খৃস্টপূর্ব আমলের সময় থেকেই সংস্কৃত শাস্ত্র বা সাহিত্যে বঙ্গদেশকে অপবিত্র বা ব্রাত্যদের দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হত। ব্রাত্য কারণ বঙ্গের লোকেরা বৈদিক পূজাপার্বণ না করে স্থানীয় ব্রতাদি পালন করতো। একারণে শাস্ত্রকারেরা “ওদেশে যেয়ো নাকো” বলে বিধান দিয়ে দিয়েছিলেন।
হাজার বছর পূর্বের কথা বাদ দিয়ে এই সেদিনের কথাও যদি ধরি তবে কবিগুরু বঙ্গভূমিকে তাঁর সন্তানকে মানুষ না করার অভিযোগ এনেছেন যার জবাব বঙ্গবন্ধুকে দিতে হলো বাহাত্তুরের জানুয়ায়ীর ১০ তারিখে “কবিগুরুর কথা মিথ্যা প্রমাণিত, আমার বাঙালি আজ মানুষ হয়েছে”- এই কথা বলে।
সময় বড় নিদারুণ ব্যাপার। সব ভুলিয়ে দেয়। প্রিয় থেকেও প্রিয় মানুষ হারিয়ে যায় তবুও জীবন থেমে থাকে না কোনভাবেই। সুখ ফিরে ফিরে আসে। সে হিসেবে আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের কথা ‘ব্রাত্য’ বাঙ্গালির ভুলে যাওয়াই যেন ললাট লিখন ছিল। হয়েছে উল্টোটি। যদিও পৃথিবীর গুটিকয়েক দেশকে রীতিমত যুদ্ধ করে স্বাধীন হতে হয়েছে কিন্তু বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের মত সেই স্বাধীনতাকে আর কোন দেশের মানুষ এত গভীর মমতায় হৃদয়ে ধারণ করেনি।
আমাদের বিজয় দিবসের ম্যাগাজিনের লেখাতেও আমরা চেয়েছিলাম তরুণ প্রজন্মের চোখে মুক্তিযুদ্ধের রুপ তুলে ধরার জন্য। অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসের সাথেই বলতে পারি প্রতিটি লেখা পাঠকের মনকে নাড়া দেবে, ছুঁয়ে যাবে। সুনির্দিষ্টভাবে তিনটি লেখার কথা না বলে পারছি না। লন্ডন থেকে ব্যারিস্টার নিঝুম মজুমদারের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য ট্রাইবুনালের আইনি দিক, জার্মানির উল্লাহ খানের লেখায় যুদ্ধাপরাধীদের প্রতি জনগণের সহমর্মিতা তৈরিতে মিডিয়ার ভূমিকা আর জার্মান প্রবাসের রাশিদুল হাসান মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্ত্রি্র কড়া জবাব দিয়েছেন একেবারে দলিল ধরে ধরে।
মহান বিজয়ের মাসে আমাদের এই কামনা যে আপনারা লেখাগুলো পড়ে আমাদের ভুলভ্রান্তি শুধরে দিবেন, মতামত জানাবেন। বিজয় দিবসের এই সংখ্যাটি আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ, ৪ থেকে ৬ লাখ ধর্ষিতা মা-বোন আর বিজয়ের ঠিক পূর্বমুহুর্তে নৃশংসভাবে খুন হওয়া শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি উৎসর্গ করা হল।
ম্যাগাজিন ডাউনলোড/দেখতে ক্লিক করুন (প্রায় 11.70 মেগাবাইট)
আশা করি, আমাদের এই পরিবেশনা আপনারা বরাবরের মত ভালবাসবেন। গত প্রায় ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে নিরবিচ্ছিন্ন প্রকাশনা আপনাদের ভালবাসার জন্যই সম্ভব হয়েছে। আপনারাই আমাদের ম্যাগাজিনের প্রাণ! তাই যেকোন মতামত আমাদের জানাতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।
ম্যাগাজিন ডাউনলোড/দেখতে ক্লিক করুন (প্রায় 11.70 মেগাবাইট)
ধন্যবাদান্তে,
টিম জার্মান প্রবাসে
১৫ ডিসেম্বর ২০১৫,
৩১ অগ্রহায়ণ ১৪২২
অনিচ্ছাকৃত বানানভুল ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আবেদন রইল।
চাইলে আপনিও লেখা/ছবি পাঠাতে পারেন!
লেখা আহ্বান, বিষয়: “সংকোচের বিহ্বলতায় নিজেরই অপমান / সঙ্কটেরও কল্পনাতে হয়ো না ম্রিয়মাণ”
.
আমরা নিজের জানা-অজানায় প্রতিদিন মোকাবেলা করি অসংখ্য সমস্যার। কখনও সেই সঙ্কট হয় সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক কিংবা কখনও হতে পারে একান্ত ব্যক্তিগত মতবাদ বা মানসিক। সংসারের এই টানাপড়েন আমাদের দেখিয়ে দেয় জীবনের আসল রং। কালো মেঘে ঢাকা এই ঝড়ে হয়ত কেউ ভেঙ্গে পড়েন, কেউবা ঘুরে দাঁড়ান শক্ত পায়ে। ঘোষণা করেনঃ
“বিপদে মোরে রক্ষা করো এ নহে মোর প্রার্থনা / বিপদে আমি না যেন করি ভয়।
দুঃখতাপে ব্যথিত চিতে নাই-বা দিলে সান্ত্বনা, / দুঃখে যেন করিতে পারি জয়॥”
সঙ্কটে হার না মেনে এগিয়ে যাওয়ার সেইসব গল্প আমরা শুনতে চাই, শোনাতে চাই। হয়ত অনেকের জন্য আপনার এই একটি গল্পই হবে উদাহরণ, ঘুড়ে দাঁড়ানোর মন্ত্রণা। তাই দেরী না করে লেখা পাঠিয়ে দিন আমাদের ঠিকানায়।
ডেডলাইনঃ ৩ জানুয়ারি ২০১৬
লেখা পাঠানঃ [email protected]
অথবা পেজের ইনবক্সে পাঠানঃ www.facebook.com/pages/জার্মান-প্রবাসে/212610425614429
ছবির পাঠানোর জন্য বিস্তারিতঃ http://goo.gl/90IVlk
লেখার সাথে নাম ঠিকানা পেশা আর একটি ছবি অবশ্যই পাঠাবেন।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ শুধু জার্মানি বা বাংলাদেশ থেকেই নয়, যেকোন দেশের প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাদর আমন্ত্রণ আমাদের ম্যাগাজিনে! তাই আমাদের ম্যাগাজিনে লিখতে হলে আপনাকে বাংলাদেশ বা জার্মানিতেই থাকতে হবে এমন কোন কথা নেই!
জার্মান প্রবাসে আড্ডা দিতে চাইলেঃ www.facebook.com/groups/BSAAG/(বিশ্বস্ততার সাথে ৫১,০০০+ সদস্য নিয়ে)
——————————————————————–
অনলাইনে পড়তে চাইলেঃ