১লা জুলাই, ২০১২ থেকেই জার্মানিতে চালু হতে যাচ্ছে বিদেশি উচ্চশিক্ষিত পেশাজীবীদের জন্য “ব্লু কার্ড ইইউ”। ফেডারেল কাউন্সিল অফ জার্মানি কর্তৃক গত ১১ই মেতে সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকৃত হলো এই সিস্টেম।
GermanProbashe.com এ একজন লেখক শুধু তাঁর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে থাকেন। তাই কোন কিছু করার আগে অবশ্যই অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে সাম্প্রতিকতম তথ্য দেখে, শুনে, বুঝে করুন। ধন্যবাদ। যেমনঃ bamf.de তে গিয়ে খুঁজে দেখুন Blue Card নিয়ে।
এই ব্লু কার্ডের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিকগুলো হলো –
১/ ইইউ বহির্ভূত দেশগুলি থেকে আগত বিশেষ যোগ্যতা সম্পন্ন কর্মীরা ইইউ দেশগুলির নাগরিকদের মতোই কাজ ও বসবাস করার সুযোগ পাবে।
২/ ব্লু-কার্ডের(Blue Card) অধীনে নতুন করে ভিসা নেয়ার প্রয়োজন পড়বে না৷ আগে স্টুডেন্ট ভিসায় শুধুমাত্র পড়াশোনা করা যেত৷ কাজের অনুমতি সেই ভিসায় দেয়া থাকতো না বা থাকলেও সেটা অনেকগুলো শর্তসাপেক্ষে দেয়া হত।
৩/ একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো – এই পদ্ধতিতে “Arbeitsmarktcheck” বা “labourmarket check” –এই পদ্ধতিটা বাতিল করা হয়েছে। এই পদ্ধতিটার কারণে আগে ভিসাপ্রাপ্তিতে ২-১ সপ্তাহ বেশি সময় লাগতো।
৪/ ব্লু-কার্ডের জন্য পড়াশোনা শেষ করে যে-কেউই কাজের সন্ধানে নেমে পড়তে পারবে৷ ভিসার স্ট্যাটাস পাল্টানোর জন্য সেই ছুটাছুটি থেকে এখন অভিবাসীরা মুক্ত থাকবে৷৷ ব্লু-কার্ডের কল্যাণে একই ভিসায় সবকিছু অন্তর্ভুক্ত থাকবে৷
৫/ ব্লু-কার্ড থাকলে যে কোন সময়ে, যে কোন দিন জার্মানিতে প্রবেশ করা যাবে৷
৬/ পর্যাপ্ত বেতনের চাকুরি খুঁজে পেলে প্রাথমিকভাবে ৩ বছরের ভিসা দেওয়া হবে৷ তার পরেও চাকুরি বজায় থাকলে স্থায়ীভাবে বসবাসের ভিসা পাওয়া যাবে৷ তবে স্বল্পসময়ের মধ্যে ভালোভাবে জার্মান শিখতে পারলে ২ বছর পরেই স্থায়ী ভিসা পাওয়া যাবে৷
৭/ উচ্চদক্ষতাসম্পন্ন পেশাজীবীরা যারা আগে বার্ষিক ৬৬,০০০ ইউরো বেতন দেখিয়ে স্থায়ী নাগরিকত্ব পেতেন তাদের জন্য এই সীমা কমিয়ে ৪৮,০০০ ইউরো করা হয়েছে।
কিছু ক্লারিফিকেশনঃ
১/ বার্ষিক নির্দিষ্ট মাত্রার বেতন পেলে সাথে সাথেই আপনি ব্লু কার্ড পাবেন।
২/ ব্লু কার্ড নিয়ে ২ বছর কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে ৩ বছর জার্মানিতে থাকার পরে আপনি “পারামানেন্ট রেসিডেন্সশিপ” এর জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং পেতে পারবেন।
শর্তাবলী-
১/ যারা এই কার্ড পাবেন তাদের অবশ্যই এই প্রমাণ দেখাতে হবে যে তারা জার্মানিতে পড়াশোনা করেছেন অথবা ৫ বছরের প্রফেশনাল এক্সপেরিয়েন্স থাকতে হবে।
২/ বছরে নির্দিষ্ট মাত্রার বেতন বা তার বেশি বেতনের জবকন্ট্রাক্ট এবং তা অবশ্যই কোনো জার্মান কোম্পানির সাথে থাকতে হবে। তবে সায়েন্টিস্ট, ডাক্তার, আইটি প্রফেশনাল এবং ইঞ্জিনিয়ারদের জন্যে এই সীমা Different!
৩/ সর্বোপরি জার্মান ভাষায় দক্ষতা থাকতে হবে৷
আইনের বিস্তারিত বিবরণী (জার্মান ভাষায়) – http://www.bundesrat.de/cln_235/SharedDocs/Drucksachen/2012/0201-300/236-12,templateId=raw,property=publicationFile.pdf/236-12.pdf
সুত্রঃ ডয়শে ভেলে নিউজ –
http://www.dw.de/dw/article/0,,15927232,00.html
http://www.dw.de/dw/article/0,,15727670,00.html
লেখকঃ জামাল উদ্দিন আদনান (মিউনিখ, জার্মানি)
আরো পড়তে পারেনঃ
- বাংলাদেশে থেকে জার্মান ব্লু কার্ড এবং ভিসা পেতে হলে
- জার্মান কোন কোম্পানিতে চাকরি পেতে হলে কোন লেভেল পর্যন্ত জার্মান শেখা উচিত?
- ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটদের বেতন বা কোন অঞ্চলে চাকরি বেশি? – চাকরি এবং জার্মানি – পর্ব – ৪
আশা কখনও মরে না, আপনাদের আর্টিকেলটা পড়ে আশায় বুক বাঁধতে ইচ্ছে করছে.
অনেক ধন্যবাদ