(স্থান, কাল, পাত্র পরিবর্তিত)
…………

মুনিরা দেশের একটা মোটামুটি পরিচিত প্রাইভেট ইউনি থেকে ব্যাচেলর পাশ করে ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় এখানে আসে। ভর্তি হয় তার ব্যাচেলরের সাথে সংশ্লিষ্ট মাস্টার্সে। একই সাথে গাটের পয়সা খরচ করে ভর্তি হয় ছয় মাসের জার্মান কোর্সে। দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে দ্রুত ভাষা শিখে ফেলে সে। মাস তিনেক পরে একটা রেস্টুরেন্টে খন্ডকালিন কাজ (খাবার পরিবেশন) পায় সে। ছয়মাসেই TestDaf দিয়ে মোটামুটি ভাল ফলাফল করে। পুর্বের মাস্টার্স বাতিল করে পুনরায় টিইউ মিউনিখে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি হয় সে। পুরো কোর্স জার্মান। কিন্তু নিজ যোগ্যতা ও পরিশ্রম দিয়ে কাজ করার পাশাপাশি মোটামুটি ভাল রেজাল্ট নিয়ে ব্যাচেলর শেষ করে মুনিরা। বলা বাহুল্য, ভাল ভাল ইন্সটিটিউটে ইন্টার্ণশীপ করেছিল সে। শীঘ্রই আরেকটা ইউনিতে মাস্টার্স শুরু করবে সে। আমি নিশ্চিত, সে নামকরা কোন কোম্পানিতে জব পাবে।

তার মধ্যে আমি কয়েকটি গুণ দেখেছি।
১। জয়ী হওয়ার অদম্য বাসনা
২। কঠোর পরিশ্রম
৩। মানুষের প্রতি মমত্ববোধ
৪। বিচক্ষণতা
৫। স্কুলজীবনের ভাল ছাত্রীর সুনাম ফিরে পাবার প্রচন্ড স্পৃহা
৬। সংগ্রামী

একজন মানুষের মধ্যে উপরোক্ত গুণ থাকলে সফলতা নিজেই তার কাছে ধরা দেবে।

mm

By Shariat Rahman

আমি বর্তমানে রাইন-ওয়াল ইউনিভার্সিটি অফ এপ্লায়িড সাইন্সে সায়েন্টিফিক এসিস্ট্যান্ট (Wissenschaftlicher Mitarbeiter) হিসেবে কাজ করছি। ২০০৯ সালে বুয়েট থেকে আইপিইতে ব্যাচেলর আর ২০১২ সালে রাইন-ওয়াল ইউনিভার্সিটি অফ এপ্লায়িড সাইন্স থেকে বায়োনিক্সে মাস্টার্স সম্পন্ন করি। অবসর সময়ে সোস্যাল মিডিয়া, আড্ডাবাজি আর খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করি।

Leave a Reply