এম্বাসিতে গিয়েছিয়াম জুনের ২২ তারিখ, আজ কত তারিখ আমি মনে করতে চাইব না,ভাবতেও চাইনা আমার পাসপোর্টটা আদৌ আছে নাকি গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের বার্লিন অফিস সেটা সের দরে বিক্রি করে দিছে, আমার পাসপোর্ট এবং এখানকার কর্তব্যরত কর্মকর্তাদের নিয়ে ভাবতে গেলে ক্লান্তিতে আমার চোখের পাতা ভার ভার হয়ে আসে, মনে মনে গুনগুনিয়ে রবীন্দ্রনাথের কাছে চলে যাই-”ক্লান্তি আমায় ক্ষমা কর প্রভু”
জার্মানীতে এসে সিগন্যালে ঠায় দাঁড়িয়ে আমি চিন্তা করতাম(দেশে আমি সিগন্যাল খুব মেনেই রাস্তা পার হয়েছি অথচ গভীর রাতেও একাকী আমি সবুজ বাতির অপেক্ষা করি )আমাদের দেশের অনিয়মতান্ত্রিকতার উপসম করার জন্যে বড় বড় পদে অধিষ্ঠতদের এই দেশে কিছুদিন লালন পালন করলে দেশে গিয়ে তারা দেশটাকে তারা সুন্দর ছকে ফেলে দিবে। জার্মানীতে বাংলাদেশ দুতাবাসের মহান মানুষদের দেখে আমি সে ভাবনা থেকে সরে এসেছি আমার বরং ইদানিং বেশি বেশি করে মনে পরে বাংলার আদি অকৃত্তিম প্রবাদ-ঢেঁকির স্বর্গে ধান ভাঙ্গার কথা,আমার এখন খুব মনে হয়- এখানে সেখানে যথায় তথায় আমরা এমন ই থাকব,বেড়িয়ে আসতে পারবনা বৃত্তের ঐ গন্ডি থেকে, ”তোমার পাসপোর্টের এই সমস্যা” নুন্যতম একটা মেইল এর জবাব দিয়ে এই কথাটা বলা তাদের কাজের অংশবিশেষ না?
আমি নিজে নিজে ভাবি তারা করেনটা কি?কি কাজ তাদের? এমনতো না যে গরমের দেশ,অল্প বয়সী সেক্রেটারির পাখার বাতাস খেতে খেতে তিনি আরামে চোখ মুদে এলিয়ে পরেন,আর সময় করে উঠতে পারেননা অন্যকিছু করার,
(আমার বদ্ধমুল ধারনা এর পিছনে আছে খারাপ Tanzia আপুর ফর্সা হাত,কারন একমাত্র সেই জেনেছিল আমি ঐ কর্মকর্তার হ্নদয়ঘন আচরনের প্রেমে মজে তার ছোট মেয়েটারে বিয়ে করতে চাইছিলাম, Anisul H Khan Based ভাই কি কন,আপনিতো সাক্ষী ছিলেন)
[…] ”বাংগালীয়ানা” সততঃ সর্বদা […]