আতেল হওয়ার সাথে ফেইসবুক ব্যবহার করার একটা সাইড ইফেক্ট হলো যা মাথায় আসে তাই নিয়েই নোট লিখে ফেলা। আজকের লেখাও ওই রকম আর কি…
গত সপ্তাহে দোকানে গেছি টুকিটাকি বাজার করতে, এক লোক আর এক মহিলা সব জায়গায় আমার সামনে সামনে লাইনে দাঁড়াচ্ছিল। ব্যাপারটা খুবই বিরক্তিকর পর্যায়ে চলে যাচ্ছিল বলা যায়। রুটি কাটার মেশিনের সামনে তারা, বোতল দিয়ে রিফান্ড নেয়ার লাইনে তারা এবং শেষমেশ ক্যাশেও হুট করে লাইনে আমার সামনে দাড়িয়ে গেল। জামা কাপড় দেখে জিপসি যে তা ভালই বোঝা যাচ্ছিল। এইবার আসলো বিল দেবার পালা…চার ইউরো বিল এসেছে যার মাঝে প্রায় দেড় ইউরো চলে গেল বোতলের ফান্ড থেকে বাকি আড়াই ইউরো দেবার জন্যে প্রথমে এগিয়ে দিলো ১০সেন্টের এক গাদা পয়সা! সেই একগাদা পয়সা পর্যাপ্ত হলো না এর পরে পকেট থেকে বের করে দিলো ১, ২, ৫ সেন্টের পয়সা যা অনেক ধৈর্য্য ধরে ক্যাশিয়ার ছেলেটা গুনল এবং বলল যে টাকা কম পরেছে। লোকটা আর পাশে থাকে মহিলা পকেট বের করে দেখালো যে তাদের কাছে আর কোনো পয়সা নেই। আমি অধৈর্য্য হয়ে দেখছিলাম কি কিনছে…সেদ্ধ ডিম, পাউরুটি আর এক টুকরো পনির। আমি এক পর্যায়ে আগ বাড়িয়ে কাশ এ বসা ছেলেটাকে বললাম কত কম পড়েছে বলো আমি দিয়ে দিচ্ছি। ৩০ সেন্ট দিলাম ওই লোক বারবার ধন্যবাদ দিল আর সেই সাথে ছেলেটা বলল “সেহর নেট” মানে অসাধারণ। আমি সাধারণত ভিক্ষা দেইনা এখানে কারণ এই টাকা দেশে দিলে অনেকের উপকার হবে তবে এই টাকা মূল কারণ কিছুটা ভিন্ন। দুই বছর আগে এক মেনজা (কাফেটারিয়া) তে দাড়িয়ে সালাদের বাটির ওজন হিসেবে বিল আসাতে আমার ১৪ সেন্টের কমতি পরছিল যা কার্ড দিয়ে পে করা সম্ভব না কেবল টাকা দিয়েই পরিশোধ করতে হয়। আমার পেছনে দাড়িয়ে থাকা এক মহিলা দিয়ে দিয়েছিলেন। যাক এতদিন পরে কথাটা মনে পরে গেল।
***মোরাল অফ দা স্টোরি: আপনার কেউ কখনো খুব ছোট্ট উপকার করলে ও তা মনে রাখবেন আর চেষ্টা করবে খালি সবসময় না নিয়ে কিছুটা শোধ ও করতে। কে জানে দয়ার ঝুলি শেষও হয়ে যেতে পারে!