ধর্মীয় অনুভুতিতে বা কোনো প্রকার বিশ্বাসে কারো আঘাত লাগুক চাইনা তবে কিছু বিষয় মনে করিয়ে দেয়া জরুরি। তাই কাজ ফেলে রেখে এই লেখা লিখতে বসা। পড়বেন নিজ দায়িত্বে, অনুসরণ করতে চাইলে করবেন, না চাইলে ইতি।
আমি ছোটবেলা থেকে নানান ধর্মের মূল্যবোধ এবং লক্ষ্য নিয়ে পড়াশোনা করেছি যার কারনে হুট করে কাউকে গালিগালাজ করতে পারি না। অনেকের মতন। আজকের লেখার উদ্দেশ্য একটু অন্যরকম…কিছু মানুষ, বিশেষ করে ডিগ্রীধারী বা ভবিষ্যতের ডিগ্রীধারীদের জন্যে। আমাদের পক্ষে একা সকলকে বোঝানো সম্ভব নয়। তথাপি আপনার যদি সুমতি হয় নিজে বাচুঁন, সেইসাথে অন্য দুই-চার জনকে বাচাঁন।
আজকের ঘটনার জন্যে বলা…দুই বয়স্ক মহিলা এসেছেন আমার কাছে ক্যাথলিক চার্চ এর তরফ থেকে বাইবেল শেখার দাওয়াত নিয়ে। এইবার তারা দ্বিতীয়বারের মতন আসলেন। আমি বরাবরের মতন বললাম, দেখো আমি আমার ধর্ম পালন করি। তোমার ধর্মকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু আমার কাছ থেকে এর বেশি আশা করো না। আমার ইচ্ছা থাকলে আমি নিজেই পড়ে নেব। তখন সেই সাথে বলে গেল, যে হালকা অপ্পায়নের ব্যবস্থা আছে। তারা বের হয়ে যাবার পরে চিন্তা করে দেখলাম ব্যাপারগুলো কিভাবে ঘটে। এর মাঝে আর আমাদের কিছু ধর্মীয় গোষ্ঠির চিন্তা একই রকম কিনা…এইখানে এই ঘটনার সাথে দুইটি বিষয় জড়িত
১. ফ্রি খাবার বা সুবিধা (নানান মানুষের নানান দরকার এবং অভাব আছে, ফাও পেতে কি সমস্যা)
২. বারবার এমন রূপে আসা যাকে আপনি না করতে পারবেন না (এই ক্ষেত্রে দুই দাদী-নানির বয়সী যাদের আপনি অসম্মান করবেন না)
এই লেখাটি লেখার অন্য কারণ হলো তবলীগ (বাংলায় এর থেকে ভালো শব্দ পেলাম না) আর রাজনৈতিকভাবে ধর্মকে ব্যবহার করার মাঝে পার্থক্য বোঝানো…তবলীগ হলো ধর্মের বাণী পৌছানো কিন্তু যখন তার পেছনে টাকা-পয়সা, দলীয় স্বার্থ জড়িত থাকে তখন তা আর ধর্মীয় দাওয়াতের পর্যায়ে পরে না। আমাদের কাছে অনেক সময় নানান অনুষ্ঠান আর আড্ডার খবর আসে যার ধরন একই রকম। ছাত্রদের নানান ভালো প্রলোভন দেখানো, তাদের দলে ভেরানো। অনেকে ভিরছেন ও সাময়িক কিছু সুবিধা লাভের আশায়।
***সবার কাছে একটাই প্রশ্ন, আপনার কি এই সুবিধাটুকুর খুব দরকার? নাকি আপনার রুমে এসে আপনার বন্ধুরুপী সেই দলভুক্ত মানুষটি ঘন্টার পর ঘন্টা সময় ব্যায় করে যায় বলে আপনি তার ব্যাপারে অন্ধ?
মেহেদী হাসান নামের ছোট্ট এক দালাল লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে আর সেখানে বিশ্বাসের অস্ত্র দিয়ে আপনার ধ্যান-ধারনা এবং মূল্যবোধ যে নিয়ে যাচ্ছে সারাজীবনের জন্যে…তা কি আপনি কখনো ভেবে দেখেছেন?
বি.দ্র. আমার লেখাটি সম্পুর্ন নয় মতভেদে কিছু কথা P.K. Dev এর কাছ থেকে ধার করলাম…যদিও এটি একান্তই লেখকের স্বাধীনতা তবুও কিছু কথা বাদ পরে গেছে বলে মনে করছি…
লিখাটা সম্পুর্ন নয়… especially শেষ লাইনটা “অনেকে ভিড়ছেন ও সাময়িক কিছু সুবিধা লাভের আশায়”- এই সাময়িক লাভটার সাথে একমত নই…এই সাময়িক লাভের অর্থ যদি হয় আপ্পায়ন তাহলে ক্ষতি কি?…আপনিতো লিখেছেন, অভাব থেকে …একজন মানুষ সারাদিন না খেয়ে থাকে এবং মসজিদে গিয়ে ইফতার করে তাতে ক্ষতি কি? আবার ঐ আপ্পায়ন/ আড্ডাতে গিয়ে কোনো একটি কথা আপনার সারা জীবনকে বদলে দিতে পারে…তা কিন্তু সাময়িক লাভ নয়… যুগ যুগ ধরে ধর্ম প্রচারটি এমনই ছিলো… হয়তো আমাদের মত বদলে যাচ্ছে…আমরা অনেকসময় এই আপ্পায়নকে অনেক সময় মিলিয়ে ফেলি, উপদেশ গুলোকে ব্যবহার করছি অন্য উদ্দেশ্যে যেটা উচিত নয়… তাই বলে এই ব্যাপারটিকে ignore করবো?সবাইকে এক কাতারে ফেলা ঠিক হবে না বোধ হয়!… ক্ষুধার্ত থেকে সাময়িক খাবারের আশায় ও যদি কেউ যায় তাতে ক্ষতি কি? মানবিকতা আগে ধর্ম পরে এই কথাটি মনে রাখাও দরকার।আর নিজে ঠিক থাকলে দুনিয়া ঠিক…
humanity vs faith
likhata sompurno noi… especially sesh line ta “অনেকে ভিড়ছেন ও সাময়িক কিছু সুবিধা লাভের আশায়”- ei shamoyik lav tar sathe akmot noi… ai samoyik laver ortho jodi ai appayon hoi taholey ba khoti ki… apni to likhecen, ovab thake… akta manush sara din na kheye theke jodi mosjid e giye iftari kore tate ki kono problem ache!!! abar oi appayon/gathering e giye kono akta bakko o apnar jibon puropuri palte felte pare… seta kintu samoyik lav na… jug jug e dhormo prochar ta amon e cilo… hoyto amader attitude change hoyece… amra onk shmy ai dhormer appayon guloke vinno uddese bebohar korci, setay kharap… tai bole adhoroner sob approach ke aki katar e fela thik hobe!!!… khudartho theke samoyik khawar asay o jodi kau jai tateo kono problem ki ache!!!… “Manobikota age, Dhormo pore”… r nije thik thakle ato haranor voi kiser!!! apni arakbar chinta kore appayon e jeteo paren 🙂
No Muslim can respect Christianity…