***a short write-up in Bangla about my experience during Walk21Vienna conference.
অনেক সময় অনেকে বলেন বাহ্ চমত্কার কাজ হয়েছে, সবাই কাজটির কথা জানে আপনারা তো বিখ্যাত। আবার অনেকসময় শুনি আরে ওনাদের কাজ কারবার বুঝলা না,… খুলতে বসছে ইত্যাদি নানা মুনির নানা মতের মাঝেই অনেক চড়াই উতরাই থেকে গড়ে উঠছে “দেয়ালকোঠা”। এই বার অস্ট্রিয়ার ভিয়েনাতে হয়ে গেল Walk21 কনফারেন্স যার জন্যে সমগ্র বিশ্ব থেকে একাডেমিক, নন একাডেমিক এবং প্রফেশন্যালরা বছরব্যাপী প্রস্তুতি নেয় আসার জন্যে এবং তাদের কাজ দেখানোর জন্যে। আমরা প্রথমে একটি গবেষনা পত্র জমা দেই যেটি সিলেক্ট হবার পরে সাহস করে দেয়ালকোঠার জন্যেও একটি প্রতিযোগিতায় নাম লেখাই। প্রতিযোগিতার বিষয় ছিল শহরের মানুষের হাটার পথ প্রানবন্ত করার জন্যে কি নকশা প্রণয়ন করা যেতে পারে। তিন রাউন্ড এ নানান চড়াই উতরাই পার করে দেয়ালকোঠা পেল “walking visionaries awards” ২০শে জুন, ২০১৫। এই সম্মাননা একার পক্ষে অর্জন করা সম্ভব ছিলনা যদি মানুষের ভালোবাসা আর ভোট না পাওয়া যেত। কনফারেন্সে ৬০০+ মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন আমাদের কথা এবং কাজ দেখবার জন্যে। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে এশিয়া এবং আফ্রিকা থেকে গুটিকয়েক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সত্যি কথা বলতে খুব অদ্ভুত অভিজ্ঞতা কারন সবাই ১০ হাজার থেকে শুরু করে ৩০ লক্ষ মানুষের শহরের কথা বলছিলেন আর আমি আমার দুইটি প্রেজেন্টেশনে কোটি মানুষের শহর ঢাকার কথা বলেছি যা অনেকের বোধগম্যের বাইরে ছিল বললে ভুল হবে না। কেবল এশিয়ানদের মাথা নাড়ানো দেখে বোঝা যাচ্ছিল তারা বোঝে ঢাকার বৈচিত্র এবং ঢাকা নিয়ে কাজের পেছনে কত সময় এবং বাধা অতিক্রম করতে হয়। বাংলাদেশি তরুণ সমাজ একে অপরকে সাহায্য করে যাচ্ছে নানান কাজে তার তুলনা দেয়ার সুযোগ মিলেছে Avantgardes, Light of Hope, টিম জার্মান প্রবাসে, Voices of Bangla সহ নানান উদাহরণ তুলে ধরার মাধ্যমে। বেশিরভাগ প্রশ্ন এমন ছিল যাতে একটা শব্দ বারবার ব্যবহৃত হয়েছে “how”! নানান প্রতিষ্ঠান আশা করছি ভবিষ্যতে আমাদের সাথে কাজ করতে আগ্রহী হবে। তানজিয়া ইসলাম এবং ডেবরা এফ্রয়্মসন
বাংলাদেশ থেকে ৫ টি গবেষনা, প্রতিবাদ (advocacy) এবং নকশা বিষয়ক লেকচার দেয়া হয়েছে এবারকার কনফারেন্সে যার তিনটি ছিল আমাদের প্রিয় “অনিমা ভাবি” (Debra Efroymson), “Beyond Apologies” বই এর লেখকের WBB Trust এবং Healthbridge এর কাজের ওপর আর বাকি দুইটি আমার দেয়া দেয়ালকোঠা এবং WBB Trust এর সাথে আমাদের Walkers and Hawkers Issues and Proposals গবেষনার ওপর।। এছাড়া Light of Hope এর সদস্য রুমানা জার্মানির মিউনিখ শহরের ওপর কাজ করা মাস্টার থিসিস প্রেজেন্ট করেন। বাংলাদেশী আমরা দুইজনই ছিলাম এই কনফারেন্সে। কনফারেন্সটি সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় যেখানে পাঁচটি ইউরোপিয় শহরের মেয়র/ডেপুটি মেয়র এবং একজন মার্কিন মেয়রও উপস্থিত ছিলেন তাদের শহর নিয়ে কথা বলার জন্যে। ধন্যবাদ Sahjabin Kabir এবং আমার তরফ থেকে।