ঘটনাটা ছিল পরশুদিনের আগের দিনের। একজন কানাডিয়ান বাঙালি দেশে বেড়াতে এসছিলেন। দেশের কাজ শেষ করে সেইদিন ফিরছিলেন। শাহজালাল বিমানবন্দরে বোর্ডিং শেষ করে বিমানে ওঠার আগ মুহূর্তে বিশেষ সিকিউরিটিতে তিনি আটক হন। তার কাছ থেকে চার হাজার সামথিং ডলার উদ্ধার করেন বিমানবন্দরের কর্মীরা। তাকে বলা হয় এই অর্থ আপনি নিয়ে যেতে পারবেন না। আপনার কোনো রিলেটিভের কাছে দিয়ে যান। বোর্ডিং এর পরে যে স্টেজে তাকে আটক করা হয় সেখান থেকে তারপক্ষে কোনো রিলেটিভের নিকট আসা সম্ভব না। কিংবা বলা যায় পৌঁছানো সম্ভব না।

এখানে একটা জিনিস বলে রাখি, ৫ হাজার ডলারের বেশি নিয়ে কেউ যদি দেশে প্রবেশ করেন তাহলে তাকে একটা কাগজের টিকচিহ্নের মতো স্থান পূরণ করে জানাতে হবে। আবার দেশে এসে খরচ করার পরে বাকি অর্থ (৫ হাজার ডলারের ওপর) নিয়ে যেতে হলে একইভাবে জানাতে হবে। তবে ৫ হাজারের নিচে হলে সেটা জানানোর প্রয়োজন নেই। কিন্তু এই নিয়ম অনেকেরই জানা থাকে না। বোর্ডিং এর পরে চেকিং এর সময় ৫ হাজার বা কম থাকুক যদি বলা হয় আপনি এই ‘অর্থ নিয়ে যেতে পারবেন না’ তাহলে ডলারগুলো সেই বিমানবন্দরের কর্মীদের নিকটে জমা না দিয়ে উপায় থাকে না। আমাদের রংপুর অঞ্চলের প্রবাদ অনুযায়ী ‘শিয়ালের কাছে মুরগি আদি’ টাইপের ব্যাপার হয়ে যায় আর কি।
যাইহোক, সেই কানাডা প্রবাসী বাঙালিকেও প্রায় চারহাজার সামথিং ডলার জমা দিয়ে যেতে হবে। উপায় কি? তার মাথায় হুট করে একটা বুদ্ধি আসে ফেসবুকে ম্যাজিস্ট্রেটদের একটি ফ্যান পেইজ দেখেছিলেন। তিনি দ্রুত মোবাইলে লগিন করে সেই পেজে চলে যান সেখানে তিনি একটি ফোন নম্বর পান সেই ফোন নম্বরে ফোন দেওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে সেখানে ম্যাজিস্ট্রেটের দল উপস্থিত হয়। এরপর কি? গল্পতে যেমন হয় আর কি। সেই প্রবাসী বাঙালি নিজের ডলার নিয়েই বিমানে ওঠেন। আর সেই হয়রানি কারী বিমানবন্দরের কর্মী কিন্তু রেহাই পান নি। তাকে গ্রেপ্তার করে আনা হয়। এসবকিছু ঘটে মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে। সেই ফ্যান পেজটি Magistrates, All Airports of Bangladesh

এসব গল্পের মতো শোনালেও আসলে গল্প নয়। শাহজালাল বিমানবন্দরে এইরকম অসংখ্য গল্পের মতো ঘটনাই ঘটছে, আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট ভাইদের জন্যই। ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইউসুফকে আমি ফোন দিয়েছিলাম সেদিন একটা সংবাদের জন্য। তখন এই বিমানকর্মীকে আটক অবস্থায় এই ঘটনা শোনান। তিনি সেদিন আরো তিনটি ফোন নম্বর যুক্ত করে দেন। ফোন নম্বরগুলো যাদের প্রয়োজন সেভ করে রাখতে পারেন। অপরকে সাজেস্ট করতে পারেন। ফোন নম্বরগুলো – 01866544444, 01866566666, 01787661144, 01787661166

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যেকোন সহযোগিতার জন্য কল করুন… ২৪ ঘন্টা ৭ দিন সব সময়…


এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন

AAPB


আরো পড়তে পারেন –

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বহির্গমন ইমিগ্রেশনে করনীয়

(সংগৃহিত , Magistrates, All Airports of Bangladesh )

mm

By Anis

Vice-President (Media & Marketing) Overall moderation, group, page, website, magazine. Responsible for learn German for FREE movement.

10 thoughts on “শাহজালাল বিমানবন্দরে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতিতে পড়লে কী করবেন”
  1. বাস্তবভিত্তিক ও তথ্যপূর্ণ লেখাটির জন্য লেখককে ধন্যবাদ না দিলে বরং অন্যায় হবে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে একটি প্রকৃত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চেহারায় রূপান্তরের চেষ্টার শুরু বলতে গেলে জুন, ২০১০ থেকে যখন বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন কে দায়িত্ব প্রদান করে সরকার। এর পর থেকে গত পাঁচ বছরেরও বেশি সময়ে এই সংস্থাটি অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে বিমানবন্দরে সবধরনের যাত্রী হয়রানিমূলক কর্মকান্ড নির্মূলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে যা সত্যিই প্রশংসনীয়। বিমানবন্দরস্থ ম্যাজিস্ট্রেটগণকে সাথে নিয়েই এ কাজে অনেকদূর এগিয়েছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ। যদিও এ সাইটের অন্য একটি লেখায় এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ সম্পর্কে লেখা হয়েছে, তারপরও আমি মনে করি যাত্রী অভিযোগের বিষয়ে বিমানবন্দর ম্যাজিস্ট্রেটগণের ফোন নম্বরের সাথে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ এর ফোন নম্বরটি (যা ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে এবং একজন সিনিয়র/সহকারী পুলিশ সুপার ফোন রিসিভ করেন) যোগ করা উচিত ছিল। এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ এর ফেসবুক পেজটিও ব্যবহার করা যেতে পারে যাত্রী/পর্যটকের বিভিন্ন সমস্যা/তথ্যের জন্য যোগাযোগের প্রয়োজনে।

    1. ধন্যবাদ। আপনার তথ্যমূলক এবং গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য। একমাত্র গণসচেতনতাই হতে পারে অনেক সমস্যার সমাধান। এই বিষয়ে আপনার কাছে আবারো লেখার আহ্বান রইল। ভাল থাকবেন। 🙂

Leave a Reply