#‎FlySmart_1‬

মধ্য আকাশে সাউন্ড বক্সে টুন করে শব্দের পর পাইলটের গলা শুনলেন, “কেবিন ক্রু, টয়লেটে পানি শেষ”। আমি শিওর, শুনেই আচমকা যাত্রির বাথরুম চাপবে! আর যদি শুনেন, “কেবিন ক্রু, ব্লু-রুমে জুস নেই”… নাথিং ম্যাটারস, জুস নেই শুনে বড়জোড় একটু তৃষ্ঞা পেতে পারে। পাইলট যদিও একই কথা বলছে। এয়ারলাইন্স স্ল্যাং লিংগো-তে কমফোর্ট রুমকে ব্লু-রুম এবং এর পানিকে ব্লু-জুস বলা হয়। পানি নীল রং এর জীবানুনাশক মিশ্রিত থাকে বলে রংয়ের জন্য এরুপ ব্লু-জুস, ব্লু-রুম নামকরণ।

ইকোনোমি ক্লাসে বসে ঝিমোতে ঝিমোতে আবার টুন… “কেবিন ক্রু, ইকোনোমির গাঁইয়া ক্ষেতগুলোকে একটু দেখেন”। মেজাজটা কেমন লাগবে? আর যদি শুনেন, “কেবিন ক্রু, প্লিজ লুক আফটার দ্য ভিলেজ”… ভাবলেন, নিশ্চয় ভদ্র কিছু। কথা কিন্তু একই। এয়ারলাইন্স পাড়ায় ইকোনোমি বা থার্ড ক্লাসের নানান পদের স্ল্যাং নাম রয়েছে… কোচ, ভিলেজ, কেটলি ক্লাস, টুরিস্ট ক্লাস। অন্যদিকে সেকেন্ড ক্লাসেরও একাধিক অভিজাত নাম রয়েছে… বিজনেস ক্লাস, ক্লাব ক্লাস ইত্যাদি।

তবে ফার্স্ট ক্লাসের অন্য কোন নাম আছে কিনা জানা নেই। মাঝে মধ্যে এফ ক্লাস বলতে শুনি। এটা মূলত বিজনেজ ক্লাস টাইপের। ককপিটের কাছাকাছি অর্থাৎ সামনের সীটগুলো ফার্স্ট ক্লাস, তারপরে বিজনেস ক্লাস। সিনেমা হলে থার্ড ক্লাস শুরু হয় সামনে থেকে, বিমানে পেছন থেকে। সামনের দিকের সীটে নাকি ৩ নম্বর বাসের মত জার্কিং কম হয়! আবার বিআরটিসির মত বিমানও কিন্তু ডাবল-ডেকার হতে পারে… দোতলায় সামনে ফাস্ট ক্লাস, পেছনে বিজনেস বা ক্লাব ক্লাস।

…..এভাবে মাঝেমাঝে আমরা কিছু এয়ার-ট্রাভেল-টার্ম শিখবো “FlySmart” শিরোনামে। ফ্রিকুয়েন্ট ফ্লাইয়ারগণ নিজ থেকে কনট্রিবিউট করতে পারেন। ব্লু রুম এবং ব্লু জুস এর বাইরে আজ শিখলামঃ

সার্ভিস ক্লাস তিন প্রকার…
১. ফ্লার্স্ট ক্লাস বা এফ ক্লাস
২. সেকেন্ড ক্লাস বা বিজনেস ক্লাস বা ক্লাব ক্লাস
৩. থার্ড ক্লাস বা ইকোনোমি ক্লাস বা টুরিস্ট ক্লাস বা কোচ বা ভিলেজ বা কেটলি ক্লাস!


‪#‎FlySmart‬ 2

দুই রুমের একটা এপার্টমেন্ট। কয়েক ঘন্টার ভাড়া মাত্র ২০-২২ হাজার ডলার। টাকা নাহ কিন্তু.. মার্কিন ডলার। রেস্টুরেন্ট আছে, চাহিদা মোতাবেক খাবার বানিয়ে দেবে। এ ধরণের প্লেনগুলোকে বলা হয় লিগ্যাসি। লিগ্যাসি ক্যারিয়ারে ইকোনোমি, বিজনেস এবং প্রথম শ্রেণী ছাড়াও এপার্টমেন্ট ব্যবস্থা আছে। বাংলাদেশে হাফ ডজন লিগাসি সার্ভিস চালু আছে। আপনি আমি না চড়লেও এই এপার্টমেন্ট কমই খালি যায়। কারা চড়ে মাবুদ জানে!

আপনি আমি যেটাতে চড়ি, লো-কস্ট ক্যারিয়ার বা বাজেট ক্যারিয়ার! ক্লাসের বালাই নেই। পছন্দমতে খাবারতো দূরে থাক.. আল্লাহর দেয়া নেয়ামত পানিও কিনে খেতে হয়। ওয়ানটাইম টিকেট, মিস করলে ফিনিস.. রিবুক করার সুযোগ নেই। ব্যাগেজ এলাউন্সও কিনে নিতে হয়। এই ক্যারিয়ারের কাজ হলো, গ্যারান্টি দিয়ে অল্প খরচে আপনাকে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়া। নিশ্চিত থাকুন, আপনি গন্তব্যে যাবেনই, কারণ মাঝপথে নামিয়ে দেয়ার সুযোগ এখনও হয় নাই!

লিগ্যাসি এবং বাজেট ক্যারিয়ারের মাঝখানে কিছু ক্যারিয়ার আছে, যাদের সুনির্দিষ্ট কোন নাম নেই। আমরা বলতে পারি মিড-ক্যারিয়ার। এদের ৩টা বা ২টা ক্লাস থাকে, তবে এপার্টমেন্ট নেই। খাবার দাবার নির্ধারিত এবং পরিমিত। নিয়মনীতি লিগাসি’র মত হলেও কাজকারবার বাজেট ক্যারিয়ারের মত। অতিরিক্ত কিছু চাইলেই পয়সা চায়!

লিগ্যাসি, মিড-ক্যারিয়ার এবং বাজেট ক্যারিয়ার। টাকা আপনার, চয়েস আপনার।

 


এছাড়া পড়তে পারেনঃ

By Magistrates, All Airports of Bangladesh

We dare to chase, whoever the big shot, care very less. Let us know how you gonna be exploited. Extend your hands and kick the criminals out. Facebook Page: https://www.facebook.com/magistrates.all.airports.bangladesh

Leave a Reply