আমি একজন ভাতুড়ে, প্রতিদিন নিয়ম করে দু’বেলা ভাত খাই। পেটে ভাত না পড়লে খালি মনে হয়, “কি যেন খাইনি, কি যেন খাইনি!” আমার বডি সিস্টেমে ভাত এবং ক্ষুধার মধ্যে একটি অদৃশ্য সেতু বন্ধন গড়ে উঠেছে। তাই যত কিছুই খাই না কেন, ভাত না খেলে আমার মনে হতে থাকে আমার পেট ভরেনি! তবে মানুষের মনরে ভাই বড়ই বিচিত্র! বেশ কিছু দিন ধরে আমার স্ন্যাক্স টাইপ কিছু খেতে ইচ্ছা করছে। বারবার মনে হচ্ছে স্ন্যাক্স টাইপ কিছু না খেলে আমি মারাই যাব। মরিতে চাইনা আমি সুন্দর ভবনে, তাই জীবন বাঁচাতে ইন্টারনেট খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সবচেয়ে ইজি একটি রেসিপি বের করে ফেললাম। এটার নাম, “টুনা কাটলেট”। অত্যান্ত সুস্বাদু, আমি নিজে অর্ধেকটা টুনোর পুরোটাই খেয়ে দেখেছি, এখনও দাঁতের ফাঁকে লেগে আছে দাদা! রন্ধন প্রণালী খুব সহজ, আর রান্নার উপকরণ সব Netto তেই সব পাওয়া যায়। তবে ডেকোরেশনের উপকরণ পেতে হলে Kaizerplatz এ টার্কিশ শপগুলাতে একটু কষ্ট করে যেতে হবে এই আর কি। যাই হোক, রন্ধন প্রণালী দেবার আগে ছোট্ট একটা টিপস দিয়ে দেই। “টুনা কাটলেট” রান্না করতে টেস্টিং সল্ট দিতে হয়। আমার বাসায় টেস্টিং সল্ট বস্তুতা কখনোই থাকেনা (ভাত রান্না করতে টেস্টিং সল্ট লাগেনা!), তাই টেস্টিং সল্ট ছাড়াই রান্না করে ফেলেছি। ওকে, টিপস দেওয়া হওয়া গেল, এখন আমরা পুরো রন্ধন প্রণালীটি দেখে আসিঃ
উপকরণ:
ক্যান টুনামাছ ২৫০ গ্রাম।
পেঁয়াজ মিহি কুচি আধা কাপ।
কাঁচামরিচের কুচি ১ টেবিল-চামচ।
ডিম ১টি। লেবুর রস ১ চা-চামচ। লেবু কুচি ১ চা-চামচ।
ধনেপাতা স্বাদমতো।
টেস্টিং সল্ট ১ চিমটি।
বিস্কুটের গুঁড়া পরিমাণ মতো।
তেল ভাজার জন্য।
লবণ স্বাদমতো।
পদ্ধতি:
ক্যান থেকে টুনা বের করে পানি ঝরিয়ে নিন। ফ্রাই প্যানে দিয়ে হাল্কা ভাজা ভাজা করে নেবেন। তারপর সব উপকরণ একসঙ্গে মাখিয়ে একটু ঝুরি ঝুরি করে রাখুন। এবার ঝুরিগুলো ইচ্ছামতো আকার দিয়ে ডিমে চুবিয়ে, বিস্কুটের গুঁড়ায় গড়িয়ে নিন। এবার ডুবো তেলে ভাজুন। সস আর লেটুস পাতা দিয়ে সুন্দর করে পরিবেশন করুন।
Thats a awesome dish.. I will make it for next dinner. 😀
*an awesome dish