হয়রানি এড়াতে জেনে রাখা অতীব জরুরী
……………………………………
সম্মানিত প্রবাসীগণের অনেকের প্রশ্নের প্রেক্ষিতে আমরা সংশ্লিষ্ট নীতিমালা পর্যালোচনা করে এবং শুল্ক কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনাক্রমে দু’টি গুরুত্ব প্রশ্নের ব্যাখ্যাসহ উত্তর দেয়ার চেষ্টা করছি…
প্রশ্ন-১: বিদেশ থেকে আগমণকালে একজন যাত্রি কী পরিমাণ স্বর্ণ(Gold) আনতে পারবেন?
উত্তরঃ
ক) স্বর্ণালংকারঃ শুল্ক-কর ব্যতীত সর্বোচ্চ ১০০ গ্রাম। তবে এক প্রকারের অলংকার ১২টির বেশি হতে পারবে না। ১০০ গ্রামের অতিরিক্ত আরও ১০০ গ্রাম পর্যন্ত অলংকার HS-Code (২০১৪-১৫) অনুযায়ী গ্রাম প্রতি ১৫০০/- টাকা হারে শুল্ক-কর পরিশোধ সাপেক্ষে আনা যাবে।
ব্যাখ্যাঃ ১০০ গ্রামের অতিরিক্ত পরিমাণ অলংকার সঙ্গে থাকলে বিমানে সরবরাহকৃত “ব্যাগেজ ঘোষণা ফরম” এ সংশ্লিষ্ট কলামে অবশ্যই “হা”-তে টিক দিতে হবে। কোনভাবে এই ঘোষণায় ব্যর্থ হলে কাস্টম চেকিং এর সময় নিজ থেকে তা কর্তৃপক্ষের কাছে মৌখিকভাবে ঘোষণা করতে হবে।
ঘোষণা না করলে গোপন করার দায়ে কিংবা ঘোষণা দিয়ে ১০০+১০০=২০০ গ্রামের অতিরিক্ত পরিমাণ অলংকার আনলে সম্পূর্ণ স্বর্ণালংকারই জব্দ করে আপনাকে ডিএম (ডিটেনশন মেমো) দেয়া হবে। এই ডিএম নিয়ে ২১ দিনের মধ্যে কাস্টম হাউজে সিএন্ডএফ এজেন্টের মাধ্যমে নির্ধারিত ট্রাইবুনালে যেতে হবে এবং শুনানি শেষে ট্রাইবুনাল কর্তৃক নির্ধারিত শুল্ক-কর/জরিমানা দিয়ে তা ছাড়িয়ে আনতে হবে।
প্রতি অর্থ বছরে HS-Code-এ শুল্ক-কর পূননির্ধারিত হয়ে থাকে।
খ) স্বর্ণবার বা স্বর্ণপিন্ডঃ শুল্ক-কর পরিশোধ সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ২০০ গ্রাম। প্রতি ১১.৬৬৪ গ্রামে ৩০০০/- টাকা শুল্ক-কর পরিশোধ করতে হবে।
ব্যাখ্যাঃ অবশ্যই ঘোষণা করতে হবে। গোপন করলে কিংবা বার/পিন্ডের মোট পরিমাণ ২০০ গ্রামের উপরে হলে উপরে বর্ণিত নিয়ম প্রযোজ্য হবে। তবে এই ক্ষেত্রে সাধারণত ২৩৪ গ্রাম পর্যন্ত ডিএম নিয়মের সুযোগ দেয়া হয়। এর অতিরিক্ত হলে স্মাগলিং এর দায়ে মামলা হতে পারে।
মধ্যপ্রাচ্যে দুই ধরণের স্বর্ণবার পাওয়া যায়- ১০০ ও ১১৭ গ্রাম প্রতিটি। একাধিক (দু’টি) স্বর্ণবার ক্রয়ের ক্ষেত্রে ঝামেলা এড়াতে ১০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণবার কেনা উচিত।
#স্বর্ণালংকার এবং #স্বর্ণবার/পিন্ডের হিসেব সম্পূর্ণরূপে আলাদা। উদাহরণ স্বরূপ…আপনি ইচ্ছে করলে ১০০ গ্রাম শুল্কমুক্ত অলংকার এবং ২০০ গ্রাম শুল্কযুক্ত বার/পিন্ডসহ মোট ৩০০ গ্রাম স্বর্ণ আনতে পারেন।
প্রশ্ন-২: বিদেশ থেকে আগমণকালে একজন যাত্রি কী পরিমাণ এলকোহল(Alcohol) জাতীয় পানীয় আনতে পারবেন?
উত্তর খুব সহজ! কেবল বিদেশী পার্সপোর্টধারী একজন যাত্রী সর্বোচ্চ এক লিটার বা দুই বোতল (প্রতি বোতল অনধিক ৫০০ মিলি) এলকোহল জাতীয় পানীয় শুল্ক-কর ব্যতীত আনতে পারবেন। অর্থাৎ কেবল এনআরবি এবং ফরেইনারের ক্ষেত্রে এই সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশী পাসপোর্টধারী কোন যাত্রী এলকোহল জাতীয় পানীয় আনতে পারবেননা। অন্যদিকে এনআরবি এবং ফরেইনারদের ক্ষেত্রে এক লিটারের অতিরিক্ত পরিমাণ শুল্ক-কর পরিশোধ সাপেক্ষে আনারও সুযোগ নেই।
অন্যান্য প্রশ্নের উত্তরের জন্য বাংলাদেশ ব্যাগেজ রুলস-২০১২ এর আপডেটেড ভার্সনের লিংক দেয়া হল।
এছাড়া পড়তে পারেনঃ
- বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ! বদলাচ্ছে বাংলাদেশ এয়ারপোর্ট!
- সোনার অলংকার/বারঃ আমদানী/ক্রয় নিয়মকানুন এবং ট্যাক্স
- ব্যাগেজ রুলস – বিদেশ থেকে আগমণকালে কী আনতে পারবেন?
- দেশ থেকে বিদেশে বা বিদেশ থেকে দেশে আসার সময় আপনি কত টাকা/ইউরো/ডলার নিয়ে যেতে পারবেন?
- লাগেজ মিসিং! এয়ারলাইন্সের লিমিটেড রিলিজ লাইয়েবিলিটি বনাম অজ্ঞতা/প্রতারণা এবং দুষ্টচক্রের দুষ্টুমি
- হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বহির্গমন ইমিগ্রেশনে করনীয়
- শাহজালাল বিমানবন্দরে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতিতে পড়লে কী করবেন
- বিদেশ থেকে আগমণকালে একজন যাত্রি কী পরিমাণ স্বর্ণ/এলকোহল আনতে পারবেন?
[…] […]
[…] […]
[…] […]
[…] […]
[…] […]
[…] […]
[…] […]
[…] […]
[…] […]
[…] […]