জার্মানিতে আজকে ৩ বছর, অনেক প্রোগ্রাম হয় দেশীয় সব না হলে ও সব প্রকারের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনের সুযোগ সৌভাগ্য হয়েছে, সেই একুশে ফ্রেবুয়ারি, পহেলা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস থেকে বিজয় দিবস মেলা এত সব কিছুর পর ও কেন জানি কিসের একটা শুন্যতা সবসময় থাকত তার মাঝে একটা হল বাঙ্গালী বিয়ে আর চট্টগ্রামের মেজবান।
হুম এই অপূরণতার কিছুটা সমাপ্তি মনে হয় হতে চলেছে খুব শীগ্রই ।।
কালকে ১৭ জানুয়ারি শনিবার বিকাল ১৭ টার সময় ছিল এক অনন্য সুন্দর বিয়ের প্রোগ্রাম।
বর ছিল বাংলাদেশ থেকে আইটিতে মাস্টার্স করতে ফ্রাঙ্কফুর্ট ইউনিভার্সিটিতে আসা সেতু আর কনে টিউ ডামস্টাডে পড়া মিরা… (জন্মসূত্রে জার্মান)। দেখা, কথা, ভাল লাগা, প্রনয় তারপর বিয়ে , ঠিক বিয়ে নয় বিয়ের এনগেজমেন্ট।
অসাধারণ এক উপাস্থাপনা ছিল এই প্রোগ্রাম নাচ, গান অতিথিদের অংশগ্রহনে নাচ সহ অনেক মজার কিছু মিশ্রণ।
প্রথমে শুরু হয় কনের শৈশব থেকে বেড়ে উঠার এক ভিডি ও প্রদর্শনী, তারপর কেক কাটা, গানে গানে বরের কণেকে বিয়ের প্রস্তাব তারপর রোমান্টিক গানে তাদের নাচ …।
অসাধারণ কিছু দলীয় নাচ ও ছিল…
এত কিছু হয়ে যাচ্ছে তার মাঝে কি খাবার আর কি ছবি কি ছিল না নাকি… ভোজন রসিক বাঙ্গালী আর বন্ধনের নিদর্শন রেখে দিতে পটু বাঙ্গালী ভুলবে কেমনে ছবি তোলা আর খাওয়া …
সবার নিজের স্মার্ট ফোনের পাশাপাশি পুরা প্রোগ্রাম (ভিডি ও) ধারন করা হয়েছে ২ টি ক্যামেরাতে।
এইবার খাবারের কথা না বললে নই … আমার তেল জাতীয় খাবারে দুর্বলতা *(ভাজা পোড়া ) তাই ডাক্তারের বারন থাকা শর্তে ও নিজেকে এই খাবারের দুর্বলতা এড়াতে পারি না।।
খাবারের প্রথম পর্বে ছিল পেঁয়াজু, ডিম পরাটা, জর্দা ভাত, হালুয়া, মিষ্টি বিভিন্ন রকম, চমুছা, ভেজি রোল আর ও অনেক কিছু
এই সব খেয়ে আরও খাবার যে আছে তাই ভুলে বসলাম … উপস্থাপিকা যখন বলল Hauptspeise মানে মেইন মেন্যু কিছুক্ষন পরে তখন ভাবলাম এইসবের কি দরকার ছিল যদি ও মনে মনে খুবই খুশী হলাম …
খাবারের মেইন মেন্যু পোলা ও, মুরগী, গরু, সবজি, চিংড়ি, কাবাব সহ আরো অনেক পদ।
খাবারের শেষে ছিল ধই, কেক আর কোমল পানীয় (যদি ও সবসময় ছিল)
আমরা ছিলাম বরের ইউনিভার্সিটিতে পড়া বন্ধু ভাই ব্রাদার তাই খাবারের টেবিলে আমাদের জন্য একটু উপরি আতিথিয়েতা ছিল।
সব শেষে অনেক ধন্যবাদ মিরা আর সেতুকে এবং এই প্রোগ্রামে সম্পৃক্ত সবাইকে। মিরা আর সেতুর নতুন জীবনের পদচারণা অনেক সুন্দর হোক।
ছবি আসছে ……..
(লেখকঃ Hossain Mohammad Talebull Islam)