এই সিরিজটি আম জনতার জন্যে প্রযোজ্য না…অনেক চিন্তা করে তৈরী করা হয়েছে শুধুমাত্র প্রবাসী ছাত্রদের জন্যে। প্রতিটি খাবার হবে সস্তা, সহজ, কম সময়ে চটপট রান্না করার উপযোগী এবং সর্বোপরি খাওয়ার যোগ্য…
ইচ্ছা করেই ছবি দুইটা এভাবে দেয়া কারণ কোন সস্তা ধরনের প্যাকেটের গায়ে কি লেখা থাকে তা জানা দরকার…এইটা মুরগির রান-থান মেলানো প্যাকেটের একটা নমুনা। নানান সুপার মার্কেটে নানান রঙিন প্যাকেট থাকবে তবে নাম এবং ছবি এই ধরনেরই থাকবে। সুবিধা হলো ইহা সস্তা ৭০০গ্রাম থেকে শুরু করে তিন কেজির প্যাকেট পর্যন্ত নানান জায়গায় পাওয়া যায় তবে এক কেজি সাইজটা কমন। কারো যদি এখন মনে প্রশ্ন জাগে এইটা কি হালাল? এই সব প্রশ্ন প্যাকেট করে রেখে দেয়া উত্তম…মুরগি হালাল হতে পারে এবং খুব বিশেষ বিবেচনা করলে মাকরুহ হয় কিনা আমার জানা নাই তবে হারাম হওযার চান্স নাই। তর্ক না করাই ভাল।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
এক কেজি মুরগি
৩-৪ টা পেয়াজ
১ পিচ্ রসুন (না থাকলে নাই)
ছোট্ট এক টুকরা অদা কুচানো -১/২ চামচ (না থাকলে নাই)
১ চা চামচ হলুদের গুড়া
১ চা চামচ মরিচের গুড়া
লবন আন্দাজ মতন (কম হলে রান্না শেষ করার আগেও দিয়ে নেয়া যাবে-টেনশন নাই)
১/২ চা চামচ ধনিয়া গুড়া (না থাকলে নাই)
১/২ চা চামচ জিরা গুড়া (না থাকলে নাই)
১/৪ চা চামচ গরম মশলার গুড়া (না থাকলে নাই)
আস্ত মশলা যেমন তেজপাতা, এলাচি, লবঙ্গ, দাড়চিনি এক টুকরা করে (না থাকলে নাই)
মুরগি রান্নার সব থেকে সহজ প্রণালী:
চামড়াসহ এক কেজি মুরগি (পানিতে ভিজিয়ে রাখলে একটু নরম হবে তখন দুই টুকরা করে কেটে ফেলা ভালো) ***সৈয়দরা চামড়া না খেলেও ওটা সহ রান্না করে পরে ফেলে দিলেই হবে। একটা পাতিলে তেল দিয়ে পেয়াজ আর রসুন ভাজতে হবে (একটু নরম হলেই হবে বাদামী না) এরপরে গরম মশলার গুড়া ছাড়া বাকি সবকিছু একসাথে ঢেলে অল্প পানি (আধা কাপ) দিয়ে ফুটিয়ে ফেলতে হবে। কেউ যদি রান্নায় আলু দিতে চায় তবে এই মশলা দেয়ার আগে আলুগুলো এই তেলেই ভেজে তুলে ফেলতে হবে (সুবিধা হল আলু পরে গলে যাবে না তেমন)।
মশলা ফুটে উঠলে চামড়াসহ মুরগি ঢেলে দিতে হবে আর চুলার আচ কমিয়ে মাঝামাঝি রেখে ঢেকে দিতে হবে (ঢাকতে না পারলে পানি একটু বেশি লাগবে রান্না করতে)। এরপরে ১০মিনটের মতন অপেক্ষা করলে মুরগি ফোটা শুরু করবে তখন একটু নেড়েচেরে দিতে হবে।আলু দিতে চাইলে ১৫-২০ মিনিট পরে যোগ করে দিলেই হবে। এইভাবে প্রায় ৩০-৩৫ মিনিটে মাংস রান্না হয়ে যাওয়া উচিত। চুলা বন্ধ করার ১-২ মিনিট আগে গরম মশলার’ গুড়া মিশিয়ে দিয়ে একবার নেড়েচেড়ে দিলেই হবে।
এই হলো গরিবী মুরগিরান্না কেউ চাইলে মশলা ঘন করার জন্যে কয়েকটা কাজ করতে পারে…খরচ কিন্তু একটু বাড়বে
১. টকদই এর সস্তা প্লাস্টিক গ্লাস পাওয়া যায় ২৫০ml অথবা ৫০০ml এর এই দই অ্যাড করলে তাড়াতাড়ি রান্না হয় (সবধরনের মাংস) আর মশলা ঘন হয়
২. পেয়াজ আর রসুন কেটে না দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে দিলেও ঘন হবে। মাংস দেয়ার আগে মশলা জাল দেয়ার সময় একটু বেশিক্ষণ জাল দিলেও পেয়াজ গলে যাবে, এতে মশলা কিছুটা ঘন হবে।
৩. টমেটো মার্ক বা কুচি টমেটো অথবা টমেটো পেস্ট পাওয়া যায় সব সুপার মার্কেটে (প্যাকেট অথবা টিনের কৌটাতে) রান্না যোগ করলেও ভালই ঘন হয় আর খেতেও খারাপ না
***চামড়া ফেলে দিতে নিষেধ করার দুইটা মূল কারন প্রথমত রান্না তেল কম লাগবে আর দ্বিতীয়ত মশলা উনিশ-বিশ হলেও মুরগির স্বাদ খারাপ হয় না। এই রান্নার মূল কাহিনী হলো কত কম মশলা দিয়ে সহজভাবে রান্না করলেও খেতে ভালো লাগবে।
রান্না কেমন হলো জানাতে ভুলবেন না…
[…] স্বাদ-আহ্লাদ আর খানাদানা ২: মুরগি […]
[…] স্বাদ-আহ্লাদ আর খানাদানা ২: মুরগি […]