গত বুধবার রাত ১১ টার দিকে ট্যাক্সিতে করে ক্লেভে বানহফ থেকে বাসায় ফিরছিলাম।
জার্মান ড্রাইভার জিজ্ঞেস করল, “তুমি কোত্থেকে আসতেছ?
“নুর্নবার্গ থেকে, একটা ইন্টারভিউ ছিল” উত্তর দিলাম।
আমার পুরো পরিচয় জানতে চাইল সে। আমার দেশ, লেখাপড়া ও চাকরি সম্পর্কে তাকে জানালাম।
সব শুনে সে বলল, “তোমার জার্মান অনেক ভাল। আমি তোমার সাফল্য কামনা করি। আহা! সব তরুণরা যদি তোমার মত হতো!”

অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, “কেন?”
সে উত্তর দিল, “এই এলাকার অনেক ইন্ডিয়ান ও পাকিস্তানি ছাত্রকে চিনি। এরা জার্মান শিখে না, শুধু পার্টি করে বেড়ায়। আমার পরিচিত এক পাকিস্তানিকে জার্মান না শেখার কারণ জিজ্ঞেস করায় সে বলেছিল,”এই বয়সটা মজা করার জন্য, ডুড। এত টেনশন নেওয়ার কিছু নাই।” অথচ একটু কষ্ট করে আমাদের ভাষা ও অন্যান্য বিষয়ে ইন্টিগ্রেশনের চেষ্টা করলে সে সহজেই একটা সুন্দর ভবিষ্যত পেতে পারত।”

আমি ভেবে দেখলাম, সে ঠিকই বলেছে।
আমি প্রচুর বাংগালি ছাত্র/ছাত্রীকে চিনি যারা দীর্ঘদিন জার্মানীতে থেকেও এখানকার ভাষা বা সংস্কৃতি কোনটার সাথেই মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেনি। একসময় এরাই আবার বড়বড় গলায় বলবে, “জার্মানরা রেসিস্ট।” অথবা বিভিন্ন অসদুপায়ে এখানে থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।

ধিক, তোদের মত বাংলাদেশিদের!!

mm

By Shariat Rahman

আমি বর্তমানে রাইন-ওয়াল ইউনিভার্সিটি অফ এপ্লায়িড সাইন্সে সায়েন্টিফিক এসিস্ট্যান্ট (Wissenschaftlicher Mitarbeiter) হিসেবে কাজ করছি। ২০০৯ সালে বুয়েট থেকে আইপিইতে ব্যাচেলর আর ২০১২ সালে রাইন-ওয়াল ইউনিভার্সিটি অফ এপ্লায়িড সাইন্স থেকে বায়োনিক্সে মাস্টার্স সম্পন্ন করি। অবসর সময়ে সোস্যাল মিডিয়া, আড্ডাবাজি আর খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করি।

Leave a Reply