্তু হকচকিয়ে গেলেই সমস্যা। মাথা ঠাণ্ডা রেখে নিজের হাতে কি কি অপশন আছে তা চিন্তা করতে হবে আগে। এটা মনে রাখবেন ভিসা সেকশন থেকে এক একজন এক এক কথা বলছে শুধুমাত্র তাদের মাঝের কোর্ডিনেশন এর অভাবে। নতুন নিয়ম আসলে বাংলাদেশে যা হয় আর কি! জার্মান এমব্যাসি হলেও কি তার ব্যতিক্রম আছে? কিন্তু সাহস হারালে চলবে না। দৃঢ় ভাষায় তাদের এই ইমেলটির কথা বলবেন। আশা করি সবাই ভালভাবে জার্মানিতে পৌঁছুবেন। সবার জন্য শুভ কামনা রইলো। ধন্যবাদ।
#বাসস্থান সমস্যা সমাধান – শেয়ারিং ইজ কেয়ারিং
https://www.facebook.com /groups/BSAAG/ permalink/ 684272951654986/
[…] এমব্যাসির বাসস্থান রেগুলেশন এবং আমাদ… […]